Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অস্ট্রেলিয়ায় ভারতের ইতিহাস

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

পাঁচ ম্যাচের সিরিজটি শেষ পর্যন্ত কারা জিতবে তা সময়-ই বলে দেবে। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই ভারত যা করে দেখিয়েছে তাতেই যে ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছেন বিরাট কোহলিরা। এশিয়ার প্রথম দল হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সিরিজের প্রথম টেস্ট জিতে নিয়েছ ভারত।
ঐতিহাসিক বলেই কিনা অ্যাডিলেড টেস্টের জয়টাও হলো বেশ রোমাঞ্চকর। নাটকীয়ও বটে। জয়ের মঞ্চে বসে যে পরাজয়ের শঙ্কায় পড়তে হয়েছিল ভারতকে! শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে জস হ্যাজেলউডের উইকেটটি তুলে নেয়ার পর বিরাট কোহলির উল্লাসটাও তাই হলো বাঁধন হারা। ৩২৩ রানের লক্ষ্যে ১১৫ রানে ৫ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়া যে শেষ পর্যন্ত হেরেছে ৩১ রানে! দিনের খেলা তখন বাকি মাত্র ১৯ ওভার। রোমাঞ্চকর নয় তো কি বলবেন এটাকে!
জিততে হলে অ্যাডিলেডে চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়ার রেকর্ড গড়তে হতো অজিদের। চতুর্থ দিনে ১০৪ রানের মধ্যে শীর্ষ ৪ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে সেটা কঠিন হয়ে পড়ে। সেটা আরো কঠিন হয়ে পড়ে শেষ দিনের শুরতে মাত্র ১১ রান পর ট্রেভিস হেড আউট হয়ে গেলে। ১৫৬ রানে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন শন মার্শ আউট হন তখন অস্ট্রেলিয়ার লেজ বেরিয়ে গেছে। জিততে হলে তখনও দরকার ১৬৭ রান। কিন্তু কে জানত লেজ দিয়েই ভারতকে কাঁপিয়ে দেবেন স্বাগতিকরা।
শেষ ছয়টি জুটিতেই হয়েছে কমপক্ষে ৩০ রান। জুটি ভাঙা-গড়ার এক প্রদর্শনী যেন। আগের দিনের মার্শ-হেডের জুটি বিচ্ছিন্ন হয় ৩১ রান করে। মার্শের সঙ্গে অধিনায়ক পেইন এসে যোগ করেন ৪১। এরপর পেইন-কামিন্স আবারো যোগ করেন ৩১ রান। অধিনায়কের বিদায়ের পর স্টার্ক ও লায়নের সঙ্গে আবারো ভারতকে ভয় ধরিয়ে দেওয়া ৪১ ও ৩১ রানের দুটি জুটি গড়েন কামিন্স। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে কামিন্স যখন আউট হন তখনও জয়ের জন্য অজিদের দরকার ৬৪ রান। হ্যাজেলউডকে নিয়ে সেই দিকেই যাচ্ছিলেন লায়ন। কিন্তু ৩২ রানের পর তাতে চূড়ান্ত বাধ দেন আশ্বিন।
শেষ পর্যন্ত ৩৮ রানে অপরাজিত থেকে যাওয়া লায়ন যেন হয়ে যান অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের প্রতীক- হার না আসা পর্যন্ত হার না মানার মানসিকতা যে অজিদের রক্তেমাংশে তা আবারো প্রমাণ করলেন লায়ন। আর তাতে পাওয়া গেল উপভোগ্য এক ক্রিকেট ম্যাচ। জয়ের স্বাদটাও যেন তাতে পেয়েছে পূর্ণতা। ম্যাচ শেষে কোহলি উচ্ছাস প্রকাশ করেন এভাবে, ‘এটা অসাধারণ এক অনুভুতি। অস্ট্রেলিয়ায় আমরা কখনো সিরিজে লিড নেইনি। এটা তাই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু।’
ঐতিহাসিক ম্যাচে নিজের নামটা রেকর্ড দিযে খোঁদাই করার সুযোগ পেয়েছিলেন ঋষব পন্ত। কিন্তু সুযোগটা নিজেই নষ্ট করেন উইকেটের পিছন থেকে লায়নের ক্যাচ ছেড়ে। ধরতে পারলেই গড়তেন এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ক্যাচের রেকর্ড। যে রেকর্ডে (১১টি) এখন যৌথ অংশিদার তিনি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত : ২৫০ ও ৩০৭। অস্ট্রেলিয়া : ২৩৫ ও (লক্ষ্য ৩২৩) ১১৯.৫ ওভারে ২৯১ (আগের দিন ১০৪/৪)(মার্শ ৬০, হেড ১৪, পেইন ৪১, কামিন্স ২৮, স্টার্ক ২৮, লায়ন ৩৮*, হ্যাজেলউড ১৩; ইশান্ত ১/৪৮, বুমরাহ ৩/৬৮, অশ্বিন ৩/৯২, শামি ৩/৬৫, বিজয় ০/১১)।
ফল : ভারত ৩১ রানে জয়ী। ম্যাচ সেরা : চেতেশ্বর পুজারা।
সিরিজ : ৪ ম্যাচে ভারত ১-০তে এগিয়ে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারতের ইতিহাস
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ