নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘরোয়া ফুটবলের মৌসুম সূচক টুর্নামেন্ট ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনীকে হারিয়ে মধুর প্রতিশোধ নিলো নবাগত বসুন্ধরা কিংস। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে এই আবাহনীর কাছে হেরে বসুন্ধরার স্বপ্নভঙ্গ হলেও স্বাধীনতা কাপে ঠিকই সফলতা পেল দলটি। সাডেন ডেথে আবাহনীকে হারিয়েই প্রতিশোধ নেয়ার পাশাপাশি স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল বসুন্ধরা। গতকাল বিকেলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বসুন্ধরা সাডেন ডেথে ৭-৬ গোলে আবাহনীকে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিলো। নির্ধারীত ৯০ মিনিটের খেলা ১-১ গোলে ড্র থাকায় দু’দলকে খেলতে হয় অতিরিক্ত আরো ৩০ মিনিট। সেখানে গোল পায়নি কোনো দল। ফলে ফলাফল নির্ধারণের জন্য রেফারি জালালউদ্দিনকে ম্যাচ নিয়ে যেতে হয় টাইব্রেকারে। সেখানে একই অবস্থা। টাইব্রেকারে ৪-৪ গোলে সমতা থাকায় সাডেন ডেথে ম্যাচের নিষ্পত্তি হয়। যেখানে সাফল্য পায় বসুন্ধরা। ঢাকা আবাহনীর সাডেন ডেথের শেষ শটটি রুখে দিয়ে দলের জয়ের নায়ক হন বসুন্ধরার গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। আগামী বুধবার ফাইনালে শেখ রাসেলের মুখোমুখী হবে নবাগতরা। টাইব্রেকার ও সাডেন ডেথে ঢাকা আবাহনীর সাইঘানী, ওয়ালী ফয়সাল, রুবেল মিয়া, সানডে, রায়হান ও বাদশা সফল হলেও ব্যর্থ হন বেলফোর্ট ও জিতু। অন্যদিকে বসুন্ধরার হয়ে কলন্দ্রেস ব্যর্থ হলেও গোল করেন বখতিয়ার, মার্কোস, হেমন্ত, নাসিরুদ্দিন, কাঞ্চন, মাসুক মিয়া জনি ও জিকো।
বলা যায় কাল নাটকীয় এক ম্যাচ দেখেছেন দর্শকরা। যার পরতে পরতে ছড়িয়ে ছিল রোমাঞ্চের ছোয়া। যেনো ফাইনালের আগে আরেকটি ফাইনাল ম্যাচ। কাগজে কলমে মৌসুমের সেরা দল বলা যায় বসুন্ধরা ও আবাহনীকেই।
জাতীয় দলের একাধিক ফুটবলার রয়েছেন এ দুই দলে। মানসম্পন্ন চার বিদেশী। সব থেকে বড় চমক বিশ্বকাপার কলিন্দ্রেসের মতো ফুটবলার রয়েছে বসুন্ধরা কিংসে। কিন্তু এতো কাঠখড় পুড়িয়েও কিনা ফেডারেশনকাপে এই ঢাকা আবাহনীর কাছে হেরেই অল্পের জন্য শিরোপা জয় এবং এএফসি কাপে খেলার সুযোগটা হাতছাড়া হয়েছিলো কিংসদের। এবার সেই হারের বদলাতো নিলই, সঙ্গে ঢাকা আবাহনীকে বিদায়ও করে দিলো।
কাল ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমনাত্মক ও রক্ষণাত্মক দুটোই খেলতে থাকে দু’দল। তবে গোলের দেখা পেতে বসুন্ধরাকে অপেক্ষা করতে হয় ম্যাচের ৭১ মিনিট পর্যন্ত। ওই সময়ে বাঁ প্রান্ত দিয়ে চমৎকার একটি ক্রস বাড়িয়ে দেন মাহবুবুর রহমান সুফিল। পোস্টের বেশ কাছেই বলটা পেয়ে যান মতিন। শুয়ে পড়ে গড়ানো বাকানো শটে গোল করেন তিনি (১-০)। তবে ঐতিহ্যবাহীদের সেমি থেকে ঝড়ে পড়ার শংকা ৮২ মিনিটে দূর করেন আবাহনীর হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড বেলফোর্ট। প্রায় মাঝ মাঠ থেকে আফগান ফরোয়ার্ড মাসীহ সাইঘানীর উচু করে বাড়িয়ে দেয়া বল বক্সে পান এই হাইতিয়ান। বসুন্ধরার দুই ডিফেন্ডারকে ফাকি দিয়ে উড়ে আসা বলে মাথা ছুইয়ে নিচু হেডে গোল করেন ব্যালফোর্ট (১-১)। কিন্তু সেই বেলফোর্টই হতাশ করেন টাইব্রেকারে ব্যর্থ হয়ে। অন্যদিকে প্রতিপক্ষের গোল রুখে দিয়ে এবং গোল করে হিরো বনে যান বসুন্ধরার গোলরক্ষক জিকো
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।