পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশের আগামী সাধারণ নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ঢাকায় নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাতকালে তিনি বলেন, আমরা আশা করি আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ ও শান্তিপূর্ণ হবে। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বৈঠকের আলোচনায় বাংলাদেশের একাদশ সাধারণ নির্বাচন প্রসঙ্গ উঠে আসে। রাষ্ট্রদূত জানান, নির্বাচন পর্যবেক্ষণে মার্কিন দূতাবাস মোট ১১টি দল গঠন করবে, যাতে ৩২ জন মার্কিন পর্যবেক্ষক থাকবেন।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে মিলার বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে পারেন সে জন্য মিয়ানমারে তেমন পরিবেশ থাকা উচিত। রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে দৃঢ় আখ্যা দিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র জ্বালানী ও শিক্ষা খাতে বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতা গড়ে তুলতে চায়। এসময় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সংগ্রামের কথা বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিল, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বিরল উদাহরণ।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে সরকার নির্বাচনকালীন সরকারের কিছু মন্ত্রণালয় বিরোধীদের দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল, কিন্তু তারা সহিংসতা, আগুন দেয়া ও মানুষ হত্যা বেছে নিয়েছিল।
নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা হচ্ছে বলে বিরোধী রাজনৈতিক দলের অভিযোগ সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান নির্বাচনকালীন সন্ত্রাসের শিকার হয়ে তাঁর দলেরও দুইজন কর্মী প্রাণ হারিয়েছে। এ বিষয়ে আমি আমার দলের নেতা-কর্মীদের ধৈর্য ধারণের আহবান জানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইট পুনরায় চালুর বিষয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন। শিক্ষা খাতের উন্নয়নে তাঁর সরকারের পদক্ষেপসমূহের উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করছে।
দেশের অর্থনৈতিব উন্নয়নের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, যদি আমাদের সরকার ভোটে জয়লাভ করে পুনরায় ক্ষমতায় আসতে পারে তাহলে আমাদের লক্ষ্য রয়েছে জিডিপি প্রবৃদ্ধিকে আগামী অর্থবছরে ৮ শতাংশে উন্নীত করার।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।