২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছে। আমরা ২১০০ সাল পর্যন্ত ডেল্টা প্ল্যান গ্রহণ করেছি। ২১০০ সালে বাংলাদেশ কেমন হবে তার জন্য আমি এখন থেকেই কাজ শুরু করেছি।
সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে গণভবনে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা (পিইসি) ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা এবং অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ এবং ফলের পরিসংখ্যান হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে যখন সরকার গঠন করলো তখন দেখলাম সাক্ষরতার হার মাত্র মাত্র ৪৫ ভাগ। তখন আমরা একটা কর্মসূচি নিলাম। দেশকে নিরক্ষরমুক্ত করতে একটি প্রজেক্ট নিলাম। সেইসঙ্গে ছাত্র সংগঠনকে নির্দেশ দিলাম একজন ছাত্র পাঁচজনকে অক্ষর জ্ঞান দেবে। তাহলে দলে ভালো পদ পাবে। বাংলাদেশকে নিরক্ষরমুক্ত করতে আমরা এই ব্যবস্থা নিলাম। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা সাক্ষরতার হার ৬৮ ভাগে নিয়ে আসলাম।
তিনি বলেন, আমি দেখলাম শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান পড়তে চায় না। আমি ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আসি। এরপর প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমরা কম্পিউটার নিয়ে আসলাম। এখন শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে বসেই ভিস্যুয়াল সব কিছু দেখতে পায়।
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে আমরা এখন অনেক প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। ঠিক সময়ে এখন রেজাল্ট হচ্ছে। আমরা বিনা পয়সায় বই বিতরণ করছি, বৃত্তি দিচ্ছি। শিক্ষকদের আমরা ট্রেনিং দিচ্ছি।
শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, অনেকে এসব জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার বিরুদ্ধে কথা বলে। তবে এসব পরীক্ষা হওয়ার ফলে ছেলেমেয়েদের মধ্যে ভীতি কেটে যাচ্ছে। তারা পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হচ্ছে। কওমি মাদ্রাসা এতাদিন দূরে ছিল। এই শিক্ষা ব্যবস্থাকে আমরা এখন স্বীকৃতি দিয়েছি। তাদের জীবন-জীবিকার যাতে একটা ব্যবস্থা হয় সেই সুযোগ আমরা সৃষ্টি করে দিয়েছি।