নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : ভিক্টোরিয়ার কাছে জিততে জিততে হেরে যাওয়াটাই তাতিয়ে দিয়েছে মোহামেডানকে। ফতুল্লায় তিনদিন আগে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দেয়ার পর গতকাল মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে আর এক জায়ান্ট গাজী গ্রæপকেও হারিয়ে দিয়েছে তারা একই ব্যবধানে। ৮ বছর পর শিরোপা পুনরুদ্ধারের মিশনে মোহামেডান একটু বেশিই চাঙ্গা চলমান আসরে। ব্রাদার্সকে ৭৮ রানে হারিয়ে শুরু লীগ মিশন, ভিক্টোরিয়ার কাছে ২ উইকেটে হেরে ফিরেছে তারা চেনা রূপেÑউপর্যুপরি ২ ম্যাচে নামতা গুণে ৭ উইকেটে জিতে। রূপগঞ্জের বিপক্ষে জয়টি তাদের ২৪ বল হাতে রেখে, সেখানে স্পিন নির্ভরতায় গাজী গ্রæপের বিপক্ষে জয়টা তাদের ১০৯ বল হাতে রেখে। গাজী গ্রæপ বাঁ হাতি স্পিনার মইনুলকে আরিফুলের কভার দিয়ে বাউন্ডারির সঙ্গে বড় জয়েও নেই মোহামেডানের উচ্ছ¡াস।
দলে পরীক্ষিত পেস বোলার বলতে শুধু শুভাশিষ। এক পেস বোলার নিয়ে লড়বে কিভাবে মোহামেডান ? লীগ শুরুর আগে এটাই ভাবনায় ফেলে দিয়েছিল ঐতিহ্যবাহী দলটিকে। অথচ,সেই দলটিই ক্ষয়িঞ্চু পেস শক্তি নিয়ে এখন দূর্বার। গতকালও স্পিন নির্ভরতায় হেসেছে মোহামেডান। শক্তিশালী গাজী গ্রæপের বিপক্ষে দুই পেসার শুভাশিষ,আরিফুলের ১১ ওভার উইকেটশুন্য, অবশিস্ট ২৬.১ ওভারে সেই মোহামেডানকেই হাসালো তিন স্পিনার। মাত্র ৯৪ রানে ভাগাভাগি করে নিল ১০ উইকেট! প্রথম ব্রেক থ্রুতে আনতে হয়েছে স্পিন, নাইম ইসলাম জুনিয়রের প্রথম ওভারেই সামছুর রহমান শুভ বোল্ড, পরের ওভারে এই বাঁ হাতি স্পিনারের শিকার মেহেদী, প্রথম স্পেলে ৯-০-৩০-৪ এ লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে তার অন্য দু’টি শিকার এনামুল বিজয়,পাকিস্তানী রিক্রুট সাইদ আনোয়ার জুুনিয়র। আগের ম্যাচে রূপগঞ্জের বিপক্ষে ৪ উইকেট (৪/৪৮), ওটাই ছিল সে সময় পর্যন্ত লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ার সেরা, তা ছাপিয়ে নাইম ইসলাম জুুনিয়রের গতকালকের সাফল্য ৪/৩৮ ! জানেন, টেস্ট এবং প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৭ উইকেটের ইনিংস আছে যার, সেই বাঁ হাতি স্পিনার এনামুল জুনিয়রের লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের সেরা বোলিংটা এলো গতকাল (৪/২৬)। এই দুই বাঁ হাতি স্পিন কম্বিনেশনের কাছে ছিন্ন ভিন্ন গাজী গ্রæপ, উড়ে যেতে হলো ১৪১ এ! তাও আবার এই স্কোরটা সম্ভব হয়েছে লোয়ার অর্ডারে কাপালীর ৬৭ বলে ৪৮ রানের প্রতিরোধে।
চ্যালেঞ্জটা মামুলি, লাঞ্চের আগে ৫১/১ স্কোর পেয়ে অবশিস্ট ৯১ রানে মোটেও বেগ পেতে হয়নি মোহামেডানকে। ব্যাটিংয়ে মোহামেডানকে নির্ভরতা দিয়েছেন ২ টপ অর্ডার সৈকত (৪২), থেরাঙ্গা (৪৭)। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সৈকত-থেরাঙ্গার ৭৬ রানে সহজ জয়ের পথটা হয়েছে তৈরি। অবশিষ্ট দায়িত্ব পালন করেছে ৪র্থ জুটির অবিচ্ছিন্ন ২ ব্যাটসম্যান নাইম-আরিফুল ৩৭ রানের প্রয়োজন মিটিয়ে। ৪ র্থ ম্যাচে এটি মোহামেডানের ৩য় জয়, সেখানে সম সংখ্যক ম্যাচে গাজী গ্রæপের দ্বিতীয় হার। পর পর ২টি বিগ ম্যাচে জিতে সেমি’র পথে পা বাড়িয়ে রেখেছে মোহামেডান। মোহামেডানÑগাজী গ্রæপ
গাজী গ্রæপ : ১৪০/১০ (৩৭.১ ওভারে), এনামুল বিজয় ২৩, সামছুর শুভ ২৬, সাইদ আনোয়ার জুনি. ১৭, অলক কাপালী ৪৮, হাবিবুর ২/২৭, নাইম জুনি. ৪/৩৮, এনামুল জুনি. ৪/২৬।
মোহামেডান : ১৪২/৩ (৩১.৫ ওভারে), সৈকত আলী ৪২, থেরাঙ্গা ৪৭, নাইম ১৮*, আরিফুল ২৫*, শরীফ ১/১৬, সাজেদুল ১/২৭, কাপালী ১/৩১।
ফল : মোহামেডান ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : নাইম ইসলাম জুনি. (মোহামেডান)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।