Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দক্ষিণাঞ্চলের মধুর ‘প্রতিশোধ’

অল্পের জন্য দ্বিশতক পেলেন না মুমিনুল

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

এবারের বিসিএলে প্রথম ম্যাচেই মধ্যাঞ্চলের কাছে হেরে বসে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণাঞ্চল। চতুর্থ রাউন্ডে এসে সেই হারের প্রতিশোধ নিলো আব্দুর রাজ্জাকের দল। দু’দলের মধ্যকার দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে মধ্যাঞ্চলকে ৭ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা লড়াইয়ে ফিরেছে টুর্নামেন্টের রেকর্ড তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা।
আরেক ম্যাচে চ্যালেঞ্চের পথে হাটেনি পূর্বাঞ্চল। মুমিনুল হক যখন ইনিংস ঘোষণা করেন উত্তরাঞ্চলের সামনে তখন মাত্র এক সেশনে ৪৫২ রানের অনিতিক্রম্য লক্ষ্য। কোন রোমাঞ্চ ছাড়াই তাই ড্র হয়েছে রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামের ম্যাচটি। প্রপ্তি বলতে মুমিনুলের দারুণ ব্যাটিং। প্রথম ইনিংসে সম্ভবনা জাগিয়েও ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারেননি রনি তালুকদার। এবার ৬ রানের জন্য দ্বিশতক হাতছাড়া করেন মুমিনুল।
আগের দিন ২ উইকেটে ৯০ রান নিয়ে দিন শুরু করা পূর্বাঞ্চল এদিন ব্যাট করে পুরো দুই সেশন। মুমিনুল আউট হওয়ার পরই আসে চা বিরতির ঘোষণা। পূর্ভাঞ্চলের ইনিংসের ঘোষণাও আসে সেসময়। দলীয় সংগ্রহ তখন ৪ উইকেটে ৩৬২। মুমিনুলের নামের পাশে ১৯০ বলে ২৩ চার ও তিন ছক্কায় ১৯৪ রান। ক্যারিয়ারের ১৮তম প্রথম শ্রেনির শতক স্পর্শ করেন ১০৬ বলে। শেষদিকে দ্রুত রান তুলতে গিয়ে তানবির হায়দারের বলে এবাদত হোসেনকে ক্যাচ দেন ‘পকেট ডিনামাইট’ খ্যাত মুমিনুল। এর আগে ১৪৯ বলে ৬ চারে ৮৩ রান করা মাহমুদুল হাসানকে ফিরিয়ে ২০৭ রানের জুটি ভাঙেন সানজামুল ইসলাম। তবে ম্যাচসেরা হন প্রথম ইণিংসে ১৮৫ রান করা রনি।
দ্বিতীয় সেশন থেকেই অপেক্ষা ছিল পূর্বাঞ্চলের ইনিংস ঘোষণার। কিন্তু মুমিনুল কোন চ্যালেঞ্চের পথে না হেটে ড্রয়ের পথই বেছে নেন। এক সেশনে ৪৫২ রান তাড়া করতে নেমে উত্তরাঞ্চলের সংগ্রহ যখন ১৬ ওভারে ১ উইকেটে ১১৬ তখন ড্র মেনে নেন দুই অধিনায়ক। ৪৬ বলে ৭ চারে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন জুনায়েদ সিদ্দিকী। ২৮ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ফিফটি করেন ফরহাদ হোসেন।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দক্ষিণাঞ্চলের জয়টি অবশ্য অনুমতিই ছিল। হাতে ৫ উইকেটে ও ৪৪ রানের লিড নিয়ে দিন শুরু করে মধ্যাঞ্চল। মাঝের সেশনে যখন তারা ২৬৯ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণাঞ্চলের সামনে তখন ১৩৪ রানের সহজ লক্ষ্য। ৩ উইকেট হারিয়ে যে লক্ষ্য পূরণ করে দক্ষিণ। ৮৬ রানে অপরাজিত থেকে যান এনামুল হক। অলরাউন্ডার নৈপূণ্যের কারণে ম্যাচসেরা র্নিবাচিত হন মেহেদী হাসান। বল হাতে ৭ উইকেটের পাশাপাশি প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে মেহেদী করেন মূল্যবান ৪৬ রান।
সপ্তম বিসিএলের এখনো দুই রাউন্ডের খেলা বাকি। চার ম্যাচে একটি করে জয় ও দুই ড্রয়ে মধ্যঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চল চলছে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। ভগ্নাংশের ভ্যবধানে এগিয়ে মধ্যাঞ্চল। তিন পয়েন্টে পিছিয়ে তিন ও চারে থাকা যথাক্রমে পূর্বাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের ব্যবধানও ভগ্নাংশের হিসাবে। চারটি ম্যাচই তারা করেছে ড্র।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
পূর্বাঞ্চল-উত্তরাঞ্চল, রাজশাহী
পূর্বাঞ্চল: ৪৬৬ ও (আগের দিন শেষে ৯০/২) ৭৫.৩ ওভারে ৩৬২/৪ ইনিংস ঘোষণা (মুমিনুল ১৯৪, মাহমুদুল ৮৩, আশরাফুল ১৯; ইবাদত ০/৬১, সানজামুল ৩/১২২, সোহাগ ০/১১৯, ইমরান ০/১৬, নাঈম ০/৬, তানবীর ১/২৮)। উত্তরাঞ্চল: ৩৭৭ ও (লক্ষ্য ৪৫২) ১৬ ওভারে ১১৬ (জহুরুল ১৫, জুনায়েদ ৫১*, ফরহাদ ৫০*; তাইজুল ১/৩৩, মাহমুদুল ০/৩৩, এনামুল জুনিয়র ০/২৮, আশরাফুল ০/১৯, তাসামুল ০/৩)। ফল: ম্যাচ ড্র। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: রনি তালুকদার (পূর্বাঞ্চল)।
দক্ষিণাঞ্চল-মধ্যাঞ্চল, চট্টগ্রাম
মধ্যাঞ্চল: ২৬১ ও (আগের দিন শেষে ১৮০/৫) ১০৬.৩ ওভারে ২৬৯ (শুভাগত ৭১, জাকের ৩১, মোশাররফ ১২, রবিউল ৬, সানি ২৪*, ইয়াসিন ৫; মেহেদি ৪/৬৩, আল-আমিন ১/৩৯, রাজ্জাক ১/৮৭, রাব্বি ৪/৫৯, নাহিদুল ০/১১, আল-আমিন জুনিয়র ০/০)। দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৩৯৭ ও (লক্ষ্য ১৩৪) ৩২.২ ওভারে ১৩৪/৩ (এনামুল ৮৬*, শাহরিয়ার ৬, মাহমুদ ৩, আল-আমিন জুনি. ১৯, তুষার ১৫*; মোশাররফ ০/২৮, শুভাগত ২/২১, সানি ০/৪৩, তাইবুর ১/১৫, সাদমান ০/৬, মার্শাল ০/১৫, পিনাক ০/১)। ফল: দক্ষিণাঞ্চল ৭ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মেহেদি হাসান (দক্ষিণাঞ্চল)



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণাঞ্চল
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ