পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতের দেয়া সাজার তথ্য গোপন করেই মনোনয়নপত্রের বৈধতা পেয়েছেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৪ আসনে মহাজোট প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথ। এমনকি ২০১৪ সালের নির্বাচনেও তিনি ঐ তথ্য গোপন করেন। বিষয়টি বরিশালের রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগসহ অবহিত করার পরেও তা গুরুত্ব পায়নি বলে অভিযোগ করেছেন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী। তবে জেলা প্রশাসক এ ধরনের কোনো অভিযোগ তার কাছে না পৌছার কথা জানিয়েছেন।
অবৈধ সম্পদ অর্জন, মানি লন্ডারিং, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় ২০০৭ সালের ২৬ আগস্ট বিচারিক আদালত স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ ও তার স্ত্রীকে পৃথক মেয়াদে সাজা প্রদান করেন। এর মধ্যে পঙ্কজ দেবনাথকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৩ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডসহ ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়। পাশাপাশি তার স্ত্রী মনিকা দেবনাথকে তিন বছর করে মোট ৬ বছরের কারাদন্ডসহ ২ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোট মনোনিত প্রার্থী হিসেবে বরিশাল-৪ আসন থেকে মনোনয়নপত্র ও হলফনামায় তিনি তার পূর্বের সাজা কিংবা দুর্নীতির ওই মামলার বিষয়ে কিছুই উল্লেখ করেননি। বর্তমান মামলাটি কোন পর্যায়ে রয়েছে সে বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়নি। অবশ্য আইনে রয়েছে ‘সাজা খাটার পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন’। পঙ্কজ দেবনাথ ঐ সাজা ভোগ করেননি।
গত ২৭ নভেম্বর হাইকোর্ট এক পর্যবেক্ষণে বলেন, নৈতিক স্খলনের কারণে দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। আপিল বিভাগে বিচারাধীন থাকলেও কেউ নির্বাচন করতে পারবেন না। তবে সাজা স্থগিত হলে নির্বাচনে অংশ নেয়া যাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
অপরদিকে সংবিধানের ৬৬ (২)(ঘ) ধারা অনুযায়ী, যারা ফৌজদারি মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত আসামি তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। অভিযোগ রয়েছে, নির্বাচনে অংশগ্রহনের ক্ষেত্রে এসব আইনের কোনটিরই তোয়াক্কা করেননি মহাজোট প্রার্থী। সাজার তথ্য গোপন রেখেই তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন।
অবশ্য পঙ্কজ দেবনাথের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, দুর্নীতির মামলায় পঙ্কজ দেবনাথ ও তার স্ত্রীকে যে দন্ডাদেশ দেয়া হয়েছে তার বিরুদ্ধে তিনি আপিল করেছেন। আদালত ওই দন্ডাদেশ স্থগিত করেছে।
এদিকে বরিশাল-৪ আসনে ঐক্যফ্রন্টের মনোনিত প্রার্থী ও উত্তর জেলা বিএনপি’র সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদের দেয়া অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যথাযথ পদ্ধতিতে সুনির্দিষ্ট প্রমান সহকারে অভিযোগ করতে হবে। কিন্তু মহাজোটের ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন প্রমান বা অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তাছাড়া আমাদের এখন আর কিছু করার নেই। কোনো অভিযোগ থাকলে সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে হবে বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।