বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সর্বজনীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিবস আজ। আর্থিক সংকট ছাড়াই বিশ্বের সকল নাগরিকদের জন্য সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর জাতিসংঘ একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে। এই প্রস্তাবের ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’র সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে প্রতিবছর ১২ই ডিসেম্বর ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা’ দিবস পালন করা হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা (ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ-ইউএইচসি) অর্জনের ক্ষেত্রে এখনও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে বাংলাদেশকে। বলা যায়, বিষয়টি এখনও অঙ্কুরেই রয়ে গেছে। দেশের খুব কম সংখ্যক মানুষকে ইউএইচসির আওতায় আনা গেছে।
ইউএইচসি’র মূল কথা হচ্ছে, সব মানুষ প্রয়োজনের সময় মানসম্পন্ন চিকিৎসাসেবা পাবে। চিকিৎসাসেবা কিনতে গিয়ে কেউ দরিদ্র হয়ে পড়বে না। উদ্দেশ্য অর্জনে কৌশল হিসেবে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির পাশাপাশি অপচয় ও দুর্নীতি কমাতে হবে, স্বাস্থ্যবীমা মানুষকে সেবা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা দেবে।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘ইউনিটি ফর ইউএইচসি : নাও ইন দ্যা টাইম ফর কালেক্টিভ একশন’। এ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইন্সটিটিউটসহ বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইন্সটিটিউট সকাল ১২টায় শাহবাগ জাদুঘরের সামনে থেকে শোভাযাত্রা বের করবে।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্ব মাসে প্রকাশিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হেলথ ইকোনমিকস ইউনিটের তৈরি ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টস ১৯৯৭-২০১৫’ প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের স্বাস্থ্য খাতে যে অর্থ ব্যয় হয়, তার মাত্র ২৩ ভাগ বহন করে সরকার। আর ৬৭ ভাগ ব্যয় করে ব্যক্তি নিজে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ স্বাস্থ্যের জন্য নিজের পকেট থেকে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করে। ২০১২ সালে মোট স্বাস্থ্য ব্যয়ের ৬৩ শতাংশ বহন করত ব্যক্তি নিজের পকেট থেকে। যা এখন বেড়ে ৬৭ শতাংশ হয়েছে। আর এনজিও ও দাতা সংস্থাগুলো বহন করছে ১০ শতাংশ। স্বাস্থ্য ব্যয় বাড়লেও সরকারি অংশের খরচ কমেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওষুধের দাম, চিকিৎসকদের রোগী দেখার ফি ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার খরচ বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য খাতে ব্যক্তি পর্যায়ে খরচ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ব্যবস্থাপত্রে অপ্রয়োজনীয় ওষুধ লেখা বা প্রয়োজন ছাড়াও অস্ত্রোপচারের পথ ধরায় চিকিৎসা ব্যয় বাড়ছে। চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গিয়ে অনেক মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।