নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : ঘরোয়া হকির মৌসুম সূচক টুর্নামেন্ট মার্সেল ক্লাব কাপে ‘খ’ গ্রুপ সেরা হয়েই সেমিফাইনালে জায়গা পেল ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। অন্যদিকে এই গ্রুপের রানার্সআপ দল হিসেবে শেষ চারে খেলবে ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। গতকাল মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে গ্রুপের শেষ ম্যাচে আবাহনী ৪-২ গোলে হারায় মোহামেডানকে। হকি ফেডারেশনের নির্বাচন জটিলতায় মোহামেডানের নেতৃত্ব পাঁচটি ক্লাব দুই মৌসুম খেলা থেকে বিরত থাকায় গত প্রায় তিন বছর মোহামেডান-আবাহনী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়নি। ফলে দীর্ঘদিন পর এ দু’টি দল মুখোমুখী হলে শেষ হাসি হাসলো আবাহনীই।
গতকাল ক্লাব কাপে ‘খ’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে চার পাকিস্তানী খেলোয়াড়কে নিয়ে টার্ফে নমে আবাহনী নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে। মোহামেডানের পাকিস্তানী খেলোয়াড়রা ম্যাচের ২৪ ঘণ্টা আগে নিবন্ধিত হতে ব্যর্থ হওয়ায় এ ম্যাচে খেলতে পারেননি। তবে ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণাত্মক হকি খেলে মোহামেডান। তিন মিনিটেই তারা গোলের সুযোগ সৃষ্টি করে। এসময় মিডফিল্ডার কামরুজ্জামান রানার পাওয়ার হিটে তারকা ফরোয়ার্ড রাসেল মাহমুদ জিমি যদি কানেক্ট করতে পারতেন তাহলে নিশ্চিত গোল পেতো মোহামেডান। জিমি পোস্টের খুব কাছ থেকে বলের লাইন মিস করেন। যার খেসারত দিতে হয় ৬ মিনিটে।
এই সময় ডানপ্রান্ত দিয়ে দ্রুতগতিতে বল নিয়ে মোহামেডান বক্সের কাছে চলে আসেন আবাহনী মিডফিল্ডার রোম্মান সরকার। বার লক্ষ্য করে কোনাকুনি হিট করেন। অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড মাকসুদ আলম হাবুল অনুসরণ করছিলেন রোম্মানকে। ডিফেন্সকে ফাঁকি দিয়ে তিনি জায়গা বের করে নেন। রোম্মানের হিট হাবুলের স্টিক বরাবর গেলে তিনি মোচড়ে বল পাঠিয়ে দেন জালে (১-০)।
৮ মিনিটে দ্বিতীয় গোল পায় আবাহনী। এ গোলের উৎসও রোম্মান সরকারের পাওয়ার হিট। তবে এবার বল রিসিভ করেন পাকিস্তানী ফরোয়ার্ড শাফকাত রাসুল। বল নিয়ন্ত্রণে রেখে ঠান্ডা মাথায় পুশ করে দলের পক্ষে দ্বিতীয় গোল করেন তিনি (২-০)। ম্যাচের ১১ মিনিটে আবাহনী তৃতীয়বার বল পাঠায় সাদা-কালোদের জালে। মোহামেডান রক্ষণভাগের ভুলে বল পেয়ে কোনাকুনি পুশে আবাহনীকে তৃতীয় গোল এনে দেন মাকসুদ আলম হাবুল (৩-০)। পিছিয়ে পড়লেও ম্যাচে ফিরতে চেস্টা করে মোহামেডান। তারা পাল্টা আক্রমণ চালায়। ২৬ মিনিটে মোহামেডান মিডফিল্ডার কামরুজ্জামান রানা বল দেন দ্বীন ইসলামকে। তিনি হিট নিলে তা সাইড পোস্ট ঘেষে বাইরে চলে যায়। এরপর ডিফেন্ডার চন্দনের করা পেনাল্টি কর্নার ডান দিকে ঝাঁপিয়ে বাঁচান আবাহনী গোলরক্ষক অসিম গোপ। নিশ্চত গোলবঞ্চিত হয় মোহামেডান। তিন গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধের প্রথমদিকে ব্যবধান কমায় সাদাকালোরা। ৪৫ মিনিটে ফরোয়ার্ড রুবেল হোসেন ফিল্ড গোল করে দলকে ম্যাচে ফেরাতে চেস্টা করেন (১-৩)। কিন্তু আবারো গোল উৎসবে মাতে আবাহনী। ফলে সব আশা শেষ হয়ে যায় মোহামেডানের। ম্যাচের ৬১ মিনিটে আবাহনীর হয়ে চতুর্থ গোলটি করেন রোম্মান সরকার (৪-১)। তবে খেলা শেষ হওয়ার এক মিনিট আগে দ্বীন ইসলাম মোহামেডানের হয়ে দ্বিতীয় গোল শোধ দেন (২-৪)। তাই সাদা-কালোদের সান্ত¦না হারলেও ব্যবধান কিছুটা কমাতে পেরেছে তারা। আগামীকাল টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। এ ম্যাচে ঊষা ক্রীড়া চক্র খেলবে মোহামেডানের বিপক্ষে। শনিবার দ্বিতীয় সেমিতে আবাহনীর প্রতিপক্ষ ঢাকা মেরিনার ইয়াংস ক্লাব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।