রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল-হরিপুর সীমান্তে আবারো বিজিবি কর্তৃক কৃষকদের ভুট্টা চাষে বাধা এবং কৃষকদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে। সীমান্ত ঘেঁষা নাগর নদীতে ডুবিয়ে তাদের নির্যাতন চালিয়ে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। এমন অভিযোগ উঠেছে বিজিবির বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য কৃষকদের আহত অবস্থায় ক্যাম্প থেকে উদ্ধার করে হরিপুর হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতরা হলেন- রানীশংকৈল-হরিপুর সীমান্তের ধর্মগড় এবং মারাধার এলাকার কৃষক ফারুক (২৩), আইয়ুব (২৫), জাহাঙ্গীর আলম (৩৫), ইউনুস আলী (২৪), কাজলসহ (১৯) ১০ জন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত বৃহস্পতিবার সীমান্ত ঘেঁষা বাংলাদেশ অভ্যন্তরে আবাদি জমিতে হালচাষ করার সময় মহেন্দ্র গাড়ির ড্রাইভার রসদুলসহ (২২) প্রায় ১০ জন কৃষককে ধর্মগড় ক্যাম্প কমান্ডারর নির্দেশে বিজিবি সদস্যরা বেধর মারপিট করে। পরে নাগর নদীতে ডুবিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন চালিয়ে তাদের ক্যাম্পে দিনভর আটক করে রাখে। এসময় খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মকিম তাদের উদ্ধার করে হরিপুর হাসপাতালে ভর্তি করেন। ইউপি সদস্য জানান, এ অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে বিজিবি সদস্যরা অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেছে। কৃষকরা জানান, তারা কি বাংলাদেশের নাগরিক নয়? তা হলে কৃষকের ওপর কেন বিজিবি কর্তৃক এত নির্যাতিত হচ্ছে। আহত অবস্থায় কৃষক জাহাঙ্গীর আলম, আইয়ুব আলীসহ অন্যান্যরা জানান, ধর্মগড় এবং কাঠালডাঙ্গী বিজিবি সদস্যরা তাদের নদীর কনকনে ঠান্ডা পানিতে প্রায় ঘণ্টাখানেক ডুবিয়ে নির্যাতন চালিয়েছে। তার পরও বুট জুতা দিয়ে লাথি মেরেছে এবং বাঁশের লাঠি দিয়ে আঘাত করেছে। সেই সাথে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে।
এভাবে কৃষকদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে তাদের ধর্মগড় ক্যাম্পে দিনভর আটক করে রাখে বিজিবি সদস্যরা। এ প্রসঙ্গে ঠাকুরগাঁও-৫০ বিজিবি পরিচালক তুহিন মাসুদ ইনকিলাবকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, চোরাকারবারী ও মাদক রোধের উদ্দেশে স্থানীয় লোকজনের উদ্যোগে সিদ্ধান্ত হয়েছে ভারত সীমান্ত থেকে ঢেড়শ গাজের মধ্যে ভুট্টা এবং আখ চাষ করা নিষেধ করা হয়েছে কৃষকদের। ভুট্টা চাষকে কেন্দ্র করে বিজিবি সদস্য’র সঙ্গে কিছু সংখ্যক কৃষকের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। এ সময় কয়েকজন কৃষক পালিয়ে যাওয়ার সময় নদী পার হয়েছে। অথচ কৃষকরা বলছে, তাদের নাকি বিজিবি সদস্যরা নদীতে ডুবিয়েছে। যদিও তাদের ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়েছে। পরে স্থানীয় লোকজন বসে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।