পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দৈনিক ইনকিলাবে কিছুদিন আগে একটি ‘মন্তব্য প্রতিবেদন’ ছাপা হয়েছিল। যাতে লেখক বলেছিলেন, দেশের অধিক জনসম্পৃক্ত ও সামাজিকভাবে অত্যন্ত প্রভাবশালী আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখ ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে যেন সব বড় দল ও জোট বেশি করে মনোনয়ন দেয়। জানিনা, এ লেখার ফল ভালো হল, না মন্দ হল। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট বর্ণিত শ্রেণীর ক’জনকে মনোনয়ন দিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। ৯ তারিখে সম্ভবত তা পরিষ্কার হয়ে যাবে। ঐক্যফ্রন্ট বিএনপি ও ২৩ দল এ শ্রেণীর কতজনকে মনোনয়ন দেবে তা-ও ১০ তারিখ মার্কা হাতে পেলেই সবাই জানতে পারবেন। শোনা গেছে, ২৩ দলীয় জোটের শরিক আলেম-ওলামার দলগুলোকে একটি দু’টি আসন দিতেও বড় নেতারা এবার যথেষ্ট গাঁইগুঁই করেছেন। বহু বছর দুঃখ কষ্ট ও নানা অবজ্ঞা সহ্য করে যেসব নেতা ২৩ দলের ভেতর ছিলেন, তাদের একটিও আসন না দেওয়ার মত পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে। একজন বিখ্যাত আলেম দীর্ঘদিন যোগাযোগ করেও ২০ দলের অন্তর্ভুক্ত হতে পারেননি। অথচ, শেষ বেলা অখ্যাত তিনটি দল ২০ দলে যোগ দিয়ে ২৩ দল হয়ে গেছে।
অনেকে জোট ত্যাগ, আলাদাভাবে নির্বাচন, এমনকি আওয়ামী জোটের সাথে মিশে যাওয়ার হুমকি দিয়ে বড় জোড় দু’চারটি আসন পাচ্ছেন। অথচ ইনকিলাবের লেখায় দেশের বিশিষ্ট সাংবাদিক কলামিষ্ট সব বড় দল ও জোটকে প্রথমবার অন্তত ১০% আসন ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। ইসলামী মূল্যবোধের দল বিএনপির এখন যে পতিত দশা তাতে আশা করা গিয়েছিল যে, নেতৃবৃন্দ ভেবেচিন্তে কাজ করবেন। সামান্য তিনটি শর্ত নীতিগতভাবে মেনে কেবল মৌখিক আশ্বাস দিতেও তাদের সৌভাগ্য হয়নি।
বিএনপির একমাত্র আলেম মনোনয়নপ্রত্যাশী যোগ্যতর একজন প্রার্থীকে তারা মনোনয়ন ফরম কেনার পরামর্শ দিয়েও শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন দেননি। অথচ, এলাকার বাস্তবতা এই যে, এই প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করলে তার বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা ছিল বিপুল। দীর্ঘ চেষ্টার পর বিএনপি তাকে নির্বাচনে সম্মত করার সংবাদ পেয়েই এলাকার ভোটাররা নড়েচড়ে বসেছিল। প্রায় সিকি শতাব্দী এ আসনটি বিএনপি হাতছাড়া করে বসে আছে। যদিও এ প্রার্থীর পিতা, যিনি একজন স্বনামধন্য আলেম ও সংসদ সদস্য ছিলেন, একবার বহু ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়ে এ আসনটি বিএনপিকে এনে দিয়েছিলেন। তার প্রভাবে তখন জেলার সাতটি আসনের পাঁচটিই বিএনপি পেয়েছিল। এজন্য তারা তাকে কোনো স্বীকৃতি মূল্যায়ন বা কৃতজ্ঞতা জানায়নি। এবার তার মতই আলোচিত জনপ্রিয় ও সুযোগ্য সন্তানকে ওয়াদা দিয়েও মনোনয়ন না দেওয়ায় বিএনপি শুধু সে আসনটিই নয়, বরং জেলার সবগুলো আসনেই নৈতিকভাবে পরাজিত হয়ে গেছে। বাকীটুকু নির্বাচনের পর বোঝা যাবে।
পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা, খুব কষ্ট করে একটি আসন তারা পেতেও পারে। অবশ্য নির্বাচন বাস্তব অর্থে অবাধ ও সুষ্ঠু হলে ফলাফল কিছুটা অন্যরকমও হতে পারে। তবে, মনোনয়নে ভুল করায় কমবেশি মাশুল তাদের দিতেই হবে। বিশেষ করে এই আলেম প্রার্থী নানা কারণে দেশে-বিদেশে পরিচিত। সারা দেশের ইসলামী অঙ্গনে দলমত চিন্তা নির্বিশেষে সকলের কাছে কমবেশি সমাদৃত। ৩০০ আসনের সবগুলোতে ৫০০ থেকে ৫০০০ পর্যন্ত, ক্ষেত্র বিশেষে আরও অনেক বেশি ভোটারের ওপর তার শর্ত ও ব্যক্তিত্বের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শনের মন্দপ্রভাব পড়বে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা। ঐক্যফ্রন্টের বড় বড় নামী-দামী নেতাদের একজনেরও এই মাওলানার সমান ফলোয়ার, ফ্যান ও সমর্থক-ভোটার সারা দেশে নেই। বিশেষকরে তার নিজের লক্ষাধিক ভোটার সংবলিত একটি উর্বর নির্বাচনী এলাকা রয়েছে। প্রায় সাড়ে ৪ লাখ ভোটের মধ্যে মাওলানা সাহেবের প্রতি আন্তরিক লক্ষাধিক ভোট যে প্রার্থী টানতে পারবে না, সে শুধু তার মার্কা নিয়ে এ আসন থেকে বেরিয়েও আসতে পারবে না। এদেশে ৪০০ বছরের ঐতিহ্যসম্পন্ন একটি আলেম ও ইসলামী বুদ্ধিজীবী পরিবার যে মৌখিক ভক্তি-শ্রদ্ধার বাইরেও এত পরিমাণ ভোট লাভে সক্ষম, এ বিষয়টি অনেকটা নজিরবিহীন। যা বাস্তব অবস্থা না জানা লোকেরা অনুধাবন করতে পারবে না। এটি নিজেদের ধর্মীয় অবদান, সমাজকর্ম ও রাজনৈতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষার মাধ্যমে মাওলানার পূর্বসূরীরা অর্জন করে গেছেন। সেখানে তাদের স্লোগান হচ্ছে, ‘নীতি আমাদের নত হতে দেয় না, আমরা নতুন কিছু অর্জন করতে না পারলেও, কষ্ট ত্যাগ ও সাধনায় লব্ধ ঐতিহ্য ও সুনাম হারাতে পারি না।’ এত দুরাবস্থার মধ্যেও বিএনপির এ অবহেলা, উদাসীনতা, বিশৃঙ্খলা, চেইন অব কমান্ড না থাকা ভালো কিছুর আলামত নয়। বিশেষ করে এমন পতিত সময়ে মনোনয়ন বাণিজ্যের যেসব সংবাদ মিডিয়ায় এসেছে, তা মরণের লক্ষণ।
আওয়ামী লীগ ধর্মপ্রাণ মানুষের ঈমানী দাবির মুখোমুখি হয়ে একটি বিষয় অনুধাবন করতে পেরেছে যে, দেশের কওমী ঘরানা নিয়ন্ত্রিত ধর্মীয় জনমত প্রভাবিত করতে চাইলে আলেম-ওলামার সাথে দ্ব›েদ্ব যাওয়া যাবে না। প্রধানমন্ত্রী তার প্রজ্ঞা দিয়ে কওমী আলেমদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। শর্তহীনভাবে কওমী সনদের স্বীকৃতি দিয়েছেন। হেফাজতে ইসলামকে শত্রুতার পর্যায় থেকে মিত্রের পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন।
আল্লামা আহমদ শফীর মনে এ ধারণা জন্মাতে পেরেছেন যে, তিনি ধর্মীয় সমাজের শত্রু নন। আওয়ামী লীগসহ মহাজোটের সকলকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, বেয়াদবি করে কেউ যেন আল্লামা শফীকে আর তেঁতুল হুজুর না বলে। সবাই যেন কওমী আলেমদের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরী করে।
কওমী মাদরাসায় সন্ত্রাসী তৈরী হয় না, উপমহাদেশের শিক্ষার শুরুই হয়েছে কওমী মাদরাসা থেকে, সমাজে লাখো সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে শিক্ষা, পোষাক, চিকিৎসা, খাদ্য, বাসস্থান ইত্যাদি দিয়ে কওমী মাদরাসার মুরব্বীরা লালন-পালন করছেন, তাদের নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করছেন, এসব নাগরিকের সনদের স্বীকৃতি তাদের মৌলিক অধিকার। ধনী-গরিব সবাই এসব মাদরাসায় শিক্ষিত হয়ে সুনাগরিকরূপে দেশ ও জাতির কল্যাণে আরও অধিক অবদান রাখুক, এটাই প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা।
তিনি বলেছেন, ভোট বা দুনিয়াবী স্বার্থের জন্য নয়, প্রশংসা বা কৃতজ্ঞতা পাওয়ার জন্য নয়, আমি আল্লাহকে খুশি করার জন্য কওমী স্বীকৃতি দিয়েছি। আমার পিতা ইসলামের জন্য অনেক কাজ করে গেছেন। আমিও সে ধারা চালু রাখার জন্য ইসলামের খেদমত করছি। প্রশংসা বা সংবর্ধনা নিতে আমার লজ্জা ও সংকোচ লাগছে, একথাও তিনি বলেছেন। এসবই তার প্রজ্ঞার নিদর্শন।
এখানে তার কিছু কর্মকর্তা ও দু’য়েকজন আলেম প্রধানমন্ত্রীর চিন্তা ও মনোভাবের স্ট্যান্ডার্ড থেকে নিচে নেমে কথা বলায় তাদের নিজেদের তো বটেই, প্রধানমন্ত্রী, শোকরানা মাহফিল এবং গোটা আলেম সমাজের ভাবমর্যাদা বিনষ্ট হয়েছে। কেউ হয়তো শাপলার বিতর্ক উস্কে দিয়ে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিয়েছেন, কেউ হয়তো শোকরানা মাহফিলকে নৌকার মাহফিলে পরিণত করেছেন, কেউ আবার অতি উৎসাহী হয়ে তাকে ‘জননী’ উপাধি দিয়ে ফেলেছেন যা প্রধানমন্ত্রী নিজেও পছন্দ তো করেনইনি বরং তাকে বিব্রত করায় এসব আলেমকে নীরবে বর্জনও করেছেন। কেউ কেউ তো এমন ছিলেন, যারা শাপলার ঘটনার পর থেকে নানা যুক্তিতে আলেম-ওলামাদের জ্ঞাতসারেই সরকারের সাথে সম্পর্ক রেখে চলছিলেন। অনেকে আশাও করছিলেন যদি একতরফা নির্বাচন হয়, তাহলে এমপি-টেম্পিও হয়ে যাবেন।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী একটি বড়জোট ও বিশাল দলের প্রধান। তিনি জানেন কাকে কী দিতে হয়। যাকে ১০ টাকা দিলে কাজ হয়, তাকে ৫০০ টাকা কে দেবে? যাকে কোনো গাড়িতে একটি আসন দিলেই সে বর্তে যায়, তাকে সংসদে আসন দিতে হবে কেন? তাছাড়া, রাজনীতিতে নিয়ম হলো, সাপের বিষদাঁত খুলে নেওয়া। এরপর আর তাকে কেয়ার না করলেও চলে। বিশেষতঃ গোয়েন্দারা যাদের সাথে ডিল করে তারা জীবনে কিছুই পায় না। সামান্য খুদ-কুঁড়া দিয়ে সম্ভাবনাময় বহু উঠতি নেতাকে নষ্ট করে দেওয়ায় তারা উস্তাদ।
রাজনীতিতে এমন অনেক হেভিওয়েটকেও দেখা গেছে মন্ত্রী এমপি হওয়ার লোভে এজেন্সির লোকেদের পাল্লায় পড়ে শেষ পর্যন্ত তাদের আম-ছালা দু’টোই গেছে। গোয়েন্দাদের প্রফেশন ও ট্রেনিংই এটি। যাকে কিছু করতে হয়, তা রাজনৈতিক নেতৃত্বই করে। যাকে কিছু করার নয়, তার সাথে লেনদেন হয় এজেন্সি দিয়ে। যাকে ঘরে ঢুকতে দিলেই সে নত হয়ে কুর্ণিশ করে, তাকে একটি ঘর কেউ দেয় না।
যারা ২০ দল থেকে চলে এসেছিলেন, তারা খুব সামান্য বিনিময়ের বদলে নিজেদের সুনাম বিনষ্ট করেছেন। কিছুই পাননি, অথচ জীবনব্যাপী লালিত মর্যাদা ও আদর্শ ছেড়ে বিবেকহীন অনেক কাজ ও কথায় সায় দিয়েছেন। অনেকে পিতা ও আদর্শিক গুরুর গৌরব ভ‚লুণ্ঠিত করেছেন। বিনিময়ে পেয়েছেন অতি সামান্যই। কিছু অর্বাচীন আল্লামা শফীর মান-মর্যাদা নিয়ে খেলেছেন। তার বিশাল ব্যক্তিত্বকে বিতর্কিত করেছে।
হেফাজতের কর্মসূচি জারি করে কখনো স্থগিত করে, মিছিলে গিয়ে, মিছিলে না গিয়ে, নানা বিবৃতিতে সই দিয়ে, কখনো তৈরি লেখায় সই করে নিজের ব্যক্তিত্বকে ধূলায় মিশিয়েছে। এরা স্বজাতির ঘৃণার পাশাপাশি বড়দের অবিশ্বাস আর সরকারের অবজ্ঞা ছাড়া আর কিছুই অর্জন করতে পারেনি।
ধর্মীয় ব্যক্তিদের মধ্যে যারা প্রত্যক্ষ রাজনীতি করেন, তাদের ক্ষেত্রে নিয়ম আলাদা। তারা জোট করতে পারেন, আলাদা থাকতে পারেন, নিজেরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারেন, বিবদমান বড় দু’টি পক্ষের একটিকে সহযোগিতা ও অপরটিকে অসহযোগিতা করতে পারেন, সরাসরি বা গুটি চেলে নিজেদের কর্মী সমর্থকদের বাহবা পেতে পারেন, অথবা এককথার ওপর থেকে ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে আদর্শের বিজয়ও অর্জন করতে পারেন।
কে কী করবেন, কার নিয়ত কী, কৌশল কী, তা অন্য লোকের জানার কথা নয়। সে প্রসঙ্গে যেতে চাই না। তবে, ইসলামের সকল যুগে শাসক ও উপদেশক দু’টি শ্রেণী সমানভাবে পাওয়া যায়। ইসলামী অনুশাসন বাস্তবায়ন, শাসকদের কাজকর্ম পর্যবেক্ষণ ও ধর্মীয় সংস্কার নিয়ে যারা কাজ করেছেন, তারা প্রায় সবাই ক্ষমতা থেকে দূরে থেকেছেন। এটি খুবই কার্যকর ও প্রশংসনীয় একটি অবস্থান। এতে ইসলামী দাবি-দাওয়া ও সংস্কার আন্দোলন নিষ্কলুষ যেমন থাকে, তেমনই এর নেতাকর্মীরা থাকেন পার্থিব লোভ-লালসা, চাওয়া-পাওয়া ও ভয়-ভীতির ঊর্দ্ধে। প্রয়োজনে জীবন দেন, কিন্তু নীতি ছাড়েন না। জালেম শাসকরা তাদের ধ্বংস করে দেয়, কিন্তু পরাজিত করতে পারে না।
এদেশের আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখ ওসব পথিকৃতেরই অনুসারী। হেফাজতে ইসলাম অনেকটা এধরনেরই আন্দোলন। শত বিভ্রান্তি ও ধোঁয়াশা সত্বেও এর লাখো অনুসারী ও হাজারো নেতা এ নীতির ওপরই অটল অনড় আছেন। মার্কিন মূল্যায়ন থেকে এ বিষয়টি আরেকটু স্পষ্ট হয়। সম্প্রতি মার্কিন কর্তৃপক্ষ মন্তব্য করেছেন যে, বাংলাদেশের স্থিতিশীলতার জন্য হেফাজত নাকি হুমকি। এক্ষেত্রে হেফাজতকে নিজের অবস্থান বিবেচনা করে খুব রয়ে-সয়ে, ভেবে-চিন্তে চলতে হবে। কওমী আলেমদেরও নিজেদের ঐতিহ্য ও শান বজায় রেখে চলতে হবে। লোভ-লালসা, ভয়-ভীতি বা প্রবৃত্তির দাসত্বের কবলে পড়ে নিজেদের ঈমান ও সম্মান হারালে চলবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।