Inqilab Logo

সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সেনা টহলে বদলে যাচ্ছে কক্সবাজারের মাঠ চিত্র, পালাতে শুরু করেছে সন্ত্রাসীরা

বিশেষ সংবাদদাতা, কক্সবাজার | প্রকাশের সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৫৭ পিএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু সুন্দর ও নিরপেক্ষ করার জন্য  আজ ২৪ ডিসেম্বর থেকে সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এজন্য কক্সবাজার জেলায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে, ৩০ প্লাটুন সেনাবাহিনী, ৬ প্লাটুন নৌবাহিনী, ৪৮ প্লাটুন বিজিবি, ১০টি স্ট্রাইকিং ফোর্স পুলিশ ও ২ কোম্পানি র‌্যাব। তবে র‌্যাব এর এই ২ কোম্পানি কক্সবাজার জেলা ছাড়াও চট্টগ্রামের দুইটি আসনের দায়িত্বে থাকবেন। 

সেনাবাহিনী মাঠে টহল দেয়া শুরু করার সাথে সাথে বদলে যেতে শুরু করেছে কক্সবাজারের মাঠ চিত্র। সাহসি হয়ে উঠেছে মানুষ। পালাতে শুরু করেছে সন্ত্রাসীরা।

এ ছাড়াও আনাসার ও গ্রাম পুলিশ শৃংখলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন প্রত্যেক ভোট কেন্দ্রে।

কক্সবাজারে ৪টি সংসদীয় আসনে ২৮ জন প্রার্থী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। জেলার ৪টি সংসদীয় আসনে ৪টি পৌরসভা ও ৭১টি ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা সংখ্যা ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ২০৪ জন। 

এরমধ্যে নারী ভোটার ৬ লাখ ৫৭ হাজার ৩৭৩ জন এবং পুরুষ ভোটার ৭ লাখ ৭ হাজার ৮৩১ জন। জেলা রিটার্নিং অফিস সুত্রে জানা যায়, কক্সবাজারের ৪ আসনের জন্য ৮৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বে থাকবেন। এর মধ্যে ৩২ জন কক্সবাজারে আগে থেকে কর্মরত ছিলেন। বাকী ৫৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মন্ত্রণালয় থেকে চাওয়া হয়েছে।

চকরিয়া পেকুয়া আসনে সেনাবাহিনী ১০ প্লাটুন, বিজিবি ১৩ প্লাটুন ও ৩ টি স্ট্রাইকিং ফোর্স নিরাপত্তার দািয়ত্বে নিয়োজিত থাকবেন।

মহেশখালী কুতুবদিয়া আসনে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন সেনবাহিনী ৫ প্লাটুন, নৌবাহিনী ৩ প্লাটুন, বিজিবি ১১ প্লাটুন, রিজার্ভ থাকবে আরো ২ প্লাটুন, পুলিশের ২ টি স্ট্রাইকিং ফোর্স।
কক্সবাজার সদর রামু আসনে সেনাবাহিনী ১০ প্লাটুন, বিজিবি ১০ প্লাটুন, রিজার্ভ থাকবে আরো ৪ প্লাটুন, পুলিশের ৩ টি স্ট্রাইকিং ফোর্স নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন।

উখিয়া টেকনাফ আসনে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন সেনাবাহিনী ৮ প্লাটুন , নৌবাহিনী ৩ প্লাটুন, বিজিবি ৬ প্লাটুন, রিজার্ভ থাকবে আরো ১ প্লাটুন,পুলিশের ২ টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ।

র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজারের ৪ টি আসনে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) তাদের ২ কোম্পানির বাহিনী সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। সেই সাথে তারা চট্টগ্রামের দুইটি আসনেও দায়িত্বে থাকবেন। 

 



 

Show all comments
  • কিউ এস ইসলাম মুক্ত ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:০৩ পিএম says : 0
    যে পরিমান সেনাবাহিনী সারা বাংলাদেশে নির্বাচনের জন্য দরকার সে পরিমান সেনাবাহিনী নিয়োগ প্রদান করেননি নির্বাচন কমিশন। এটা সত্য নির্বাচন কমিশন যা বলেছিলেন তিনি তার কথা রক্ষা করেছেন। তিনি বলেছিলেন যে, নির্বাচনে সেবাহিনী থাকবে। হ্য তাই কেরেছেন উনি। কিন্তু বড় কথা যেটা আমরা সাধারন জনগন যেটা চেয়েছিলাম যে, ৮০% নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক, সকল দলের প্রার্থীরা সমানভাবে প্রচারে নামবে নির্বাচনী প্রচারনা হবে সকলের জন্য সমান। ভোটাররা যাকে খুশী আনন্দভরে তাকে বোট দিতে বোট কেন্দ্রে যাবে এবং ৫ বছর পর পর একটা ভোট আনন্দ করবে। কিন্তু শুধুমাত্র প্রধান নির্বাচন কমিশনারের একগুয়েমিপনার কারনে সেই ভোটের আমেজটা আমরা আর দেখতে পারছি না। এর জন্য আমরা কি করতে পারি। কারন বর্তমানে যে অবস্থা বিরাজ করছে তাতে করে ভোট কেন্দ্রে যাওউয়া একটা ভয়ন্কর পরিস্থিতী তৈরি হয়ে গিয়েছে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ