বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-১ (ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী, পরশুরাম) আসনে মহাজোট, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ বিভিন্ন দলের ৯ প্রার্থী এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। সাধারণ ভোটার ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা জানান, ভোটের মাঠে লড়াই হবে মূলত আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ও বিএনপির প্রার্থীর মধ্যে হলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আপেল প্রতীকের শেখ আবদুল্লাহ মহাজোট প্রার্থী ও জাসদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতারের গলার কাটা হতে পারে। শেখ আবদুল্লাহ শিরীন আখতারের জন্য অস্বস্থির হয়ে পড়েছেন। শেখ আবদুল্লাহ পাল্টে দিতে পারেন নৌকার বিপরীতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল। ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী, পরশুরাম উপজেলার বিভিন্ন স্টলে চায়ের আড্ডায় হাট বাজারসহ নানা এলাকায় ঘুরে স্থানীয় নেতাকর্মী ও ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানাগেছে। তবে জাসদ নেত্রী শিরীন আখতার আওয়ামীলীগের উপর ভর করে নির্বাচনী বৈতরনী পার হতে চান। সোমবার সন্ধ্যায় ছাগলনাইয়া পৌরসভার পূর্ব ছাগলনাইয়া গ্রামে নিজ বাড়ীতে শিরীন আখতার সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় বলেছেন, শেখ আবদুল্লাহ যদি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হয়ে থাকে তাহলে শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত মেনে আমাকে (মহাজোট প্রার্থীকে) সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন। আমি এটি বিশ্বাস করি। তবে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী আমাকে এবং সাংবাদিকদের বলেছেন, শেখ আবদুল্লাহ জেলা আওয়ামীলীগের কেউ নন। ফেনী-১ আসনটি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো মহাজোট জাসদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতারকে ছেড়ে দেয়। এ আসনে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিল হলে তার স্থলাভিষিক্ত হন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি মুন্সি রফিকুল আলম মজনু। শিরীন আখতার সাথে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্ধিতার করবেন তিনি। এ আসনে জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও ঢাকাস্থ ফেনী সমিতির সভাপতি শেখ আবদুল্লাহ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এছাড়াও খেলাফত আন্দোলন আনোয়ার উল্যাহ ভূঞা (বটগাছ), জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী (সূর্য), বিএনএফ শাহরিয়ার ইকবাল (টেলিভিশন), ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী কাজী গোলাম কিবরিয়া (হাতপাখা), ইসলামী ফ্রন্ট কাজী মাওলানা নুরুল আলম (মোমবাতি) ও এনডিএম’র তারেকুল ইসলাম (হারিকেন) প্রতীক পেয়ে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। এদিকে প্রতীক পেয়ে বিএনপির প্রার্থী রফিকুল আলম মজনু নেতাকর্মীদের নিয়ে সোমবার দুপুরে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার পৈত্রিক বাড়ী ফুলগাজীর শ্রীপুরে যান। এসময় তিনি বেগম খালেদা জিয়ার চাচা মজু দরবেশ ও চাচাতো ভাই পীরজাদা খোকা মিয়ার মাজারসহ তার পূর্ব পুরুষদের কবর জিয়ারত শেষে সেখান থেকেই নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা শুরু করেন। নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় কেউ বাঁধা দিলে তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।