রোববার রাতে চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর সড়কের দর্শনা ফিলিং স্টেশনের সামনে হামলা চালিয়ে পালানোর সময় পুলিশের গুলিতে আহত হন তিনি। এ সময় তাকে আটক করে পুলিশ।
খালিদুজ্জামান টিটু দর্শনা সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি কলেজ ছাত্রলীগকর্মী। টিটু দর্শনা ইসলাম বাজারের মৃত মোজাহিদ আলীর ছেলে বলে জানান দর্শনা ছাত্রলীগের
সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জেল হোসেন তপু।
তিনি জানান, টিটু ছাত্রলীগে সঙ্গে যুক্ত। তিনি ভালো ছেলে। উথলীতে সড়ক দুর্ঘটনা দেখতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছেন। বোমা হামলার ঘটনাটি শুনেছি-বিশ্বাস করতে পারছি না। বিষয়টি আমার কাছে ধোঁয়াশা। এ হামলার ঘটনা সত্য হলে তদন্তপূর্বক প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হোক। নিরপরাধ হলে তাকে ছেড়ে দেয়ার কথা জানান ওই ছাত্রলীগ নেতা।
পুলিশ জানায়, রোববার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গার উথলীতে সড়ক দুর্ঘটনায় চারজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। সড়ক দুর্ঘটনার স্থান পরিদর্শন শেষে চুয়াডাঙ্গায় ফিরছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার আবু রাসেলসহ চার কনস্টেবল।
সহকারী পুলিশ সুপার আবু রাসেল জানান, রাত ৯টার দিকে জীবননগর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের দর্শনা ফিলিং স্টেশনের কাছে পৌঁছলে মোটরসাইকেল আরোহী দুজন আমার গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছুড়ে মারে। বোমাটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে গাড়ির ডান দিকের গ্লাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ সময় পুলিশ হামলাকারীদের ধাওয়া করলে তারা পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ গুলি ছুড়লে পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে টিটু নামে এক যুবক আটক হয় বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
রাতেই চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম তাৎক্ষণিক এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার গাড়িতে হামলা চালিয়ে বড় ধরনের অঘটন ঘটনানোর পরিকল্পনা ছিল হামলাকারীদের। তবে অল্পের জন্য পুলিশের সবাই প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন।
এদিকে হামলাকারী যুবক টিটুকে উদ্ধার করে রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আওলিয়ার রহমান জানান, গুলিতে আহত যুবকের ডান পা ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। এ ছাড়া তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত হয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাকে ঢাকাতে স্থানান্তর করা হয়েছে।