Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এক কোটি টাকার বেশি ঋণখেলাপিতে মাহি কীভাবে বৈধতা পেল

প্রশ্ন রিজভীর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

ক্রেডিট কার্ডের সাড়ে ৫ হাজার টাকা ঋণখেলাপির কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে হবিগঞ্জ-১ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়ার।
তিনি সিটি ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড নিয়েছেন। প্রতিবছর সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে কার্ডটি নবায়ন করতে হয়। তিনি বিদেশে থাকায় এবার নবায়নের চিঠিটি পাননি। ফলে সেটি বকেয়া ছিল। সেই বকেয়ার কারণেই তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদুল কবীর মুরাদ। মাত্র সাড়ে ৫ হাজার টাকা ঋণ থাকায় ঐক্যফ্রন্টের এই প্রার্থী মনোনয়নপত্র বাতিল করলেও একই কারণে অন্য প্রার্থীদের বৈধতা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন একই আইনের দ্বিমুখী প্রয়োগ করেছে। সাড়ে পাঁচ হাজার টাকার জন্য রেজা কিবরিয়ার মনোনয়ন বাতিল করা হলেও এক কোটি টাকার ঋণখেলাপি হয়েও বৈধতা পেয়েছে আওয়ামী লীগ জোটের বিকল্প ধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি. চৌধুরী। ব্যাংকের লোক গিয়ে আপত্তি জানালেও রিটানিং কর্মকর্তা তা আমলে নেননি। রিটানিং কর্মকর্তা তা গণমাধ্যমের কাছে স্বীকারও করেছেন। গতকাল (বুধবার) সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
রিজভী বলেন, মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগ জোটের বিকল্পধারার প্রার্থী মাহি বি. চৌধুরী এক কোটি টাকারও বেশি ঋণখেলাপি রয়েছে। ব্যাংক থেকে তার পক্ষে আপত্তিও জানানো হয়েছে। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তা সেসব আমলে না নিয়ে মাহির মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করেছে। এসময় তিনি যেসব কারণে বিএনপির প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে সেই একই কারণে আওয়ামী লীগের যাদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন তার কিছু তথ্যও তুলে ধরেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামালের আয়কর রিটার্নের নানাবিধ অসঙ্গতি থাকার পরও তার মনোনয়নপত্র বৈধ করেছে রিটার্নিং অফিসার। রিটার্নে ব্যবসায়িক আয় অপ্রদর্শিত। একেএম শাহজাহান কামালের আর্থিক বিবরণী দাখিলকৃত হলফনামার সাথে কোন মিল নেই। তারপরেও তার মনোনয়নপত্র বৈধ করা হয়েছে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতের দেয়া ১৩ বছরের সাজার তথ্য গোপন করেও মনোনয়নপত্রের বৈধতা পেয়েছেন বরিশাল-৪ আসনে মহাজোট প্রার্থী। বিষয়টি বরিশালের রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগসহ অবহিত করার পরেও তা গুরুত্ব পায়নি। ম খা আলমগীর তার হলফনামায় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের কোন হিসাবই দেননি। অনেক ছক পূরণ করেননি। এছাড়াও তিনি ২০০৭ সালে ১৩ বছরের দন্ডপ্রাপ্ত। তারপরও তার মনোনয়নপত্র বৈধ করা হয়েছে। হাজী সেলিম, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার কথাতো আগেই বলেছি।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, শওকত মাহমুদ প্রমূখ। #



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ