মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
উজবেকিস্তান, রাশিয়া, কাজাখস্তান, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের রেলওয়ে প্রশাসনের প্রধানদের একটি বৈঠক ৩-৪ ডিসেম্বর তাসখন্দে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উজবেক মিডিয়াতে এই সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। বৈঠকে একটি এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হয়েছে যেটা অতীব গুরুত্বপূর্ণ এবং অতিরঞ্জন ছাড়াই ঐতিহাসিক হিসেবে বর্ণনা করা যায়। সেটা হলো মাজার-ই-শরীফ-কাবুল-পেশোয়ার রেললাইন স্থাপন। আন্তঃসংযোগ স্থাপনের জন্য এটা ইউরেশীয় ধারণা বাস্তবায়নের অংশ হতে পারে, ইইউ বর্তমানে যেটাকে সমর্থন দিচ্ছে। বৈঠকের পরে, উজবেকিস্তান, রাশিয়া, কাজাখস্তান, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের রেল প্রশাসনের মধ্যে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ এবং আর্থিক তহবিল গড়ে তোলার জন্য একটি প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয়। বিকল্প স্থল রুট গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এই রেলওয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। এই রুট দিয়ে এশিয়া থেকে ইউরোপে এবং উল্টা পথেও কার্গো পরিবহন সহজ হবে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রেল সংযোগের অভাব এই মাজার-ই-শরীফ-খুলম-পুলি-খুমরি-ডোমি-সুরাবাই-জালালাবাদ-টোরখাম রেললাইনটি পূরণ করবে। আফগান রাজধানী কাবুল দিয়ে এই রেললাইনটি স্থাপিত হবে। এটা হবে একটা ট্রানজিট করিডোর যেটা ইইউ, রাশিয়া, উজবেকিস্তান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ভারত এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্রগুলোকে সংযুক্ত করবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের আরেকটি সুবিধানজনক দিক হলো সুরখান-পুলি-খুমরি-ডোশি-সুরাবাই-জেলালাবাদ-পেশোয়ার (পাকিস্তান) পর্যন্ত প্রস্তাবিত রেললাইন বরাবর উচ্চমাত্রার বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন। এর অর্থ হলো এই রুট বরাবর বিদ্যুতায়িত রেলওয়ে স্থাপনের সম্ভাবনা রয়েছে। এর সাথে, উজবেকিস্তান এখন সক্রিয়ভাবে আরেকটি প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে – সেটা হলো মাজার-ই-শরীফ-হেরাত রেলওয়ে করিডোর তৈরি করা। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ৩০,০০০ আফগান নাগরিকের কর্মসংস্থান হবে এবং কাবুল এই ট্রানজিট থেকে বছরে ৪০০-৫০০ মিলিয়ন ডলার মুনাফা করতে পারবে। প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে আফগানিস্তানের বাণিজ্যের আকার ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যাবে। একই সাথে আফগানিস্তানের সব দিকে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিশ্রুতিশীল বাজারগুলোতেও আফগানিস্তানের প্রবেশ সুবিধা বাড়বে। সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।