Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নোয়াখালীর ৬টি আসনে প্রচার প্রচারণায় সার্বিক নিরাপত্তা চান ধানের শীষ মার্কার প্রার্থীরা

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১১:৩৬ এএম | আপডেট : ১২:৪১ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

নোয়াখালীর ৬টি আসনে বিএনপির ভিআইপি প্রার্থীর ছড়াছড়ি। একজন সাবেক উপ রাষ্ট্রপতি ও বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য, দুইজন ভাইস চেয়ারম্যান, একজন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা, একজন যুগ্ম-মহাসচিব এবং একজন তিনবারের এমপি ও বিজিএমইএ’র প্রতিষ্ঠাতা ফাস্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট। এক কথায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এদের যশখ্যাতি রয়েছে। তেমনিভাবে বিএনপির জাতীয় রাজনীতিতেও তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
এরমধ্যে নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ি একাংশ) বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ি একাংশ)বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও চারবারের সাবেক এমপি জয়নুল আবদীন ফারুক, নোয়াখালী-২ (বেগমগঞ্জ) সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লা বুলু, নোয়াখালী-৪ (সদর-সূবর্ণচর) বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান, তৃণমূল সমন্বয়ক ও পাঁচবারের সাবেক এমপি মোহাম্মদ শাহজাহান, নোয়াখালী-৫(কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) সাবেক উপরাষ্ট্রপতি ও বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ এবং নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে বিজিএমইএ’র প্রতিষ্ঠাতা ফাস্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হাতিয়ার আসনে তিনবারের সাবেক এমপি প্রকৌশলী ফজলুল আজিম।
দলীয় প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকে হামলা মামলার শিকার হন বিএনপি প্রার্থী ও প্রচারকর্মীরা। এরমধ্যে ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদের সমর্থনে কবিরহাট বাজারের জিরো পয়েন্টে পূর্ব নির্ধারিত পথসভায় ভন্ডুল করে দেয় নৌকা মার্কার সমর্থকরা। হামলায় ৩০ জন আহত হওয়া ছাড়াও বিএনপি সমর্থিত বেশ কয়েকটি দোকানপাট ও ঘরবাড়িতে হামলা চালানো হয়। কবিরহাটে উক্ত নির্বাচনী আসনে প্রচার প্রচারণা নেই বলে অভিযোগ করেছেন ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ। তিনি আরো বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা দূরের কথা আমাকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে। গত শনিবার নোয়াখালী-১ আসনের সোনাইমুড়ি বাজারে বিএনপির কর্মসূচীতে হামলা চালায় নৌকা মার্কার সমর্থকরা। এতে ধানেরশীষ প্রার্থী ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়া বিএনপি সমর্থিত বেশ কিছু দোকান পাট ও পরিবহন কাউন্টার ভাঙ্গচুর হয়।
রবিবার বিজয় দিবস অনুষ্ঠানের পর নোয়াখালী-২ আসনে বিএনপি প্রার্থী জয়নুল আবদীন ফারুকের প্রচার গাড়িতে হামলা চালায় নৌকা মার্কার সমর্থকরা। এতে সেনবাগ উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদসহ ৬জন আহত হয়। হামলায় প্রচারগাড়ি ভাঙ্গচুর হয়। নোয়াখালী-৬ আসনের চানন্দী ইউনিয়নের আলআমিন বাজারে বিএনপি প্রার্থী প্রকৌশলী ফজুলল আজিমের গাড়িবহরে হামলা করে দূর্ব্যত্তরা। এতে ৮টি গাড়ি ভাঙ্গচুর ছাড়াও ১০ জন আহত হয়। নোয়াখালী-৪ আসনে গত দুইদিন পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও বিএনপি প্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহান অভিযোগ করেন যে, হামলা, মামলা ও পুলিশী আটকের ভয়ে তার নির্বাচনী প্রচরণা এক প্রকার বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে নৌকা মার্কার সমর্থকরা ধানেরশীষ মার্কার কর্মীদের হুমকি ধমকি অব্যাহত রেয়েছে। এতে করে নির্বাচনী পরিবেশ চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এসব বিষয়ে তিনি নোয়াখালী জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার ও পুলিশ সুপারকে বার বার অবহিত করলেও ফলোদয় হচ্ছেনা।
জেলার ৬টি আসনে ধানেরশীষ প্রার্থী ও কমী সমর্থকদের উপর সরকারী দলের হামলা, নির্বাচনী প্রচারণায় বাধাপ্রদান এবং অজুহাত ছাড়াই বিএনপি নেতাকর্মীদের পুলিশ কর্তৃক আটক এবং প্রশাসনের নীরবতা প্রতিবাদে গত শনিবার বিএনপির ৬জন প্রার্থী নোয়াখালী আইনজীবি সমিতি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে ৬টি আসনের ধানেরশীষ মার্কার প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকার চিত্র তুলে ধরেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ