Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

পৃথিবীর ৯৯.৯৯ শতাংশ প্রজাতি এখনো অনাবিষ্কৃত

প্রকাশের সময় : ৭ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : মানুষকে বলা হয় সৃষ্টির সেরা জীব। মানুষের সেরা হওয়ার যতগুলো কারণ আছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে, মানুষই সর্বপ্রথম পৃথিবীর অন্য প্রাজাতির প্রাণীদের অনুসন্ধান করতে শুরু করে। সেই অনুসন্ধান এখনো চলছে। মানুষ গহীন জঙ্গলে, পর্বতে, গুহায়, গভীর সমুদ্রে যেমন খুঁজছে প্রাণের সন্ধান, তেমনি খুঁজছে মহাশূন্যে। কিন্তু পৃথিবীতে ঠিক কত প্রজাতির প্রাণী রয়েছে সেই বিষয়ে মানুষের জ্ঞান যে অতি ক্ষুদ্র সেটা বেরিয়ে এসেছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়। পৃথিবীর ৯৯.৯৯ শতাংশ প্রাণীই এখনো অনাবিষ্কৃত!
ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পৃথিবীতে আরও এক ট্রিলিয়ন (এক হাজার কোটি) প্রজাতির প্রাণী রয়েছে যার কথা বিজ্ঞানীরা এখনো পর্যন্ত জানে না। অর্থাৎ ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ এখনো আমাদের অজানা। এই গবেষণা যদি সত্যি হয় তাহলে মোট প্রাণী প্রজাতির মাত্র ১ শতাংশ আমরা এখন পর্যন্ত আবিষ্কার করতে পেরেছি।
এই গবেষণার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে, গবেষকরা বলেছেন, প্রাণী প্রজাতির সংখ্যা নির্ণয়ের এই পরীক্ষা চালানো হয়েছে জেনেটিক সিকুয়েন্সিং টুল বা জিনের ধারাবাহিকতা নির্ণয়ক যন্ত্র দিয়ে। এই যন্ত্রের মাধ্যমে একটি সম্প্রদায়ের সামগ্রিক প্রজাতি সংখ্যা নির্ণয় করা যায়।
গবেষণার লেখক এবং ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানী জে লেনন এবং কেন লোসে অনু-পরমাণু পর্যায়ের ফাঙ্গাই থেকে শুরু করে বড় আকৃতির স্তন্যপায়ী প্রাণীদের একটি তালিকা তৈরি করেছেন। ঐ তালিকার মিশ্রণ থেকে স্কেলিং ল বা পরিমাপ আইন ব্যবহার তারা প্রাণী ও উদ্ভিদের মোট প্রজাতির সংখ্যা বের করেছেন।
লেনন বলেছেন, ‘জীবাণুদের মধ্যে যে কি পরিমাণ বৈচিত্র্য রয়েছে সেটা আমাদের কল্পনাতেও ছিল না।’ লেনন এবং লোসে আবিষ্কার করেছেন, এই পর্যন্ত যত জীবাণু আবিষ্কৃত হয়েছে তার এক লাখ গুণ বেশি জীবাণু এখনো অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে। আরও ১০০ মিলিয়ন (১০ কোটি) জীবাণু নিয়ে গবেষণা করতে হবে। জনপ্রিয় বিজ্ঞান ভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘আইএফএল সাইয়েন্স’কে বিজ্ঞানী লোসে বলেছেন, এই অনাবিষ্কৃত মাইক্রোঅর্গানিজম বা অতি ক্ষুদ্র জীবাণুদের নিয়ে গবেষণা করাটা মোটেই হেলাফেলার বিষয় নয়। কারণ এই গবেষণাই আমাদের নিজেদের উৎপত্তির কারণ খুঁজে বের করতে সাহায্য করবে। লোসে বলেন, এটা অনেকটা মহাশূন্যের গালাক্সি কিংবা আমাদের মিল্কিওয়ে বা আকাশ গঙ্গা ছায়াপথ পর্যবেক্ষণ করার মত। মহাবিশ্বের বিশালত্ব নিয়ে অতি বৃহৎ গবেষণা আর ক্ষুদ্র জীবাণুর অতি ক্ষুদ্রতা নিয়ে গবেষণার একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। কিন্তু মিলটা হচ্ছে দুটোই অসীম বৈচিত্র্যময়। পৃথিবীতে আমাদের আবির্ভাবের কারণ খুঁজতে হলে এই দুই গবেষণাই জরুরি। ওয়েবসাইট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পৃথিবীর ৯৯.৯৯ শতাংশ প্রজাতি এখনো অনাবিষ্কৃত
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ