Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪, ২৫ আষাঢ় ১৪৩১, ০২ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

কক্সবাজার ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণা চালাতে গিয়ে মার ধরের শিকার হলেন রামু উপজেলা ছাত্রদলের সম্পাদক

বিশেষ সংবাদদাতা, কক্সবাজার | প্রকাশের সময় : ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৫:৩৫ পিএম

কক্সবাজার সদরে ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণা চালালে মেরে এলাকাছাড়া করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা ইউনুছ ভুট্টো। এই হুমকি দিয়ে তিনি ও তার লোকজন মিলে রামু উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আনচারুল করিমকে ব্যাপক মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়াগেছে।

সোমবার ( ১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় মিঠাছড়ি স্টেশনের এই ঘটনা ঘটে। তাকে উদ্ধার করতে এসে ইউনুছ ভুট্টো ও তার সশস্ত্র লোকজনের হামলায় প্রবাসীসহ দুই এলাকাবাসী আহত হয়েছেন। সোমবার দুপুরে এ অভিযোগ করেছেন, বিএনপির প্রার্থী  লুৎফুর রহমান কাজল । তবে অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন চেয়ারম্যান ভুট্টো।

মারধরের শিকার রামু উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আনচারুল করিম জানান, তিনি সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে বাজারের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এসময় সিএনজি অটোরিক্সাযোগে হঠাৎ চেয়ারম্যান ইউনুছ সেখানে আসেন। এসেই তিনি আনসারুল করিমকে জানান, তার বিরুদ্ধে পরিষদের অনেক অভিযোগ রয়েছে। কি অভিযোগ জানতে চাইলেই ক্ষেপে গিয়ে আনচারুল করিমকে গালে চড় মারেন। বিষয়টি খেয়াল করে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে চেয়ারম্যান ভুট্টোকে নিবৃত করেন।

এসময় চেয়াম্যান ভুট্টো প্রকাশ্যে বলেন, ‘দক্ষিণ মিঠাছড়িতে কেউ ধানের শীষের প্রচারণা চালাতে পারবে না। কেউ তার চেষ্টা করলে তাকে এলাকাছাড়া করে ছাড়বে।’

আনচারুল করিমে উদ্দেশ্য করে চেয়ারম্যান ভুট্টো আরো বলেন, ‘তুই এখানে খালেদা জিয়া, লুৎফুর রহমান কাজল ও ধানের শীষের নাম ধরবি না। এখানে কাজলকে এমপি হতে দেবো না। আমরা ভোট কেটে নেবো। তাই আমরা চাই না তোর কারণে এখানকার অন্য লোকজনও কষ্ট পাক। তোরা যদি তা করস তাহলে সবাইকে এলাকাছাড়া করবো।’

অভিযোগ মতে, তাতেও ক্ষান্ত হননি চেয়ারম্যান ইউনুছ ভুট্টো। পরে সমঝোতা অজুহাতে ডেকে নিয়ে আনচারুল করিমকে আরেক দফা মারধর করা হয়। এসময় ইউনুছ ভুট্টোর ভাই সরওয়ার ও আজিম এবং যুবলীগ নেতা কালা ফিরোজসহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন মিলে ছাত্রদল নেতা আনচারুল করিমে ব্যাপকভাবে মারধর করে। এক পর্যায়ে স্থানীয় সাধারণ লোকজন এগিয়ে এসে আনচারুল করিমকে উদ্ধার করে । এ সময় তাদের হামলায় উদ্ধারকারী প্রবাসী হানিফ ও শরীফ নামে দু’জন আহত হয়েছেন। জনতার প্রতিরোধ ঠেকাতে ফাঁকা গুলিও বর্ষণ করেছে ইউনুছ ভুট্টোর লোকজন- এমন অভিযোগ করেছেন আনচারুল করিম।

তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চেয়ারম্যান ইউনুছ ভুট্টো। তিনি বলেন, আমি ফজরের নামাজ পড়ে পানের ছড়া এলাকায় যাই। সেখানে আমি বিভিন্ন স্তরের মানুষের সাথে সাক্ষাত করি। সেখান থেকে আসার পথে ব্রীজের ব্যারিকেড দিয়ে বিএনপির ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আমার উপর হামলা করেছে। আমরা কাউকে মারধর বা হামলা করিনি।’

কক্সবাজার সদর-রামু আসনের বিএনপির মনোনিত প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল বলেন, প্রচারণা শুরুতেই সরকারি দলের প্রার্থীর লোকজন বিএনপির লোকজনের হামলা করেছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশের জন্য হুমকি। আমি এই বিষয়টি অতি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে হামলাকারী চেয়ারম্যান ইউনুছ ভুট্টোসহ হামলাকীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশের প্রতি আহ্বান করছি। একই সাথে সব ক্ষেতে সুষ্ঠু পরিবেশ ও সবার সমান অবস্থান নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ