নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নির্ধারিত ৯০ এবং অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলা ৩-৩ গোলে ড্র থাকার পর ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে দু’দল তিনটি করে গোল করায় সাডেন ডেথে নির্ধারণ হয় ম্যাচের ফলাফল। এই চিত্রটি স্বাধীনতা কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ ও ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচের। যে ম্যাচে সাডেন ডেথ রোমাঞ্চে ৪-৩ গোলে জিতে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয় ব্রাদার্স। আর টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আরামবাগ।
কাল শুরু থেকেই দু’দল আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ করে খেলে ম্যাচকে উপভোগ্য করে তোলে। কখনো ম্যাচে এগিয়ে যাচ্ছে আরামবাগ, তো কখনো ব্রাদার্স। একদল এগিয়ে গেলে কিছুক্ষণ পর গোল করে আরেকদল ফেরে সমতায়। কখনো গোলের আনন্দ,পর মুহুর্তেই বিষাদ। আবার কখনো ১০ জনের ব্রাদার্স তো কখনো ১০ জনের আরামবাগ। শেষ পর্যন্ত পেনাল্টি শ্যুট আউট। এমন জমজমাট ম্যাচ দেখে তৃপ্ত হলেন স্টেডিয়ামে উপস্থিত প্রায় হাজার খানেক দর্শক।
ম্যাচের ১৪ মিনিটে প্রথম গোল আদায় করে নেয় আরামবাগ। এসময় একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে বাঁমপ্রান্ত দিয়ে ব্রাদার্সের বক্সে ঢুকে পড়েন ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ড পল এমিল। প্রতিপক্ষের তিন ফুটবলারকে কাটিয়ে দারুণভাবে বলটা বাড়িয়ে দেন সতীর্থর উদ্দেশ্যে। ডান পায়ে ফাইনাল টাচ দিয়ে দলকে এগিয়ে দেন আরামবাগ অধিনায়ক মিডফিল্ডার রবিউল হাসান (১-০)। ৪৪ মিনিটে বাঁমপ্রান্ত থেকে ব্রাদার্স লেফট উইঙ্গার শফিকুল শাফির বাঁ পায়ের উচু ক্রসে বক্সে লাফিয়ে উঠে হেড করে গোল করেন লিমা। আরামবাগের গোলরক্ষক হিমেল হাত বাড়িয়েও বলের নাগাল পাননি (১-১)।
সমতায় থেকে দু’দল বিরতিতে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ফের এগিয়ে যায় আরামবাগ। ম্যাচের ৫৪ মিনিটে রবিউল মাঝ মাঠ থেকে বল দেন পল এমিলকে। কিন্তু তাকে বাধা দেন ব্রাদার্স ডিফেন্ডার। ব্যাকহিলে দর্শণীয় বল পাস দেন এমিল। বল পেয়ে বা পায়ের শটে ব্রাদার্সের জাল কাপন রবিউল (২-১)। ৬৫ মিনিটে আবারো সমতা। লিমা লিওনার্দোর পাসে বল পেয়ে বক্সের বাঁমপ্রান্ত থেকে সাফির ক্রসে চলন্ত বলে ডান পায়ের শটে গোল করেন ব্রাদার্সের মান্নাফ রাব্বি (২-২)। ৭৮ মিনিটে তৃতীয় গোল করে
এগিয়ে যায় গোপীবাগের দলটি। এসময় ডানপ্রান্ত দিয়ে বক্সের বেশ দূর থেকে বাঁম পায়ের শটে গোল করেন ব্রাদার্সের জ্যাক ড্যানিয়েল (৩-২)। গোল করেই জার্সিটা খুলে উৎযাপনে মাতেন পানামার এই ফরোয়ার্ড। কিন্তু এর মধ্যেই সতীর্থ এভারটন ছুটে এসে ড্যানিয়েলকে বেশ ক’টি ঘুষি মারেন। গোল উৎজাপনের এ কেমন চিত্র! রহস্যটা খুলেছে কিছুক্ষণ পরেই যখন রেফারি জালাল উদ্দিন জার্সী খোলার অপরাধে হলুদ কার্ড দেখান ড্যানিয়েলকে। এর আগেই যে একটি হলুদ কার্ড ছিলো তার। তাই দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় ড্যানিয়েলকে। দশ জনের দলে পরিণত হয় ব্রাদার্স। আনন্দের মূহুর্তটাই বিষাদে পরিণত হয় তাদের। সুযোগটা কাজে লাগাতে বিলম্ব করেনি টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ৮৫ মিনিটে রবিউলের কর্ণারে জটলাতে বল পেয়ে লাফিয়ে উঠে হেড করে আরামবাগকে ফের সমতায় ফেরান গত ম্যাচের হ্যাটট্রিকম্যান পল এমিল (৩-৩)। অমিমাংসিতভাবে নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষ হলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। ১২৭ মিনিটে দশ জনের দলে পরিণত হয় আরামবাগও। এবার লাল কার্ড দেখেন নিপু। ১২৯ মিনিটে আরো একটা দারুণ সুযোগ হাতছাড়া হয় ব্রাদার্সের। এগিয়ে এসেছিলেন গোলরক্ষক। ফাকা পোস্ট পেয়ে বলটা জালে পাঠাতে পারেননি মান্নাফ রাব্বি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয় টাইব্রেকারে। পেনাল্টি শ্যুট আউটে ব্রাদার্সের মান্নাফ রাব্বি, আশরাফুল ও মোয়ায়েদ খালিদ গোল করলেও মিস করেন লিমা ও এভারটন। আরামবাগের গোল করেন রাজন মিয়া,আবু সুফিয়ান জাহিদ ও কিংসলে। ব্যর্থ হন রকি ও রবিউল। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ গড়ায় সাডেন ডেথে। যেখানে গোল করেন ব্রাদার্সের খান মোহাম্মদ তারা। আর আরামবাগের ম্যাথিও মিস করায় জয় পায় ব্রাদার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।