Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আমরা আমাদের পথে চলবো : এরদোগান

ভিসা ছাড়া ইউরোপ ভ্রমণ সুবিধার বিপরীতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের কোনো সংশোধন আনবে না তুরস্ক

প্রকাশের সময় : ৮ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ইউরোপীয় ইউনিয়নকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আমরা আমাদের পথে চলবো। আপনারাও আপনাদের পথে চলুন। এর আগে তুরস্কের নাগরিকদের ইউরোপের দেশগুলো বিনা ভিসায় ভ্রমণের শর্তে তুরস্ককে সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধনের জন্য বলা হয়েছিল ইইউ’র পক্ষ থেকে। আগামী জুলাই থেকে চুক্তিটি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। প্রসঙ্গত ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোতে তুরস্কের নাগরিকদের ভিসা ছাড়াই ভ্রমণের অনুমোদন দেয়ার বিপরীতে দেশটির সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধন করতে বলা হয়েছিল। তবে তাতে সম্মত হয়নি তুরস্ক। গত শুক্রবার প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান জানিয়েছেন, ভিসা ছাড়া ভ্রমণ সুবিধার বিপরীতে ওই আইনের কোনো সংশোধন আনবেন না তারা। তুরস্ককে ইইউ নেতাদের দেয়া শর্তগুলোর মধ্যে আরো ছিল বাক স্বাধীনতা ও বিচারের অবাধ স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা। ইউরোপের শরণার্থী সংকট নিরসনে ইইউ’র সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছিল তুরস্কের। ওই চুক্তির আওতায় গ্রিস থেকে তুরস্কে আসা শরণার্থীদের না ফিরিয়ে দেয়ার কথা উল্লেখ ছিল।
সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধনও চুক্তির একটি অংশ ছিল। এর আগে এক খবরে বলা হয়, তুর্কি প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতোগোলু পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। ক্ষমতাসীন একে পার্টির সম্মেলনের পর জুনে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন বলে জানিয়েছেন। বিবিসি বলছে, তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান দেশটিতে প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা করছেন। কিন্তু এই পরিকল্পনা মেনে নেননি দাভুতোগোলু। আর এই মতবিরোধের কারণেই দাভুতোগোলুকে পদ ছাড়তে হচ্ছে। গত বুধবার প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক করেন দাভুতোগোলু। কিন্তু দুই নেতার মতপাথর্ক্যরে সমাধান হয়নি। আর এরপর থেকেই তিনি পদত্যাগ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল। কয়েক মাস ধরে তাদের মধ্যে অস্বাভাবিক সম্পর্ক চলছিল। কিন্তু পদত্যাগের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে নিজের বক্তব্যে দাভুতোগোলু প্রেসিডেন্ট এরদোগানের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে বলেছেন, কারো প্রতি তার কোনো ক্ষোভ নেই।
দাভুতোগোলু জানিয়েছেন, তিনি দলীয় আইনপ্রণেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাবেন এবং দলকে বিভক্ত করার চেষ্টা করবেন না। ২২ মে অনুষ্ঠিতব্য পার্টির সম্মেলনে তার উত্তরসূরি নির্বাচিত হবে। গত বৃহস্পতিবার দিনের প্রথমভাগে প্রেসিডেন্টের সহযোগী সেমিল আর্তেম জানিয়েছেন, নতুন নেতা বেছে নেওয়ার জন্য কোনো নির্বাচন হবে না। তুর্কি টেলিভিশনে তিনি আরো বলেন, যখন একজন প্রধানমন্ত্রী প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন তখন দেশ ও অর্থনীতি ভবিষ্যতে স্থিতিশীল হবে। দাভুতোগোলুকে একজন নমনীয় প্রধানমন্ত্রী বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু প্রেসিডেন্ট এরদোগানের বেশকিছু নীতির ব্যাপারে দাভুতোগোলুর দ্বিমত ছিল। সম্প্রতি প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা আরো বাড়াতে সংবিধান পরিবর্তনের ব্যাপারে তিনি অসম্মতি জানান।
দাভুতোগোলুর পদত্যাগ তুরস্কে এরদোগানের নিয়ন্ত্রণ আরো বাড়বে। আরো বেশি অনুগত প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেয়া হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তবে বিষয়টি অনেক পশ্চিমা নেতার দুঃখের কারণ হতে পারে যারা মনে করেন এরদোয়ানকে হ্যান্ডেল করা একটু কঠিন। ২০১৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এরদোয়ান জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে) প্রধানের দায়িত্ব অর্পণ করেন। বিবিসি, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আমরা আমাদের পথে চলবো : এরদোগান
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ