নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এবারের জাতীয় নির্বাচনে নড়াইল-২ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ঠিক তার আগেই আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ। কেন রাজনীতিতে এসেছেন এই নিয়ে কদিন আগে ফেসবুকে লিখিত পোস্টে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক। তবে এতেও সব উত্তর মেলেনি। খেলা, রাজনীতি, নির্বাচন কীভাবে সামলাবেন, সব প্রশ্নের উত্তর দিতেই নিজ তাগিদেই গতকাল সাংবাদিকদের ডেকেছিলেন ওয়ানডে মাশরাফি। সংবাদ সম্মেলনটা হলোও এক অদ্ভুত জায়গায়, মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুমে!
ক্রিকেটবিষয়ক কত কঠিন, জটিল প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। তবে ১৭ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে কখনো এমন সংবাদ সম্মেলনে আসতে হয়নি মাশরাফিকে নিশ্চিত। আধঘণ্টার সংবাদ সম্মেলনে কত যে প্রশ্ন। যেগুলো কখনো তাঁর কাছে মালিঙ্গার ইয়র্কার, কখনো মুস্তাফিজের দুর্দান্ত কাটার, কখনো অ্যান্ডারসনের সুইং, কখনো বা মুখ বরাবর শোয়েব আখতারের বাউন্সার হয়ে ধেয়ে এসেছে!
প্রশ্নের উত্তর দিতে কখনো মাশরাফি বিমর্ষ হয়েছেন, কখনো বা মুখে ঝুলিয়ে দিয়েছেন কাষ্ঠহাসি।
শুরুতেই রাজনীতিতে আসা নিয়ে প্রশ্ন। তা কোন ভাবনায় নাম লিখিয়েছেন রাজনীতিতে, সেটির উত্তর আরও বিস্তারিত দিলেন মাশরাফি, ‘আমার ক্যারিয়ার অবশ্যই শেষের দিকে। না আমি শচীন টেন্ডুলকার, না আমি গ্লেন ম্যাকগ্রা যে মানুষ আমাকে স্মরণ করবে। আমার মতো করেই ক্রিকেট খেলেছি। আমার মতো করেই সংগ্রামমুখর ক্যারিয়ারটা গড়েছি। মানুষের জন্য কিছু করা সব সময়ই উপভোগ করেছি। এটা আমার ছোটবেলার শখ ছিল বলতে পারেন। ছোটবেলার চাওয়া-পাওয়া ছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে সুযোগটা দিয়েছেন। যদি বৃহৎ পরিসরে কিছু করা যায়, এ ভাবনাতেই রাজনীতিতে আসা।’
খেলার মধ্যে রাজনীতি যেন না আসে, মাশরাফি বললেন, সে কারণেই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন, ‘খেলা শুরু হওয়ার পর এ নিয়ে আর প্রশ্ন না হোক, যে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার এখন দিয়ে ফেলছি।’ খেলার মানুষ রাজনীতিতে জড়িয়েছেন, মাশরাফি চাইলেও কি আর এড়াতে পারবেন?
এড়ানো গেল না এদিনও। পরের প্রশ্নটি ছিল এ নিয়েই। দু’দিন পর যদি সাংসদ মাশরাফি হন তাহলে নড়াইলবাসীর পাশাপাশি ক্রিকেটের উন্নয়নে আপনি কি করতে চান এবং আপনার ভূমিকা কি হবে? বাংলাদেশের ক্রিকেটে রীতি হলো সরকারি দলের সাংসদ এবং মন্ত্রীদের কয়েকজন ক্রিকেট বোর্ড ব্যবস্থাপনায় থাকেন। এখন যেমন বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপন, নাইমুর রহমান দুর্জয়সহ বেশ কয়েকজন বোর্ডে আছেন।
আপনি সাংসদ নির্বাচিত হলে বোর্ডে আপনার কি ভূমিকা থাকবে? এমন প্রশ্নে মাশরাফির নির্বিকার উত্তর, ‘আগে নির্বাচন হোক। আমি যদি জিততে পারি, এটা তারপরের কথা। আগে নির্বাচন, তারপর জয়ী হওয়া। এরপর বোর্ড ব্যবস্থাপনা কিংবা ক্রিকেট উন্নয়নে কাজ করার প্রসঙ্গ। তবে হ্যাঁ, আমি চেষ্টা করবো ক্রিকেটে উন্নয়নে কাজ করার, সুযোগ পেলে ক্রিকেটের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে নিজেকে জড়িয়ে রাখার চেষ্টা করবো।’
আধঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরও যখন প্রশ্ন শেষ হচ্ছিল না, একটা পর্যায়ে বাধ্য হয়ে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলন ছেড়ে হাঁটাই দিলেন! তবে তার আগে এই সংবাদ সম্মেলনে যে অভিজ্ঞতা হলো তাতে খুব কণ্টকপূর্ণ এক অভিষ্যতের ইঙ্গিতই কী পেলেন দেশসেরা এই অধিনায়ক?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।