মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের মেঘালয় হাইকোর্টের বিচারপতির দেয়া রায় নিয়ে ভারত জুড়ে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। রায় প্রদানকারী বিচারক বিচারপতি সুদীপ রঞ্জন সেন (এসআর সেন)-কে তার পদ থেকে সরিয়ে দেয়া ও তার ইমপিচমেন্টেরও দাবি উঠেছে। খবর বিবিসি বাংলা।
এসআর সেন সোমবার এক মামলার রায়ে বেেলন, ধর্মের ভিত্তিতে যেহেতু দেশভাগ হয়েছিল, তাই ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা উচিত ছিল। তিনি বলেন, কেউ যেন ভারতকে আরেকটি ইসলামিক দেশে পরিণত করার চেষ্টা না করেন, তাহলে সেটা হবে ভারত আর বিশ্বের ধ্বংসের দিন। তিনি আরো বলেন, এখনও পাকিস্তান, বাংলাদেশ আর আফগানিস্তানে হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধসহ বেশ কয়েকটি জাতির মানুষের ওপরে অত্যাচার করা হয়, যাদের কোথাও যাওয়াার জায়গা নেই।
রায়ের শেষ দিকে বিচারপতি লিখেছেন, আমার বিশ্বাস শুধুমাত্র নরেন্দ্র মোদিজীর নেতৃত্বাধীন এই সরকারই বিষয়টার গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন এবং আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমুাজীও জাতীয় স্বার্থে সেটা সমর্থন করবেন।” রায়ের কপি সরাসরি মেঘালয়ের গভর্নর, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সেন।
এই রায় জনসমক্ষে আসার পর তা নিয়ে ভারতে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। সামাজিক মাধ্যমেও যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি হয়েছে এই রায় নিয়ে। বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক নোরা যেমন এই রায় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, তেমনই আইনজীবীদের সংগঠন এই বিচারপতিকে সব বিচারসংক্রান্ত কাজ থেকে দ‚রে রাখার আর্জি জানিয়েছে।
ভারতের লোকসভার সদস্য আসাউদ্দিন ওয়াইসি সংবাদ সংস্থা আই এএনএসের কাছে মন্তব্য করেছেন, এটা কী ধরনের রায়! বিচার বিভাগ এবং সরকারের উচিত এই রায়টির দিকে নজর দেয়া। ভারত কোনোদিনই ইসলামিক রাষ্ট্র হবে না। তা বহুত্ববাদ এবং ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রই থাকবে।
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও কলকাতার প্রাক্তন মেয়র বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, আরএসএসের হিন্দু রাষ্ট্রের যে মুবাদ রয়েছে, এই বিচারপতির রাজনৈতিক বিশ্বাসও সেরকমই। তিনি বলেন, আমাদের সংবিধানের ম‚ল ভিত্তিই হল ধর্মনিরপেক্ষতা। কিন্তু বিচারপতি সেনের সাম্প্রদায়িক যে চিন্তাভাবনা রায়ে প্রকাশ পেয়েছে, সেটি সংবিধানের মূল ভাবনার বিপরীত। একটি সাংবিধানিক আদালতের বিচারক হওয়ার নৈতিক যোগ্যতা তিনি হারিয়েছেন।
অল ইন্ডিয়া লইয়ার্স ইউনিয়ন সেনকে সবরকম বিচারিক কাজ থেকে এস আর সেনকে সরিয়ে দেয়ার জন্য ভারতের প্রধান বিচারপতির কাছে দাবি জানিয়েছে। তাকে অপসারণের জন্য সংসদে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনারও দাবি তুলেছে সংগঠনটি। অ্যান্থনি জোসেফ নামে একজন লিখেছেন, তো আমরা এই ব্যক্তিকে সংবিধান রক্ষার দায়িত্ব দিয়েছি। আরেক টুইট ব্যবহারকারী সুজিত পাণির বলেন, তিনি কিসের ভিত্তিতে শপথ নিয়েছিলেন? সংবিধান রক্ষা করতে না তার সর্বনাশ করতে? নিঃসন্দেহে তার পদটিকে খাটো করে দিয়েছেন। গুরমিৎ সিং লাম্বা লিখেছেন, এই বিচারকের মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছে। তিনি কীভাবে সংবিধানের মূল চিন্তার বিরোধিতা করেন? ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র এবং চিরকাল তাই থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।