মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদর দফতর ব্রাসেলস থেকে শূন্য হাতে ফিরছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। নিজের দল ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির এমপি ও কঠোর ব্রেক্সিটবিরোধীদের তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে ফের সমঝোতার জন্য গিয়েছিলেন ইইউর নেতাদের কাছে।
কিন্তু তারা জানিয়েছেন, ‘সমঝোতা যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। নতুন আর কোনো সমঝোতা নয়।’ ফলে নিরাশ হয়ে খালি হাতেই ফিরতে হছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে। একটানা ১৮ মাস আলোচনার পর গত মাসেই চূড়ান্ত একটি চুক্তিতে পৌঁছায় উভয়পক্ষ। বুধবার অনাস্থা ভোটে কোনো রকমে উতরে গিয়েই সোজা ব্রাসেলসে ইইউর শীর্ষ সম্মেলনে চলে যান তেরেসা। উপস্থিত ইইউর নেতাদের কাছে আবেদন জানান ব্রেক্সিট চুক্তি পুনর্বিবেচনা করার।
কিন্তু ব্রেক্সিট চুক্তি পুনর্বিবেচনা করার আর কোনো সুযোগ নেই বলে বৃহস্পতিবার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন নেতারা। এর মধ্যদিয়ে তেরেসার ‘ডিভোর্স’ পরিকল্পনা আরও একবার বড় ধাক্কা খেল। তবে হাল ছাড়ছেন না তেরেসা। শুক্রবার সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি।
ব্রেক্সিট চুক্তিতে আয়ারল্যান্ড সীমান্ত নিয়ে যে সমঝোতা হয়েছে সে বিষয়ে ইউরোপীয় নেতাদের কাছ থেকে আইনি নিশ্চয়তা চান তেরেসা। এটা পেলে চুক্তিটি পার্লামেন্টে উতরে যেতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। নতুবা এর বিপক্ষেই ভোট দিতে পারেন হাউস অব কমন্সের এমপিরা। প্রথমে এ ব্যাপারে সহায়তার আশ্বাসও দেন ইইউর ২৭ দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান নেতা। ইইউর নেতাদের তেরেসা বলেন, ‘যদি এমপিদের উদ্বেগকে বিবেচনায় নেয়া না হয় তাহলে চুক্তিটি ঝুঁকির মুখে পড়বে।’
ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট জিন ক্লাউড জাঙ্কার বলেন, ‘এ (ব্রেক্সিট) সংক্রান্ত নানা ধরনের ব্যাখ্যা থাকতে পারে, কিন্তু পুনরায় আলোচনা নয়।’ চুক্তির যে অংশ নিয়ে ‘উদ্বেগ’ রযেছে, নিজের বক্তব্যে সেটার উল্লেখ করার সময় তাকে থামিয়ে দিয়ে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল বারবার জানতে চান, তিনি আসলে কী চান সেটা স্পষ্ট করতে। ব্রিটেনের কয়েকজন কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন, নতুন করে সমঝোতার জন্য কোনো প্রস্তাব সঙ্গে নিয়ে যাননি প্রধানমন্ত্রী। তেরেসার এই কাণ্ডে হতবুদ্ধি হয়ে যান ইইউর কূটনীতিকরা।
নেতৃত্ব নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে বুধবার প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নিজ দলের সংসদ সদস্যদের তোপের মুখে পড়লেও কোনোভাবে উতরে যান তিনি। সূত্র : দ্য ইনডিপেনডেন্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।