বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে অবশেষে বহুল প্রত্যাশিত দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী নির্বাচনী মাঠে নামায় সাধারণ জনগন তাদেরকে স্বাগত জানিয়েছে।
গত ১০ ডিসেম্বর প্রতিক বরাদ্দের পর ক্ষমতাসীন মহাজোটের প্রার্থীরা ফুরফুরে মেজাজে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালাতে পারলেও বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা সেভাবে প্রচার প্রচারণা চালাতে পারেনি। ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মী ও প্রার্থীদের অভিযোগ, একদিকে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা তাদের পোস্টার ছিড়ে ফেলার পাশাপাশি, নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় বাঁধা এবং তাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা ও মারধর করছে। অপরদিকে পুলিশ মামলা দিয়ে নেতাকর্মীদের হয়রানী ও গণগ্রেফতার করছে। ফলে এ রকম উদ্ধুত পরিস্থিতিতে নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, সাধারণ ভোটাররা নানাবিধ সন্দেহের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন আদৌ হবে কি-না? ভোটের দিন পরিস্থিতি কেমন হবে? ভোটাররা নিরাপদে নিশ্চিন্তে নির্বিঘেœ ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবে কি-না? শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে কি-না? তা নিয়ে জনমনে দ্বিধা-দন্দ্ব-সংশয় থাকলেও বেশীর ভাগ জনগনের প্রত্যাশা একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে তারা যেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তাদের পছন্দসই প্রার্থীকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন তার জন্য নির্বাচন কমিশন ও সরকারের কাছে সেনাবাহিনী নামানোর দাবী ক্রমশ জোড়ালো হচ্ছিল। জনগনের দাবীর প্রেক্ষিতে অবশেষে নির্বাচন কমিশন সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়।
গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে সেনাবাহিনী নির্বাচনী মাঠে নামায় জনমনে স্বস্থি ফিরতে শুরু করেছে। তারা সোমবার সকাল থেকে টহল দিতে শুরু করেছে। সাধারণ ভোটারদের উদ্বেগ উৎকণ্ঠা কমতে শুরু করেছে। নেত্রকোনা সরকারী কলেজের ছাত্র আব্দুস সালাম জানান, সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব। আশা করি সেনাবাহিনী নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহন করবেন।
নেত্রকোনা সরকারী মহিলা কলেজের ছাত্রী সালমা আক্তার বলেন, সে এবার নতুন ভোটার হয়েছে। তার নির্বাচনী ভাবনা হচ্ছে, আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেবো। নিরাপদে ভোট দিয়ে সুস্থ শরীরে বাড়ি ফিরে যাবো, এটাই আমার প্রত্যাশা।
লক্ষীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী কামাল বলেন, সাধারণ ভোটারদের মাঝে এক ধরনের ভয়ভীতি কাজ করছে। আমি চাই, ভোটাররা যেন ভয়মুক্ত পরিবেশে নিরাপদে নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। দূর্গাপুর থেকে নেত্রকোনা জেলা শহরে আগত সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, নির্বাচন হচ্ছে আমাদের দেশে একটি আনন্দ উৎসব। আমি উৎসব মূখর পরিবেশে ভোট দিতে চাই।
কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা জিল্লুর রহমান বলেন, আমি একটি অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চাই। ভোটাররা যাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে তারাই দেশ পরিচালনা করবে। এটাই আমার প্রত্যাশা।
খালিয়াজুরী উপজেলার বাসিন্দা সঞ্জিত তালুকদার বলেন, সাধারণ ভোটাররা যাতে নির্বিঘনে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে এবং ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নিরাপদে বাড়ী ফিরতে পারে সেনাবাহিনী সে ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।