পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের প্রায় বেশিরভাগ সংসদীয় আসনে ঐক্যফ্রন্ট ও মহাজোটের একক প্রার্থী থাকলেও ব্যতিক্রম চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে। এখানে ধানের শীষের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে আপেল। আর নৌকার বাধা হিসাবে মাঠে আছে লাঙ্গল। প্রধান দুই প্রতিদ্ব›দ্বী জোটের শরিক দল থেকে দুই প্রভাবশালী প্রার্থী মাঠে নেমে পড়ায় হিসাব উলট-পালট হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই আসনে বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মাঠে নেমে পড়েছেন ২০ দলের শরিক জামায়াতের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা জহিরুল ইসলাম। ধানের শীষের সমান্তরালে তিনি আপেল প্রতীকে ভোটের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। চট্টগ্রামের অন্য ১৫টি আসনে বিএনপি জোটের সকলে ভোটের মাঠে একাট্টা হলেও এই আসনে ব্যতিক্রম জামায়াত। তারা ধানের শীষের বদলে নিজ দলের নেতার আপেল নিয়েই মাঠে। নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানও টেনশমুক্ত নন। একই আসনে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও জাতীয় পাার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহমুদুল ইসলাম এলাকায় ভোটের প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই আসনে তিনি মহাজোটের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েও তিনি মাঠে আছেন। এলাকায় তার প্রভাব এবং একই সাথে দলের অভ্যন্তরে কলহ-বিরোধ থাকায় শঙ্কায় নৌকার প্রার্থী। চট্টগ্রামের হাটহাজারী আসনে জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে মহাজোটের মনোনয়ন দেওয়া হয়।
আর অন্য কোনো আসনে জাতীয় পার্টির কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। কয়েকটি আসনে লাঙ্গলের প্রার্থী মাঠে থাকলেও তাদের নিয়ে কোন আলোচনা নেই। নৌকার প্রার্থীদের আসনে এরশাদের লাঙ্গলের প্রার্থীদের ভোটের লড়াইয়ে থেকে যাওয়াকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ‘রাজনৈতিক কৌশল’ বললেও বাঁশখালীতে লাঙ্গল আতঙ্কে আছেন নৌকার সমর্থকেরা।
চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসন ছেড়ে দেওয়া হয় জামায়াতকে। ওই আসনে জামায়াতের নায়েবে আমির আ ন ম শাসমুল ইসলাম ধানের শীষের প্রার্থী। অথচ জামায়াত বাঁশখালী আসনে প্রার্থী দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। গেল উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থী মাওলানা জহিরুল ইসলাম নির্বাচিত হন। তিনি দলের কোন বড় নেতা না হলেও শুধুমাত্র উপজেলায় তিনি ভোট পেয়েছেন এ কারণে তাকে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী করে জামায়াত।
ভোটারদের আশঙ্কা ঐক্যফ্রন্টের এই দুই প্রার্থীর ভোট কাটাকাটি হয়ে যাবে। নৌকার সমর্থকেরাও লাঙ্গলে ভোট কাটার আশঙ্কা করছেন। ফলে আপেল আর লাঙ্গলে এবার ধানের শীষ-নৌকার ভোটের হিসাব পাল্টে যেতে পারে বলেও মনে করছেন ভোটারদের কেউ কেউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।