Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ট্রাম্প না হিলারি : ভোটারদের সামনে তিনটি কারণ বিবেচ্য

প্রকাশের সময় : ৭ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনটি হতে পারে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অজনপ্রিয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা। অর্ধেক আমেরিকান, যারা হোয়াইট হাউজের জন্য হিলারি ক্লিনটন বা ট্রাম্পকে সমর্থন করেন; তারা বলেছেন, তাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিপক্ষের বিজয়কে প্রতিহত করা। এতে বোঝা যায়, এই নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মতাদর্শগত বিভক্তি ঘটেছে। দলের বিরুদ্ধে ভোটারদের আতঙ্ক বাড়ছে। ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পলিটিক্সের ডিরেক্টর ল্যারি সাবাতো বলেন, এই নির্বাচনে মন্দের ভালো হিসেবে তারা পছন্দ করবেন নিউইয়র্কের রিয়েল এস্টেট ব্যববসায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প অথবা সাবেক ফার্স্টলেডি হিলারি ক্লিনটনকে।
তিনি এই, পরিস্থিতিকে নেতিবাচক বিভক্তি হিসেবে উল্লেখ করেন। এবং বলেন, আমরা যদি বিভক্তি বাড়াতে থাকি, তবে ট্রাম্প ও ক্লিনটনের চেয়ে ভালো কোনো প্রার্থী আমরা খুঁজে পাবো না।
ট্রাম্প মুসলমানদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে না দেয়া, মেক্সিকো সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তিগুলো পুনরালোচনার মতো বিতর্কিত ও কট্টর কথাবার্তর জন্য বিশেষ এক ধরনের ভোটারের সমর্থন পাবেন।
এদিকে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নেয়া নীতিগুলো অব্যাহত রাখতে তাকে নির্বাচিত করতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান। তবে তিনি ওবামা প্রশাসনের উন্নয়নের ভুলত্রুটিগুলো সম্পর্কে ভোটারদের বিরোধিতার মুখোমুখি হচ্ছেন।
তবে যাই হোক, আগামী ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রাইমারিগুলোতে ভোটাররা ট্রাম্প অথবা ক্লিনটনকেই পছন্দ করেছেন। ট্রাম্পের ৪৭ শতাংশ সমর্থক বলেন, তারা প্রাথমিকভাবে ট্রাম্পকেই সমর্থন করেন, কারণ তারা চান না ক্লিনটন জয়ী হোক। অন্য ৪৩ শতাংশ ট্রাম্পের রাজনৈতিক অবস্থান বিবেচনা করে ভোট দেবেন এবং ৬ শতাংশ ট্রাম্পকে ভোট দেবেন, তাকে ব্যীক্তগতভাবে জানেন বলে।
একই ধরনের সাড়া পাওয়া গেছে ক্লিনটন সমর্থকদের মধ্য থেকেও। তার সমর্থকদের ৪৬ শতাংশ বলেছেন, তারা ক্লিনটনকে ভোট দেবেন, কারণ তারা ট্রাম্পকে চান না। ৪০ শতাং তার রাজনৈকি অবস্থানের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন এবং ১১ শতাংশ তাকে ভোট দেবেন ব্যক্তিগতভাবে চেনার কারণে।
গত ২৯ মে’র নির্বাচনে নির্বাচনে দেখা যায়, ভোটারদের ৪৬৯ জন ট্রাম্পকে পছন্দ করেন এবং ৫৯৯ জন পছন্দ করেন ক্লিনটনকে। তবে নির্বাচনের আগে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ভোটাররা তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারেন। এ সময়ের মধ্যে প্রার্থীরা পার্টির সম্মেলনে নিজেদের যোগ্য করে তুলবেন। তারা ধারাবাহিকভাবে জাতীয় বিতর্কে অংশ নেবেন এবং কোটি কোটি ডলার নির্বাচনী প্রচারণার কাজে ব্যবহার করবেন।
এমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যাব্রামোৎজ বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিকূল পরিবেশও তৈরি হতে পারে।
তিনি বলেন উভয় প্রার্থীই তাদের সর্বোচ্চ কৌশল কাজে লাগিয়ে যাচ্ছেন এবং এসব কৌশল দিয়ে একে অপরকে ঘায়েল করা কঠিন হয়ে পড়বে। পরিস্থিতিটা খুবই নেতিবাচক হতে চলছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এ অবস্থা দীর্ঘ সময়ের জন্য অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
২০১৪ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, গত অল্প কয়েক দশক ধরে ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকানদের মধ্যে ক্রমাগত পরস্পরের প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী বাড়ছে। ওই গবেষণায় দেখা যায়, এক-চতুর্থাংশের বেশি ডেমোক্রেট ও এক-তৃতীয়াংশের বেশি রিপাবলিকান পরস্পরকে দেশের মঙ্গলের জন্য হুমকি মনে করেন।
৫৯ বছর বয়সী মারি উথা’র রিপাবলিকান সমর্থক বলেন, রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন কে পেলেন, আমি সেটা দেখবো না। ট্রাম্পকে সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, সে যা-ই হোক আমি তাকে ভোট দেবো। আমার ভোট কখনো ক্লিনটনের পক্ষে যাবে না।
মেরিল্যান্ডের এবিংডনের বাসিন্দা নিরপেক্ষ ভোটার ৬৯ বছর বয়সী জো-এনি মিচাউদ বলেন, তিনি শেষ পর্যন্ত তার ন্তিাভাবনা পরিচ্ছন্ন রাখবেন। এর আগে যদিও সে রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটÑ উভয় দলের প্রার্থীকেই ভোট দিয়েছেন, তবে এবার তিনি ট্রাম্পকে পছন্দ করবেন না বলে জানান। মিচাউদ বলেন, আমি তার প্রচারণা দেখেছি এবং তাতেই তাকে আমার ভালো লেগেছে। তবে তিনি এখন যেসব কথাবার্তা বলছেন, তা আমি পছন্দ করি না। আমি মনে করি না, সে মনেপ্রাণে একজন ভালো মানুষ। রয়টার্স



 

Show all comments
  • Rafiq ৭ মে, ২০১৬, ১১:৩৪ এএম says : 0
    হিলারি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ট্রাম্প না হিলারি : ভোটারদের সামনে তিনটি কারণ বিবেচ্য
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ