মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইভিএমে পছন্দের বোতাম টিপেও মনে শান্তি নেই! ভোটটা ঠিক জায়গায় পড়ল তো? ভোটারদের মনের ধন্দ নিরসনে ২০১৯-এর সাধারণ নির্বাচনের আগেই রাজ্যে ইভিএমের ‘স্বাস্থ্য’ পরীক্ষায় পদক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন। শুধু পশ্চিমবঙ্গের জন্যেই শ’পাঁচেক প্রশিক্ষিত প্রযুক্তিবিদকে কমিশন এক বছরের চুক্তিতে নিয়োগ করেছে। তাঁরা রাজ্যের সর্বত্র ইভিএম পরীক্ষা করে দেখছেন। কোনও ইভিএমে ত্রুটি থাকলে তা জেলাস্তরের ইলেকশন অফিসার অর্থাৎ জেলাশাসকের নজরে আনা হবে। যদি ওই ত্রুটি মেরামত সম্ভব হয়, ভালো। না হলে পুরোনো ইভিএম বাতিল করে নয়া যন্ত্র আনা হবে।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ভোটারদের মনে যাতে কোনও ধন্দ না থাকে, সে জন্য রাজ্য জুড়ে ‘ভোটার ভেরিফায়েবল পেপার অডিট ট্রেইল’ মেশিন (ভিভিপ্যাট) ব্যবহারে বিশেষ প্রশিক্ষণও শুরু হয়েছে। ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাটের সংযোগ স্থাপিত হলে এই যন্ত্র থেকে বেরোনো কাগজের স্লিপ নিশ্চিত করে কোন ভোটার কোন প্রার্থী বা চিহ্নে ভোট দিয়েছেন। এই স্লিপ নির্বাচন কমিশনের ব্যবহারের জন্য ইভিএমে সংযুক্ত একটি বন্ধ বাক্সে পর পর জমা পড়ে। সদ্য সমাপ্ত মধ্যপ্রদেশের নির্বাচনে ৬২টি বিধানসভা কেন্দ্রের ১৪৪টি বুথে ভোট শুরুর প্রাক মুহূর্তের মহড়ার পরিসংখ্যান ইভিএম থেকে মুছে না দেওয়া নিয়ে শোরগোল পড়েছিল। এর মীমাংসায় নির্বাচন কমিশন ওই বুথগুলির যাবতীয় ভিভিপ্যাট সিøপ গণনার নির্দেশ দেয়। ওই বুথগুলিতে ভোট গণনায় পরিসংখ্যানগত প্রকৃত তথ্য মিলেছে ভিভিপ্যাটের মাধ্যমেই।
এর আগে রাজ্যে পাইলট প্রজেক্ট বা পরীক্ষামূলক ভাবে সীমিত সংখ্যায় ভিভিপ্যাট ব্যববহার করা হলেও ২০১৯-এর নির্বাচনেই প্রথম তা ব্যাপক ভাবে ব্যবহারের তোড়জোড় শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। এ জন্য ইলেকট্রনিক কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (ইসিআইল) দিল্লি থেকে এক ঝাঁক প্রযুক্তিবিদকে স¤প্রতি পশ্চিমবঙ্গে পাঠিয়েছে। এই প্রযুক্তিবিদরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ভিভিপ্যাট প্রয়োগের প্রশিক্ষণ শুরু করেছেন। বিশেষ করে বুথস্তরে ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণের দায়িত্ব বর্তাবে যাঁদের উপর, ইসিআইএলের প্রযুক্তিবিদরা তাঁদেরই প্রশিক্ষণ দিছেন। উল্লেখ্য, ভিভিপ্যাট তৈরি করেছে ইসিআইএলই।
ইভিএমের ব্যবহার নিরপেক্ষ ভোটদানের পক্ষে কতটা নিরাপদ, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তর্ক রয়েছে। যদিও ব্যালটে ভোটে ব্যাপক কারচুপি হয়, এক সময় এই অভিযোগ তুলেছিল নানা রাজনৈতিক দল। বিশেষ করে ব্যালট ছাপ্পা ভোটের রাস্তা খুলে দেয়, এমন অভিযোগ ছিল বিস্তর। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম ছাপ্পা ভোটের সমস্যা দূর করবে, এমনই আশা করেছিল আমজনতা। কিন্তু রাজনৈতিক বিতর্ক ইভিএমেরও পিছু ছাড়ছে না। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীও ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ তুলে গৈরিক শিবিরের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। এই অবস্থায় ভিভিপ্যাট ইভিএমের সুরক্ষা ও নিরপেক্ষতা একশো ভাগ নিশ্চিত করবে বলে আশা কমিশনের।-টাইমস অব ইন্ডিয়া
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।