মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নাম রায়ান। বয়স সাত বছর। এই বয়সের একটা বাচ্চা যাবে স্কুলে। খেলা করবে বন্ধুদের সঙ্গে। এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু রায়ানের এসব বৈশিষ্ট্যের বাইরেও রয়েছে আরও একটা গুণ। কেননা এই বয়সেই সে স্বাবলম্বী। শুধু স্বাবলম্বী নয় ইউটিউবে তার বানানো ভিডিও প্রকাশ করে সে আয় করেছে ১৭৬ কোটি টাকা!
সাত বছরের এই শিশুর ইউটিউব চ্যানেলটির নাম ‘রায়ান টয়েস রিভিউ।’ ইউটিউবে খেলনা দেখিয়ে রায়ান সবচেয়ে বেশি আয় করা তারকায় পরিণত হতে চলেছে। ফোর্বস ম্যাগাজিন ধারণা করছে, আগামী জুন মাসের মধ্যে রায়ানের চ্যানেলটি বর্তমানের সেরা ইউটিউব তারকা জ্যাক পলকে টপকে যাবে।
রায়ানের মা-বাবা ২০১৫ সালে ‘রায়ান টয়েস রিভিউ’ নামের ওই ইউটিউব চ্যানেলটি তৈরি করে। আস্তে আস্তে জনপ্রিয় হতে থাকে ওই চ্যানেলটি। এই চ্যানেলের ভিডিওগুলো এ পর্যন্ত ২ হাজার ৬০০ কোটিবার দেখা হয়েছে। ফলোয়ার রয়েছে ১ কোটি ৭৩ লাখ। আয়কর বা এজেন্টদের ফি ছাড়া রায়ানের আয় গতবছরের তুলনায় দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি চ্যানেল রায়ানের কাছে জানতে চেয়েছিল, শিশুরা কেন তার ভিডিওগুলো দেখতে পছন্দ করে? রায়ানের উত্তর, ‘কারণ আমি মজা করতে পারি।’
ফোর্বস ম্যাগাজিন বলছে, ভিডিও শুরুর আগে যে বিজ্ঞাপন দেখানো হয়, তা থেকেই ২১ মিলিয়ন ডলার বা ১৬৬ কোটি টাকা আয় করেছে রায়ান। এই ভিডিওতে যেসব খেলনার বর্ণনা তুলে ধরা হয়, সেসব খেলনা খুব দ্রুত বিক্রি হয়ে যায়।
গত আগস্ট মাস থেকে ‘রায়ানস ওয়ার্ল্ড’ নামে খেলনা আর পোশাকের বেশ কিছু আইটেম বিক্রি করতে শুরু করে খুচরা পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্ট। এখানে একটি ভিডিও দেখানো হয় রায়ান ও তার মা-বাবা নিজেদের খেলনা খুঁজছে, যে ভিডিওটি ইউটিউবে গত তিনমাসের মধ্যে প্রায় দেড়কোটি বার দেখা হয়েছে।
ওয়ালমার্ট থেকে পাওয়া লভ্যাংশ সামনের বছর রায়ানের আয়ে যোগ হবে বলে জানিয়েছে ফোর্বস। শিশু হওয়ার কারণে রায়ানের মোট আয়ের ১৫ শতাংশ একটি ব্যাংক একাউন্টে জমা করে রাখা হচ্ছে। যখন সে প্রাপ্তবয়স্ক হবে, তখন এই টাকা তুলতে পারবে।
ইন্টারনেটে ব্যাপক জনপ্রিয় মুখগুলোর একটি হওয়া সত্ত্বেও রায়ানের পরিচয় নিয়ে রয়েছে ব্যাপক রহস্য। তার নামের শেষাংশ কী কিংবা সে কোথায় থাকে এটা কেউ জানে না। রায়ানের মা-বাবা মাত্র অল্প কয়েকবার গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। একটি সাক্ষাৎকারে রায়ানের মা দাবি করেছেন, যখন তার ছেলের বয়স মাত্র তিন বছর, তখন এই ইউটিউব চ্যানেল করার আইডিয়া রায়ানই দিয়েছিল। তবে রায়ানের মা নিজেও তার নিজের পরিচয় প্রকাশ করেননি।
ইউটিউবে রায়ানের প্রথম ভিডিওটি ছিল প্লাস্টিকের ডিম ভেঙ্গে সেখান থেকে খেলনা বের করা। আশি কোটি বার এই ভিডিও দেখা হয়েছে। তার ভিডিও চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করেছেন এক কোটি মানুষ।
রায়ানের ভিডিওর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তার স্বতঃস্ফূর্তটা। নিত্য নতুন খেলনা নিয়ে সে যেভাবে খেলে, সেটা লোকে পছন্দ করে। রায়ানের ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে করা একটি রিভিউতে বলা হচ্ছে, ‘রায়ান যখন তার খেলনার প্যাকেট খোলে, তখন একটা নাটকীয় পরিবেশ তৈরি হয়।’ সূত্র: বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।