Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকা প্রয়োজন আ.লীগের

বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় শেখ হাসিনা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আরও পাঁচটি বছর ক্ষমতায় থাকা প্রয়োজন আওয়ামী লীগের। কারণ, উন্নয়ন কর্মকান্ড শেষ করতে আরেকবার ক্ষমতায় যাওয়া প্রয়োজন। দেশবাসীর কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে তিনি বলেন, দেশকে আরও উন্নত করতে চাই। আমি একটা কথাই বলবো, নৌকা মার্কায় ভোট চাই। দেশের সেবা করে দেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসাবে গড়ে তুলতে চাই। গতকাল বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার বিশ্বাস ও আস্থা আছে আগামী ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দেবে। বাংলাদেশের জনগণ কখনও ভুল করে না। সে জন্যই বিজয় দিবসে, বাংলাদেশের জনগণের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাই। এই অগ্রযাত্রা যেন কেউ কেড়ে নিতে না পারে।
বিগম সময়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের দুর্নীতি, অপশাসনের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০০১ সালে জনগণের ভোটে তারা ক্ষমতায় আসেনি। তাই তাদের জনগণের কাছে কোন জবাবদিহিতাও ছিলো না। তাই খুন-হত্যা-লুট-সন্ত্রাস করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরী করেছিলো বিএনপি-জামায়াত সরকার। আর দেশের মানুষকে অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে।
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যুদ্ধাপরাধীদের স্বজনদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। মানুষ পুড়িয়ে হত্যার রাজনীতিবিদদের ভোট চাওয়ার কোনও অধিকার নাই। যারা বাংলাদেশ চায়নি তারা কীভাবে ভোট চায়।
শেখ হাসিনা বলেন, সেজন্যই আজ বিজয় দিবসে, বাংলাদেশের জনগণের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাই। ভোট এই কারণে যে, বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা যেন কেউ কেড়ে নিতে না পারে। স্বাধীনতাবিরোধী, খুনি, রাজাকার, আলবদও, আল-শামস বাহিনী, বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী, গ্রেনেড হামলাকারী, দুর্নীতিবাজ, অস্ত্র চোরাকারবারি, সাজাপ্রাপ্ত খুনি আসামি; এরা কখনো এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দেবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি একটা কথাই বলবো, নৌকা মার্কায় ভোট চাই। দেশের সেবা করে দেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসাবে গড়ে তুলতে চাই। যে বাংলাদেশের স্বপ্ন জাতির পিতা দেখেছিলেন এবং আমার বিশ্বাস আছে বাংলাদেশের জনগণ আমাদের ভোট দেবে।
২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করার অঙ্গীকার করে তিনি বলেন, ২০২০ থেকে ২০২১ এই বর্ষকে আমরা মুজিব বর্ষ হিসাবে ঘোষণা দিয়েছি। আমরা তার বছরব্যাপী শতবার্ষিকী উদযাপন করেই উদযাপন করবো আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। এই সুবর্ণজয়ন্তী যখন উদযাপন করবো বাংলাদেশ তখন বাংলাদেশকে আমরা দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলবো, ইনশাল্লাহ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো মানুষ গৃহহারা থাকবে না, ক্ষুধার্ত থাকবে না। বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না। এটা আমাদের অঙ্গীকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেইভাবেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আজ নব্বই ভাগ মানুষের ঘরে আলো জ্বালাতে পেরেছি। বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত করতে পেরেছি। বাংলাদেশ যে আজ এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষ আজকে খুশি। গ্রামের মানুষ বিশেষ করে সব থেকে নারীরা বেশি উৎসাহিত। আমাদের মেয়েদের উন্নয়নের ব্যাপক সার্বিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি।
পাশাপাশি দুঃস্থ মাতা, স্বামী পরিত্যক্ত ও বিধবা, বয়স্ক ভাতা চালুর উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ভাতার ফলে সংসারে তারা একটি স্থান পাচ্ছে। তাকে আর ঘর সংসার ফেলে চলে যেতে হচ্ছে না। তার সমাজে একটা জায়গা হচ্ছে। এই সুযোগটা আমরা তার জন্য করে দিয়েছি। বাংলাদেশের যে ইতিহাস, যে চেতনা নিয়ে এদেশ স্বাধীন হয়েছে, সেই চেতনা নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের বিজয় দিবস এমন একটা সময়ে উদযাপন করছি, মানুষ আজ স্বাধীনভাবে মন খুলে এই বিজয়ের উল্লাস করতে পারছে। বিজয় দিবস তারা উদযাপন করতে পারছে। একটা সময় ছিল এটা উদযাপন করাই যেত না। ইতিহাস বলা যেত না। বিকৃত ইতিহাস বলতে হতো। এখন আর সেই অবস্থাটা নাই। সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে এবং এই ধারাবাহিকতাই বজায় থাকতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আর কেউ বাংলাদেশকে পিছনে ফেলতে পারবে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশে হতদরিদ্র বলে কিছু থাকবে না। প্রত্যেকটি মানুষের খাদ্য, চিকিৎসা, বাসস্থান যেটুকু বাকি আছে, সেটাও আমরা করতে সক্ষম হবো। সেজন্য আমাদের আরও ৫টি বছর সরকারে থাকা একান্তভাবে প্রয়োজন।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৭:৩৮ এএম says : 0
    প্রধানমন্ত্রী কওমি জননী শেখ হাসিনা আজ যে কথা বলেছেন এটা আমরা বার বার বলে আসছি আল্লাহ্‌ যেন ওনাকে বাংলাদেশের কল্যাণের জন্যে অন্তত আরো একবার ক্ষমতায় আনেন যাতে করে উনি এখন যে কাজ করছেন সেটা শেষ করে দেশ থেকে দুর্নীতি দমন করতে পারেন। দেশের উন্নয়নের সময়ে গণতন্ত্র বা দুর্নীতি দমন একটু অসুবিধা এটা বুঝতে হবে তবে এরও একটা সময় আছে কাজেই এখন পর্যায় ক্রমে উন্নয়নের সাথে সাথে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতি দমন করতে হয় এটাও বুঝার বিষয় তাই না?? সেজন্যেই সময়ের প্রয়োজন তাই জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের (দেশের মালিক জনগণের) কাছে আরো ৫ বছরের জন্যে সময় চেয়েছেন তার প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্যে। এখন যদি তিনি এই ৫ বছর পাবার পরও আমাদেরকে প্রকৃত বাংলাদেশ যেটা আমারা (মুক্তিযোদ্ধারা) চেয়েছিলাম সেটা দিতে না পারেন তাহলে তিনি আমাদের (দেশবাসীর) সামনে কথা বলার অধিকার হারাবেন এটাই সত্য। আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে আল্লাহ্‌র হেকমত বুঝার ও সেইভাবে চলার ক্ষমতা দিন। আমিন
    Total Reply(0) Reply
  • M N Ahmed ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:১৯ পিএম says : 0
    Very simple plan. If they win the election, in the next 5 years they ............................................
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Kowaj Ali khan ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৭:২৩ এএম says : 0
    আমার বিশ্বাস জাতি মিত্যাবাদীদেরকে ঘৃণা করিবেন। আর চির বিদায় দিবেন। খোনীদেরকে। ইনশাআল্লাহ। *****--*-
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শেখ হাসিনা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ