মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : সিরিয়ার পাঁচ বছরের যুদ্ধ বাইরের শক্তিগুলোর ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততার প্রভাবে এক ছায়াযুদ্ধে পরিণত হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে সেখানে সংশ্লিষ্ট বাইরের শক্তিগুলোর মধ্যে অনিচ্ছাকৃত যুদ্ধের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে। একটি ইউরোপীয় থিংকট্যাংক বুধবার এ কথা বলে। খবর রয়টারস।
সিরিয়ায় উভয়পক্ষেই বিভিন্ন দেশ জড়িত। রাশিয়া ও ইরান প্রেসিডেন্ট বাশারের সমর্থনে সিরিয়ায় সৈন্য মোতায়েন করেছে, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক ও সউদি আরব তার বিরোধী বিদ্রোহীদের অস্ত্র, অর্থ ও রাজনৈতিক সমর্থন প্রদান করছে।
বুধবার এক প্রতিবেদনে ইউরোপীয় লিডারশিপ টাস্কফোর্স নভেম্বরে তুরস্ক কর্তৃক তার আকাশসীমা লংঘনকারী একটি রুশ জঙ্গি বিমান ভূপাতিত করার কথা স্মরণ করা হয় এবং অন্য রাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর উপর সরাসরি হামলা বলে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে এমন ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়া বিষয়ক জাতিসংঘ অনুমোদিত স্বাধীন আন্তর্জাতিক কমিশনের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী সিরিয়ার যুদ্ধ একটি জটিল জোট নেটওয়ার্ক দ্বারা বাইরে থেকে পরিচালিত একটি বহুপাক্ষিক ছায়াযুদ্ধে পরিণত হয়েছে।
নিরাপত্তা থিংকট্যাংক বলে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এ ছায়া যুদ্ধ সরাসরি আন্তরাষ্ট্র যুদ্ধে পরিণত হওয়ার বিপদ বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লেখ্য, এ প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞদের মধ্যে রাশিয়ার সাবেক নীতি নির্ধারক এবং ইউরোপের সাবেক মন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা পরিকল্পনাকারীরা রয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, এস ইউ-২৪ জঙ্গি বিমান ভূপাতিত করা সুস্পষ্টভাবে দেখিয়েছে যে একটি সরাসরি সংঘাত অসম্ভব নয় এমনকি যদি তা বিপর্যয়করও হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া একটি অভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার এবং শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু করার চেষ্টা করছে। বিরোধী প্রতিনিধি দল ওয়াক আউট করায় এপ্রিলে শান্তি আলোচনা ভেঙ্গে যায়।
এতে উল্লেখ করা হয় যে মার্চে উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার পর দুর্ঘটনা জনিত যুদ্ধের বিপদ কমে যায়। তবে অন্য পক্ষ যখন বাস্তব যুদ্ধ থেকে বিরত থাকতে চায় তখন কয়েকটি দেশ সিরিয়ায় একতরফাভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চায় বলে মনে হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এ শারণা সঠিক নয় বলেও প্রমাণিত হতে পারে। যেসব দেশ যুদ্ধে জড়িত তাদের মিত্রদের কর্মকা-ের উপর তাদের নিয়ন্ত্রণ সীমিত। অপর দিকে কাউকে কাউকে তাদের পৃষ্ঠপোষকদের আন্তরাষ্ট্র যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে আগ্রহী মনে হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শেষ কথা হচ্ছে যে একটা বিপদ এই যে কার্যকর যোগাযোগ চ্যানেলের অভাবে একটি দুর্ঘটনা, একটি সামরিক ঘটনা অথবা কোনো অননুমোদিত পদক্ষেপ একটি যুদ্ধের আগুন জ্বালিয়ে দিতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।