পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটে মহাজট দেখা দিয়েছে। রোববার (৯ডিসেম্বর) প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিনে মহাজোটের শরীক জাতীয় পার্টি (জাপা) ও যুক্তফ্রন্ট প্রায় দেড় শতাধিক আসনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করায় এ সংকট তৈরি হয়েছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সাবেক প্রেসিডেন্ট এ কিউ এম বদরুদোজ্জা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন জোট যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে আসন ভাগাভাগিতে যেমন সমঝোতা করতে পারেনি, ঠিক একই চিত্র ছিল মহাজোটের অন্যতম শরীক এরশাদের জাপার সঙ্গেও। শরীকদের সঙ্গে আসন বণ্টনে সমঝোতায় পৌঁছাতে না পারায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। মহাজোটের অনেক প্রর্থীই এ বিষয়ে লুকোচুরির আশ্রয় নিয়েছেন। এ জন্য একই আসনের একাধিক প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে খোঁজ নিচ্ছেন।
দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৯টিতে সমঝোতার পাশাপাশি আরও ১৩২টি আসনে আওয়ামী লীগের বিপরীতে প্রার্থী দিয়েছে জাপা। একইভাবে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা হওয়া ৩টি আসন বাদে আরও ২৮টিতে প্রার্থী দিয়েছে বিকল্পধারা বাংলাদেশসহ যুক্তফ্রন্ট। ফলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অর্ধেকেরও বেশি আসনে মহাজোটভুক্ত একাধিক (আওয়ামী লীগ, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাপা) রাজনৈতিক দলের প্রার্থী রয়েছেন।
যেসব আসনে মহাজোটের একাধিক দলের প্রার্থী রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর-কালিগঞ্জ একাংশ) আসন। এখানে মহাজোটের তিন জন প্রার্থী হয়েছেন। তারা হলেন- বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি এইচ এম গোলাম রেজা (কুলা প্রতীক), আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি এস এম জগলুল হায়দার ( নৌকা প্রতীক) এবং জাপার সাত্তার মোড়ল (নাঙ্গল প্রতীক)। এ তিন প্রার্থীর সবাই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের, তাই আওয়ামীলীগ একক কোনো প্রার্থীর পক্ষে না গিয়ে নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে নির্বাচন পরিচালনার জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশনা দিয়েছে।
একই চিত্র সাতক্ষীরা-১ ও ২ আসনে। এ দুটি আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থীর সঙ্গে জাপারও প্রার্থী রয়েছে। ফলে সাতক্ষীরা-৪ আসনের ন্যায় এখানেও মহাজোটের একাধিক প্রার্থীর মধ্যে ভোটযুদ্ধ হবে। অপরদিকে, এসব আসনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একক প্রার্থী রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।