Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

‘মনেই ছিল না, ধন্যবাদ’

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ‘২০০ ওয়ানডে’

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে দাঁড়িয়ে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘রক্তিম সূর্য’ অস্তমিত হবার অপেক্ষায়। আগের বহু কীর্তির মত শেষবার জ্বলজ্বলে এক যতি চিহ্ন রেখে যাবার প্রতীক্ষায় মাশরাফি বিন মুর্তজা। ২০০১ সালের ২৩ নভেম্বর চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছিল যে ক্যারিয়ার, সেটি নতুন উচ্চতা স্পর্শ করবে আজ মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। যেখানে পা পড়েনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের আর কারও। দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ২০০ ওয়ানডে খেলার স্বাদ পাবেন মাশরাফি।
বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ২০০ ওয়ানডের দুয়ারে থাকলেও বাংলাদেশের হয়ে ২০০ ওয়ানডে খেলতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কটা দিন। ২০০৭ সালে আফ্রো-এশিয়া কাপে এশিয়া একাদশে দুটি ম্যাচ খেলেছিলেন মাশরাফি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের সব ম্যাচ খেললে তৃতীয় ম্যাচটি হবে বাংলাদেশের হয়ে মাশরাফির ২০০তম ওয়ানডে। সব ঠিক থাকলে সেই মাইলফলকেও তিনিই হবে প্রথম। দুইয়ে থাকা মুশফিকুর রহিম খেলেছেন ১৯৫ ওয়ানডে। এর আগের ১৯৯ ম্যাচে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৭টি ম্যাচে জয় পেয়েছেন মাশরাফি। আর অধিনায়ক হিসেবে আজ নামছেন নিজের ৬৮তম ম্যাচে।
এমন দিনেও নির্বিকার, নিজের মাইলফলক নিয়ে আলাদা রোমাঞ্চ নেই অধিনায়কের। ম্যাচের আগের দিন গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বললেন, তার ভাবনা জুড়ে কেবলই দলের জয়, ‘ধন্যবাদ মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য (২০০তম ওয়ানডে)। আমার আসলে খেয়াল ছিল না। আমি আগেও বলেছি, এগুলো আমাকে স্পর্শ করে না। আমার কাছে এত গুরুত্বপূর্ণও নয়। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কালকের (আজকের) ম্যাচটা জেতা।’ তবে একেবারেই যে স্পর্শ করে না ঠিক তাও নয়। ভবিষ্যতের জন্য আলাদা করে রেখে দিলেন এর তুষ্টি, ‘এইদিক থেকে ভালো লাগছে যে, ওয়ানডেতে অন্তত ২০০ ম্যাচ হচ্ছে। একটা সময় অবশ্যই ভালো লাগবে, যখন মানুষ বলবে, “তুমি বাংলাদেশের হয়ে ২০০টা ম্যাচ খেলেছো”। এটা অবশ্যই একটা অর্জন। ওই জায়গা থেকে অবশ্যই ভালো লাগবে। কিন্তু এই ম্যাচে অন্য কিছুর গুরুত্ব একেবারেই নাই। ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদেরকে জিততে হবে, ব্যাস।’
প্রায় ৫ বছর পর ক্যারিয়ার শুরু করেও মুশফিকের ওয়ানডে সংখ্যা কাছাকাছি, এটিই ফুটিয়ে তুলছে মাশরাফির ক্যারিয়ারের বাস্তবতা। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরুর পরপরই চোটের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল মাশরাফির। সেই সম্পর্ক এরপর তাকে ভুগিয়েছে ক্যারিয়ার জুড়ে। কখনও কখনও মাসের পর মাস বাইরে থাকতে হয়েছে। কখনও ক্যারিয়ার নিয়েই জেগেছে শঙ্কা। কেবল ওয়ানডে ফরম্যাটেই তার অভিষেক থেকে এ পর্যন্ত খেলতে পারেননি দেশের ১১১টি ম্যাচে। কিন্তু প্রতিটি চোটের পরই তিনি ঘুরে দাঁড়িয়েছেন দারুণ দৃঢ়তায়। এগিয়ে গেছেন নতুন উদ্যমে। সবার আগে ম্যাচ খেলার ডাবল সেঞ্চুরির অর্জন যেন তার সেই হার না মানা মানসিকতারই জয়গান।
সবশেষ সিরিজে দল জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করলেও নিজের খুব একটা ভালো কাটেনি অধিনায়কের। তিন ম্যাচে উইকেট নিতে পেরেছিলেন একটি। সেপ্টেম্বরের এশিয়া কাপ থেকে বয়ে আনা কুঁচকির চোট তাকে ভুগিয়েছে প্রচণ্ড। সেই চোট থেকে পুরোপুরি মুক্তি মেলেনি এখনও। অধিনায়ক জানালেন, চালিয়ে যাচ্ছেন লড়াই, ‘আমি চেষ্টা করছি শতভাগ ফিট হওয়ার। জিম্বাবুয়ে সিরিজে যেটা হয়েছিল, এশিয়া কাপ থেকে কিছু ইনজুরি বয়ে এনেছিলাম। এখন প্র্যাকটিস করছি, আশা করছি ঠিক থাকার কথা।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মাশরাফি বিন মুর্তজা
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ