পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খুতবা নির্দিষ্ট করে নয় হিন্দুত্ববাদী পাঠ্যসূচী সংশোধন করতে হবে -আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী
স্টাফ রিপোর্টার : জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেছেন, ইসলামী শিক্ষা সম্পর্কে সম্যক ধারণা না থাকার কারণেই কিছুসংখ্যক যুবক বিপদগামী হয়ে জঙ্গিবাদের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এ সমস্যা উৎরাতে জুমার খুতবা নির্দিষ্ট করে কোনো লাভ হবে না। বরং নাস্তিক্যবাদী ও হিন্দুত্ববাদী পাঠ্যসূচী সর্বাগে সংশোধন করতে হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সন্তানদের ধর্মীয় শিক্ষা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আমরা এ আহ্বানকে স্বাগত জানাই। কিন্তু স্কুল-কলেজ ও মাদরাসায় বর্তমান পাঠ্যসূচি পাঠদান করে জঙ্গিবাদ সমস্যার সমাধান হবে না এবং প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দেয়াও সম্ভব নয়। সন্তানদের ধর্মীয় শিক্ষা দিতে হলে শিক্ষার সকল স্তরে ইসলামী শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। বর্তমান জঙ্গি সমস্যা প্রেক্ষাপটে এটা সময়ের দাবী। গতকাল বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইটে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ঢাকা মহানগর আয়োজিত “সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব প্রতিবাদ-সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জমিয়তের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীর সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া, মাওলানা শরীফ মুহাম্মাদ ইয়াহইয়া, মহানগর জমিয়তের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতী বশীরুল হাসান, মুফতী মাহবুবুল আলম, মাওলানা হেদায়েতুল ইসলাম, মাওলানা নূর মোহাম্মাদ, যুব জমিয়ত সভাপতি মাওলানা শরফুদ্দীন ইয়াহইয়া কাসেমী, ছাত্র জমিয়ত সভাপতি মুফতী নাসির উদ্দীন, যুব জমিয়ত ঢাকা মহানগর সেক্রেটারী তোফায়েল গাজালী, ছাত্র নেতা বুরহানুদ্দীন ও সুহাইল প্রমুখ।
আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী আরো বলেন, যুগ যুগ ধরে এদেশের লাখ-লাখ মসজিদে খতীবগণ শান্তি ও ন্যায়ের সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকল সমস্যা নিয়ে বক্তব্য দিয়ে আসছেন। কিন্তু জঙ্গিবাদ সমস্যা উত্তরণে নির্দিষ্ট খুতবা দিয়ে খতিবদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। ফলে মুসল্লীদের কাছে ইসলামের বার্তা পৌঁছে দিতে বাধাগ্রস্ত হবে। তাই জুমার খুতবা নির্ধারণের নামে ইমাম খতীবদের হয়রানি না করে ইসলামী ভাবধারার আলোকে পাঠ্যসূচী প্রণয়ন এবং বর্তমান হিন্দুত্ববাদী পাঠ্যসূচী বাতিল করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, “ইসলামের ইমেজ ক্ষুণœ করে ইসলামের অগ্রযাত্রাকে প্রতিহত করতে গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলা চালানো হয়েছে। এসব সন্ত্রাসী কর্মকা-ে যারাই জড়িত তারা ইসলাম ও মানবতার শত্রু। এদেশের সকল শিক্ষার্থী যদি ইসলামের মর্মবাণী ভালভাবে অনুধাবন করতে পারে তাহলে তাদের কেউ আর মিস গাইড করে জঙ্গিবাদে নিতে পারবে না। তাই ইসলামভিত্তিক পাঠ্যসূচি প্রণয়নে সরকারকে দ্রুত প্রদক্ষেপ নিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।