পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বেচ্ছাচারী শাসন ব্যবস্থার অবসান করে সুশাসন, ন্যায়ভিত্তিক, শোষনমুক্ত একটি কল্যাণমূলক মানবিক রাষ্ট্র গঠনের আহবান নিয়ে আজ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষনা করছে। ইশতেহারে বিভক্তি আর নয়, জাতীয় ঐক্য, কথা বলার অধিকার, গণমাধ্যমের অধিকার, আইনের সংস্কারের মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার বিষয় ইশতেহারে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। প্রথমে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আলাদা ইশতেহার ঘোষণার কথা শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত ঐক্যফ্রন্টের অভিন্ন ইশতেহার প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতকাল জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পল্টনের অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন ইশতেহার ঘোষনার কথা জানান। আজ বেলা ১১টায় রাজধানীর মতিঝিলের হোটেল পূর্বাণীতে ইশতেহার ঘোষণা করা হবে।
বেগম খালেদা জিয়ার ‘ভিশন ২০৩০’ এবং ঐক্যফ্রন্টের ১১দফা লক্ষ্যকে সামনে রেখে নির্বাচনী ইশতেহারের খসড়া তৈরী হচ্ছে। এ ইশতেহারে দুর্নীতিমুক্ত, দক্ষ ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন গড়ে তুলে সুশাসন নিশ্চিতের অঙ্গিকার থাকছে। পাশাপাশি আইনের শাসন নিশ্চিত করতে বিচারবিভাগের স্বাধীনতা ও ক্ষমতা নিশ্চিত করা এবং স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিচারক নিয়োগের নীতমালা প্রণয়ন ও সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করার বিষয়ও ইশতেহারে থাকছে। ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে শাসন ব্যবস্থায় ক্ষমতার ভারসাম্য আনয়নসহ প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণের বিষয়টি। এক ব্যক্তি কেন্দ্রিক নির্বাহীক্ষমতার অবসান কল্পে সংসদে, সরকারে, প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনার কথা ইশতেহারে গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করা হচ্ছে। এছাড়া বেকারদের জন্য ভাতা চালুর বিষয়টিও থাকছে তাদের ইশতেহারে।
ইশতেহারের উল্লেখিত বিষয়বস্তু সম্পর্কে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা মোস্তফা মহসীন মন্টু জানান, ঐক্যফ্রন্টের দলগুলোর দেয়া ইশতেহারের সমন্বয়ে অভিন্ন একটি ইশতেহার তৈরি করা হয়েছে। ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে ঐক্যফ্রন্টের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত থাকবেন। ইশতেহারে ঐক্যফ্রন্ট প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলোর প্রতিফলন থাকবে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার তৈরির জন্য ৬ সদস্যের কমিটি কাজ করেছে। কমিটির সদস্যরা হলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মাহফুজ উল্লাহ, আ ও ম শফিক উল্লাহ, ডা. জাহেদ উর রহমান, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন ও অধ্যক্ষ ইকবাল সিদ্দিকী।
ইশতেহারের বিষয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ইশতেহারে আমাদের অন্যতম গুরুত্ব থাকবে কৃষক, যাতে কৃষক উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পায়। ঢাকার মানুষও যেন ন্যায্যমূল্য পায়। সবদিকে সামঞ্জস্য রাখা হবে। আমরা এমন ইশতেহার দেব যাতে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তরা বেশি উপকৃত হন। এছাড়াও আইনের নামে বাংলাদেশে যেসব ‘অপআইন’ চলছে এগুলো বন্ধের ঘোষণা থাকবে। এক কথা আমরা একটি মানবিক ন্যায় বিচারের দেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষে ইশতেহার প্রকাশ করবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।