নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দূর্ভাগ্য রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির। স্বাধীনতা কাপের চতুর্থ ও শেষ কোয়ার্টার ফাইনালে শক্তিশালী বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে দু’বার এগিয়ে থেকে শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হলো তাদের। গতকাল বিকেলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শেষ আটের শেষ ম্যাচে বসুন্ধরা কিংস টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে রহমতগঞ্জকে হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয়। নির্ধারিত সময়ের খেলা ২-২ গোলে ড্র থাকলে টাইব্রেকারে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়। যেখানে হতাশ হতে হয় রহমতগঞ্জকে। আর শেষ চারে ওঠার আনন্দ নিয়ে মাঠ ছাড়ে বসুন্ধরা। নির্ধারিত সময়ে রহমতগঞ্জের পক্ষে স্থানীয় মিডফিল্ডার জামাল হোসেন ও ফয়সাল আহমেদ এবং বসুন্ধরার কোস্টারিকার মিডফিল্ডার ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেস ও কিরগিজ মিডফিল্ডার বখতিয়ার একটি করে গোল করেন।
টাইব্রেকারে বসুন্ধরা কিংসের বখতিয়ার, নাসির উদ্দিন চৌধুরী ও কলিন্দ্রেস সফল হলেও গোল করতে ব্যর্থ হন তৌহিদুল আলম সবুজ ও মাসুক মিয়া জনি। অন্যদিকে রহমতগঞ্জের ফয়সাল আহমেদ ও দিদারুল আলম গোলের মুখ দেখলেও ব্যর্থতা দেখান কঙ্গোর সিও জুনাপিও এবং নাইজেরিয়ার ড্যামিয়েন চিগোজি এবং মানডে।
কাল ম্যাচের শুরু থেকে চমৎকার খেলেছে রহমতগঞ্জ। তাদের আক্রমণাতœক খেলায় প্রায় হতভম্ব হয়ে যায় বসুন্ধরার রক্ষণভাগ। লিডও নেয় রহমতগঞ্জই আগে। কিন্তু নিজেদের রক্ষণভাগের দুর্বলতায় শেষ পর্যন্ত লিড ধরে রাখতে পারেনি তারা।
ম্যাচে অবশ্য ক্রসবারও দু’দলের জন্য দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। প্রায় হাফ ডজন গোল আটকে গেছে ক্রসবারে। দু’দলের গোলরক্ষকের দক্ষতাও ছিলো চোখে পড়ার মতো।
কোয়ার্টার ফাইনালে রহমতগঞ্জকে হয়তো খুব সহজ প্রতিপক্ষই ধরে নিয়েছিলো বসুন্ধরা কিংস। যে কারণেই হয়তো প্রথম একাদশে মাত্র এক বিদেশীকে নিয়েই ম্যাচ শুরু করেছিলো তারা। প্রথমার্ধে প্লে মেকার বিশ্বকাপে খেলা কোস্টারিকার কলিন্ড্রেসের ঠাঁই হয়েছিলো সাইড বেঞ্চেই। অস্কার ব্রোজেনের সেই অতি আত্মবিশ্বাসেই প্রথমার্ধে এক গোল হজম করে বসে ঘরোয়া ফুটবলে কাগজে কলমের সব থেকে শক্তিধর দলটি। ম্যাচের ২৬ মিনিটে প্রায় মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে একক প্রচেষ্টায় বসুন্ধরার বক্সে ঢুকে পড়েন সিও জোনাপিও। পাস দেন রাকিবুলকে। তার ডান পায়ে নেয়া শট বসুন্ধরার এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে বল চলে যায় রহমতগঞ্জের এনামুলের পায়ে। বল পেয়ে সতীর্থ জামালকে ব্যকপাস দেন এনামুল। বাঁম পায়ের প্লেসিং শটে রহমতগঞ্জের পক্ষে প্রথম গোল করেন জামাল (১-০)। ৬৭ মিনিটে ম্যাচে বসুন্ধরার ত্রাণকর্তার ভুমিকায় দেখা দেন বিশ্বকাপের ফুটবলার কলিন্দ্রেস। ডান প্রান্ত দিয়ে মিডফিল্ডার নাঈমউদ্দিনের ছোট পাসে বল বুঝে নিয়ে ডান পায়ের বাকানো শটে গোল করেন তিনি (১-১)। তবে তিন মিনিট পর ফের চমক দেখায় কোচ সৈয়দ গোলাম জিলানীর শিষ্যরা। ডানপ্রান্ত দিয়ে সিও জোনাপিওর শটের বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন ডিফেন্ডার দিদারুল। বল পেয়ে যান রহমতগঞ্জের ফয়সাল। প্রায় ফাকা পোস্টে কোনাকোনি শটে তিনি গোল করে রহমতগঞ্জকে এগিয়ে নেন (২-১)। কিন্তু এবারো লিডও ধরে রাখতে পারেনি পুরান ঢাকার দলটি। ম্যাচের যোগকরা সময়ে (৯০+৫ মিনিট) বদলী ফরোয়ার্ড রোকনুজ্জামান কাঞ্চনের থ্রো থেকে বল পান কলিন্দ্রেস। তার ডান পায়ের ক্রসে পোস্টের খুব কাছ থেকে হেডে গোল করে বসুন্ধরারকে সমতায় ফেরান কিরগিজ মিডফিল্ডার বখতিয়ার (২-২)। নির্ধারিত সময় ড্র থাকায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও নিস্পত্তি না হওয়ায় টাইব্রেকারে ফলাফল নির্ধারণ হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।