নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
‘বুড়ো’ হয়ে গেলেও এখনো যে স্পিন ভেল্টিতে মরচে পড়েনি তা আবারো প্রমাণ করলেন আব্দুর রাজ্জাক। জাতীয় দলের সাবেক বোলারের স্পিন বিষে দক্ষিণাঞ্চলের বিপক্ষে প্রথম দিনেই ২৯৩ রানে গুটিয়ে গেছে উত্তরাঞ্চল। বিসিএলের অন্য ম্যাচে মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে এক দিনে ৮ উইকেটে ৩৮০ রানের সংগ্রহ গড়েছে পূর্বাঞ্চল।
প্রথম ৫ রাউন্ড শেষে চার দলের মধ্যে ব্যবধান কমই। কাল থেকে শুরু হওয়া শেষ রাউন্ড তাই পরিণত হয়েছে অঘোষিত ফাইনালে। যার প্রথম দিনে এগিয়ে থাকল রাজ্জাকের দক্ষিণাঞ্চল ও ইমরুল-মুমিনুলদের পূর্বাঞ্চল। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আলোকস্বল্পনার কারণে খেলা কম হয়েছে প্রায় ৮ ওভার। তার পরও ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করে বিশাল সংগ্রহ গড়ে পূর্বাঞ্চল। দিনের শেষ ৫ বলে টানা ২ উইকেট না হারালে আরো সুবিধাজনক অবস্থানে থেকে দিন শেষ করতে পারত মুমিনুলের দল। দিনের দ্বিতীয় বলেই রনি তালুকদারকে হারানো পূর্বাঞ্চল দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় টপ ও মিডিল অর্ডারের কল্যাণে। চারজন পেয়েছেন ফিফটির দেখা। দ্বিতীয় উইকেটে ১৩৬ রানের জুটির পথে ৭৯ বলে ১২ চারে ৭৮ রান করে আউট হন ইমরুল। মুমিনুলও সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েও পারেননি। দলীয় সংগ্রহ দু’শ ছোঁয়ার ৩ রান আগে মুমিনুল আউট হন ৯৫ বলে ৯ চারে ৮২ রান করে। ২ উইকেটে ১৯৭ থেকে খানিক বাদে ৫ উইকেটে ২১৬ হয়ে যায় পূর্বাঞ্চলের স্কোরবোর্ড। এরপর মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে ১০০ রানের জুটি গড়ে আউট হন উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান জাকির হাসান, ৫৭ রান করে। সপ্তম উইকেটে তাইজুলকে নিয়ে ৬৩ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন মাহমুদুল। ৩৭৯ রানে দাঁড়িয়ে আবু হায়দারের টানা দুই বলে তাইজুল ও নাঈম হাসান ফিরলেও ৭৪ রান করে অপরাজিত থেকে যান মাহমুদুল।
ওদিকে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আব্দুর রাজ্জাকের তোপে পড়ে আরিফুল হককেও পড়তে হয়েছে ২ রানের আক্ষেপে। ব্যাক্তিগত ৯৮ রানে রাজ্জাকের ঘুর্ণী বলে লেগ বিফোর হয়ে যান আরিফুল। মিজানুর-জুনায়েদের ৬০ রানের জুটিতে উত্তরের শুরুটা মন্দ ছিল না। কিন্তু দক্ষিণের বোলারদের তোপে ১৩৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে জহুরুল ইসলামের দল। সপ্তম উইকেটে আরিফুল-জিয়াউরের ১৩৫ রানের জুটিতে তারা ঘুরে দাঁড়ায়। ৬৯ রান করা জিয়াউরকে তুলে নিয়ে জুটি ভাঙ্গেন নাহিদুল। বাকি কাজ সারেন রাজ্জাক। সব মিলে ৬৯ রানের খরচায় রাজ্জাক নেন ৭ উইকেট। এ নিয়ে দেশের হয়ে রেকর্ড বর্ধিতকরণ ৩৭ রান প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে ৫ বা তার চেয়ে বেশি উইকেট নিলেন বাঁ-হাতি স্পিনার।
তবে ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো হয়নি রাজ্জাকের দলের। ৬ ওভারে ২১ রান তুলতে গিয়ে তাদের হারাতে হয়েছে ওপেনার শাহরিয়ার নাফিসের উইকেটটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (১ম দিন)
উত্তরাঞ্চল-দক্ষিণাঞ্চল, চট্টগ্রাম
উত্তরাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৮৩.৪ ওভারে ২৯৩ (মিজানুর ২৯, জুনায়েদ ৪৪, ফরহাদ ২৪, নাঈম ৫, জহুরুল ৩, আরিফুল ৯৮, ধীমান ১২, জিয়া ৬৯, সানজামুল ০, সাকলাইন ০, ইবাদত ০; শফিউল ১/৭৩, মনির ০/৬১, মেহেদি ১/৪৭, রাজ্জাক ৭/৬৯, নাহিদুল ১/৩৫)। দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৬ ওভারে ২১/১ (এনামুল ৭*, শাহরিয়ার ১, মাহমুদ ৮*; ইবাদত ০/৩, সানজামুল ১/৭, নাঈম ০/৭)।
পূর্বাঞ্চল-মধ্যাঞ্চল, সিলেট
পূর্বাঞ্চল ১ম ইনিংস: ওভারে ৩৮০/৮ (রনি ০, ইমরুল ৭৮, মুমিনুল ৮২, ইয়াসির ৩৯, আশরাফুল ১৩, মাহমুদুল ৭৪*, জাকির ৫৭, তাইজুল ৩২, নাঈম ০, আবু জায়েদ ১*; তাসকিন ২/৭৮, শাহাদাত ০/১৭, আবু হায়দার ২/৬৯, মোসাদ্দেক ২/৯৭, মোশাররফ ২/৮৪, শান্ত ০/২২, সাইফ ০/১১)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।