মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনেট ইয়েমেনে সউদী আরবের অভিযান থেকে মার্কিন সামরিক সাহায্য প্রত্যাহার করে নেয়ার পক্ষে এক প্রস্তাবে ভোট দিয়েছে। মার্কিন সেনেট একই সঙ্গে সউদী সাংবাদিক জামাল খাসোগজির হত্যার জন্য সউদী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে দায়ী করে আরেকটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে এই প্রথমবারের মতো ১৯৭৩ সামরিক শক্তি বিষয়ক আইন ব্যবহার করে ইয়েমেনে সউদী অভিযানের ওপর সেনেটে ভোট গ্রহণ করা হলো। এই ভোটে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কিছু সতীর্থ রিপাবলিকান দলীয় অবস্থানের বিরুদ্ধে গিয়ে ডেমোক্র্যাটদের সাথে যোগ দেন। তবে এই প্রস্তাবকে মূলত প্রতীকী হিসেবে দেখা হছে এবং এটা আইন হিসেবে গৃহীত হবে এমন সম্ভাবনাও কম। ইয়েমেনে যুদ্ধের জন্য যুক্তরাষ্ট্র গত মাস থেকেই সউদী যুদ্ধবিমানগুলিতে তেল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। যুবরাজ মোহাম্মদের প্রশ্নে মার্কিন সেনেটের সিদ্ধান্ত ছিল সর্বসম্মত।
সেনেটের এই প্রস্তাবে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, ক্ষমতাধর পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্টের কলাম লেখক জামাল খাসোগজির হত্যার জন্য যেসব সউদী দায়ী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ভার্মন্টের স্বতন্ত্র সেনেটর বার্নি স্যান্ডার্স এই প্রস্তাবের উপস্থাপকদের একজন।
ইয়েমেনের যুদ্ধের ব্যাপারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, আজ সউদী আরবের শাসকদের প্রতি আমরা বলেছি যে, আমরা তাদের সামরিক অ্যাডভেঞ্চারের অংশ হতে চাই না।
জামাল খাসোগজির হত্যায় সউদী যুবরাজের সংশ্লিষ্টতার ব্যাপারে রিপাবলিকান সেনেটর বব কর্কার বলেন, আজ যদি কোন জুরির সামনে যুবরাজের বিচার হতো তাহলে আমার ধারণা ৩০ মিনিটের মুখে তিনি দোষী প্রমাণিত হতেন।
বিবিসির সংবাদদাতা বারবারা প্লেট আশার বলছেন, এই দুটি প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে এই বার্তাই দেয়া হয়েছে যে বেশিরভাগ সেনেটর মনে করেন সউদী আরবের সাথে বর্তমান সম্পর্ক এভাবে চলতে পারে না।
সৌদি আরবের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত সম্পর্ককে তারা মূল্য দেয় ঠিকই, কিন্তু যুবরাজ মুহাম্মদের নেতৃত্বের প্রশ্নে তারা প্রচণ্ড অস্বস্তির মধ্যে রয়েছেন। যুবরাজের বিদেশি অভিযান বিশেষভাবে ইয়েমেনের যুদ্ধে মানুষের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে তাদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে বলে বিবিসি সংবাদদাতা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি পাল্টে যায় যখন জামাল খাসোগজির নৃশংস হত্যার বিস্তারিত প্রকাশ হতে শুরু করে। অনেক সেনেটর মনে করেন, সউদী আরব এমন এক মিত্র-দেশ যে বিশ্বাস করে এ ধরনের কাজ করে সে সহজেই পার পেয়ে যাবে। সউদী আরবকে সমর্থন করে হোয়াইট হাউজ যে অবস্থান নিয়েছে, অনেক সেনেটর তাতে হতাশ। সেনেটর বব কর্কার উল্লেখ করেন, মার্কিন সেনেটে দ্বিদলীয় কর্মকাণ্ডের মুলে রয়েছে এই ধারণা যে প্রশাসনের স্বার্থ এবং মার্কিন মূল্যবোধ রক্ষার মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকছে না। সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।