বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রংপুরের ৬টি আসনে ৪৩ জন প্রার্থী নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মাঠে নেমেছেন। আজ সোমবার রংপুর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কর্তৃক প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই মুলতঃ তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়।
এবার রংপুরের ৬টি আসনের মধ্যে রংপুর-১, রংপুর-৩ ও রংপুর-৬ আসনে মহাজোটের একক প্রার্থী রয়েছেন। এছাড়া বাকি তিনটি আসনে নৌকা ও লাঙ্গলের প্রতীকে রয়েছেন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী। বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে চার এবং জামায়াতে ইসলামী ও নাগরিক ঐক্যের দুই প্রার্থী নির্বাচনী লড়াইয়ে মাঠে রয়েছেন।
নৌকা লাঙ্গল ও ধানের শীষ প্রতীকসহ বিভিন্ন প্রতীকে রংপুর জেলায় শেষ পর্যন্ত ৪৩ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে মহাজোটের প্রার্থী ৩, আওয়ামী লীগের ৪ জন, জাতীয় পার্টি ৪, বিএনপির ৩, জামায়াতে ইসলামীর ১ জন। এছাড়া নাগরিক ঐক্যের ১, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ৫, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ৪, খেলাফত মজলিসের ১, জাকের পার্টির ৪, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির ১ জন, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টি (পিডিপি) ১, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (ইনু) ২, বিকল্পধারার ১, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের ২, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির ১, বিএনএফ’র ২ জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন ৩ জন।
রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া ও আংশিক সিটি) আসনে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বর্তমান এমপি এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙা (মহাজোট-লাঙল), সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলু (স্বতন্ত্র-মটর কার), নাগরিক ঐক্যের শাহ্ মোঃ রহমতুল্লাহ (জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট-ধানের শীষ), মোক্তার হোসেন (ইসলামী আন্দোলন-হাতপাখা), ইশা মোহাম্মদ সবুজ (এনপিপি-আম), সিএম সাদিক (স্বতন্ত্র- সিংহ)।
রংপুর-২ (বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ) আসনে বর্তমান এমপি আবুল কালাম মোঃ আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক (আ.লীগ-নৌকা), আসাদুজ্জামান চৌধুরী সাবলু (জাপা-লাঙল), সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী সরকার (বিএনপি-ধানের শীষ), সাবেক এমপি আনিছুল ইসলাম মন্ডল (স্বতন্ত্র-সিংহ), মোঃ আশরাফ আলী (ইসলামী আন্দোলন-হাতপাখা), কুমারেশ চন্দ্র রায় (জাসদ-মশাল), হারুন অর রশিদ (বিকল্পধারা-কুলা), আশরাফ-উজ-জামান (জাকের পার্টি-গোলাপ ফুল), জিল্লুর রহমান (বিএনএফ-টেলিভিশন), ওয়াসিম আহমেদ (এনপিপি-আম)।
রংপুর-৩ (সদর ও সিটি কর্পোরেশন) আসনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ (মহাজোট-লাঙল), পিপলস পার্টি অব বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান রিটা রহমান (জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট-ধানের শীষ), আমিরুজ্জামান পিয়াল (ইসলামী আন্দোলন-হাতপাখা), সাব্বির আহম্মেদ (পিডিপি-বাঘ), সাখাওয়াত রাঙ্গা (জাসদ-মশাল), আনোয়ার হোসেন বাবলু (ওয়াকার্স পার্টি-কোদাল), আলমগীর হোসেন আলম (জাকের পার্টি-গোলাপ ফুল), তৌহিদুর রহমান মন্ডল (খেলাফত মজলিস-দেওয়াল ঘড়ি) ও ছামসুল হক (এনপিপি-আম)।
রংপুর-৪ (পীরগাছা ও কাউনিয়া) আসনে বর্তমান এমপি টিপু মুনশি (আ.লীগ-নৌকা), এমদাদুল হক ভরসা (বিএনপি-ধানের শীষ), মোস্তফা সেলিম বেঙ্গল (জাপা-লাঙল), মাওলানা বদিউজ্জামান (ইসলামী আন্দোলন-হাতপাখা) ও আব্দুস সাদেক মিয়া (বাসদ-মই), লায়লা আঞ্জুমান আরা (জাকের পার্টি-গোলাপ ফুল)।
রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনে আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধক্ষ, বর্তমান এমপি এইচএন আশিকুর রহমান (আ.লীগ-নৌকা), সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা অধ্যাপক গোলাম রব্বানী (ঐক্যফ্রন্ট-ধানের শীষ), এস এম ফখর উজ জামান জাহাঙ্গীর (জাপা-লাঙল), শফিকুল ইসলাম ভোলা মন্ডল (ইসলামী আন্দোলন-হাতপাখা), শামীম মিয়া (জাকের পার্টি-গোলাপ ফুল) ও মমিনুল ইসলাম (বাসদ-মই)।
রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনে জাতীয় সংসদের স্পীকার বর্তমান এমপি ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী (মহাজোট-নৌকা), সাইফুল ইসলাম (বিএনপি-ধানের শীষ), বেলাল হোসেন (ইসলামী আন্দোলন-হাতপাখা), হুমায়ুন এজাজ (এনপিপি-আম), অধ্যাপক কামরুজ্জামান (কমিউনিস্ট পার্টি-কাস্তে), এবিএম মাসুদ সরকার মজনু (বিএনএফ-টেলিভিশন)।
উল্লেখ্য, রংপুরের ৬টি আসনে মোট ৬১ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন। এরমধ্যে যাচাই-বাছাইয়ে ১৫ জনের মনোনয়ন বাতিল হয়। নির্বাচন কমিশনে আপিল করে কয়েকজন প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন। ## হালিম আনছারী, রংপুর। ১০-১২-১৮
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।