গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
নিজের নিরাপত্তা চেয়ে রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন গাজীপুর-২ আসনে বিএনপির ধানের শীষ মনোনীত প্রার্থী সালাহ্উদ্দিন সরকার। তিনি অভিযোগ করে বলেন, জিএমপি পুলিশের পক্ষপাতমূলক ভূমিকাকে নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এর মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত করবে। তিনি বলেন সোমবার রাতে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের গাছা ও টঙ্গী পূর্ব থানা কম্পাউন্ডে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের জন্য ভূড়িভোজের আয়োজন করে পুলিশ। এসময় আওয়ামীলীগ দলীয় স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, মতিউর রহমান মতিসহ আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগের প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন। এর পর থেকে রাতব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীদের বাসা-বাড়িতে চলে পুলিশী অভিযান। পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের বাসা-বাড়িতে গিয়ে নৌকায় ভোট দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছে; অন্যথায় মিথ্যা মামলায় দিয়ে জেলে পাঠানোর হুমকি দিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী সালাহ্উদ্দিন সরকার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গাজীপুর জেলা প্রশাসকের সাথে সাক্ষাত করে এসব অভিযোগ করেন। তিনি এসময় নিজ হাতে সরাসরি একটি লিখিত অভিযোগও দাখিল করেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, জিএমপি পুলিশের পক্ষপাতমূলক ভূমিকা নির্বাচনে কাঙ্খিত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এর মারাত্মক অন্তরায়। এতে তিনি আরো উল্লেখ করেন, ধানের শীষ প্রতীকের নির্বাচনী প্রধান এজেন্ট জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সরাফত হোসেন ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি আরিফ হোসেন হাওলাদারসহ নির্বাচনী কর্মকান্ডে সংশ্লিষ্ট ৫৮ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে গত ১৫ ডিসেম্বর টঙ্গী পূর্ব থানায় গায়েবী মামলা (নং-৩৯) দায়ের করে পুলিশ। ইতিমধ্যে জিএমপির সদর থানায়ও আরেকটি গায়েবি মামলা দেয়া হয়েছে। এমনকি পুলিশ আরো একাধিক গায়েবি মামলার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বলে তার (ধানের শীষের প্রার্থীর) কাছে খবর রয়েছে।
এছাড়া পৃথক তিনটি অভিযোগে সালাহ্উদ্দিন সরকার রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে নিজের নিরাপত্তা চেয়ে জানান, তাকে নির্বাচনী প্রচারকাজে বাধা প্রদানসহ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আওয়ামীলীগ কর্মীরা সোমবার সন্ধ্যায় তার নির্বাচনী প্রচার কাজে নিয়োজিত ২টি মাইক ভেঙ্গে ফেলে এবং প্রচারকর্মীদের মারধর করে। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রায় প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের প্রাচির ঘেঁষে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা ধানের শীষ প্রতীকের সব পোস্টার ছিড়ে ফেলছে এবং নতুন করে কোথাও পোস্টার লাগাতে দিচ্ছে না। এমনকি বিএনপি প্রার্থীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঘেঁষে টানানো ধানের শীষ প্রতীকের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে তদস্থলে নৌকার পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। লাগামহীনভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় নৌকা প্রতীকের প্রতিদ্বন্দ্বীপ্রার্থী ও তার কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে সালাহ্উদ্দিন সরকার আরো বলেন, তফসিল ঘোষণার পর সংসদ স্থগিত হলেও স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যক্তিগত নিরাপত্তাসহ সব ধরণের সরকারি সুবিধা ভোগ করছেন। অপরদিকে আওয়ামীলীগের হুমকি ও সহিংস আচরণের কারণে তিনি নিরাপত্তহীনতায় ভোগলেও তাকে কেন নিরাপত্তা দেওয়া হবে না’ তিনি এমন প্রশ্ন রাখেন রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।