পীর সাহেব বায়তুশ শরফ আল্লামা কুতুব উদ্দীন (ম জি আ) বলেন, আনজুমান ইত্তেহাদ বাংলাদেশ পরিচালিত বায়তুশ শরফ রুহানী তাযকিয়ার পাশাপাশি মানব সেবার একটি অনন্য প্রতিষ্ঠান। তিনি বলেন, আল্লাহর মেহেরবানীতে বায়তুশ শরফ শিক্ষা-চিকিৎসা ও মানব সেবায় নিরলসভাবে কাজ করে এই অবস্থানে দাড়িয়েছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে হাজার হাজার মানুষ বায়তু শরফের সেবা নিয়ে উপকৃত হচ্ছেন।
আজ দুপুরে কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের প্রশাসনিক অফিস
উদ্বোধনকালে পীর সাহেব আল্লামা কুতুব উদ্দীন এ কথা বলেন।
প্রতি বছর ফাতেহায়ে ইয়াজ দাহুম উপলক্ষে কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সে সমবেত হয়ে থাকেন দেশ বরেণ্য ওলামা মশায়েক, দ্বীন দরদী আল্লাহ ও রসুলের আশেকান। তিনি বলেন, রসূলে পাক সঃ এর ওসিলায়
এই বরকতপূর্ণ মাহফিলে বরকতে আল্লাহ পাক আমাদের গোনাহ মাপ করবেন। আমাদের দেশ ও জনপদে শান্তি সমৃদ্ধি দান করবেন বলে তিনি
আল্লাহর কাছে কামনা করেন।
তিনি বলেন, হযরত বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী রহঃ রসুলে পাক সঃ এর অনুসরণে রেখেগেছেন মানুষের রুহানী তাযকিয়া ও মানব সেবার অনন্য উদাহারণ। বায়তুশ শরফ সে পথ অনুসরণ করে রুহানী তাযকিয়ার পাশাপাশি মানব সেবার কাজ করে যাচ্ছে।
আগামী ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর কক্সবাজার বায়তুশ শরপ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ফাতেহায় ইয়াজ দাহুম উপলক্ষে মাহফিলে ইসালে সওয়াব। মাহফিলের কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে, ওলামা মশায়েখ সমাবেশ, খতমে বোখারী, ওয়াজ মাহফিল, জিকির মাহফিল, দেশ ও মুসলিম মিল্লাতের শান্তি সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত। ১৯ ডিসেম্বর বাদ ফজর আখেরী মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য প্রতিবছর অনুষ্ঠিত বায়তুশ শরফের এই মাহফিল কক্সবাজার এলাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দ্বীন দরদী মুসলমানদের
অংশ গ্রহণে কক্সবাজারের বৃহত্তর মাহফিলে পরিনত হয়ে থাকে। এ বছরও তাই হবে বলে আয়োজকরা আশা করছেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের মহাপরিচালক এম এম সিরাজুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম কামাল উদ্দীন, মাষ্টার ফরিদ আহমদ, মাওলানা শেহাব উদ্দীন, মাওলানা সালাহ উদ্দীন বেলাল, মাওলানা রিদুয়ানুল হক, মাওলানা ওমর ফারুক ও
মাওলানা শফিউল আলম প্রমূখ।