পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র (টিসি) দেয়া এবং শিক্ষার্থীর সামনে বাবাকে অপমান করায় ভিকারুনন্নেছা নূন স্কুলের বেইলী রোড শাখার এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবার। নিহত ছাত্রীর নাম অরিত্রি অধিকারী (১৫)। সে নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে, বাবাকে অপমানের অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যক্ষ বলেন, পরীক্ষার হলে মোবাইল ব্যবহার করে নকল করায় প্রতিষ্ঠানের আইন অনুযায়ী ওই ছাত্রীকে টিসি দেওয়া হয়েছে।
অরিত্রির বাবা দিলীপ অধিকারী জানান, বড় মেয়ে অরিত্রি অধিকারী ও ছোট মেয়ে ঐন্দ্রীলা অধিকারী ভিকারুনন্নেছা নূন স্কুলের শিক্ষার্থী। তিনি জানান, অরিত্রি’র বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। রোববার ইতিহাস পরীক্ষা ছিল। স্কুলে মোবাইল নেওয়া নিষেধ থাকা সত্তে¡ও অরিত্রি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। পরে মোবাইলটি দেখতে পেয়ে শিক্ষকরা তা নিয়ে যায় এবং অরিত্রিকে পরীক্ষার হল থেকে বের করে দেয়।
অরিত্রির বাবা জানান, সোমবার সকালে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য স্কুলে যায় অরিত্রি। কিন্তু তাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না দিয়ে বাবা-মাকে স্কুলে নিয়ে আসতে বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তখন আমি ও আমার স্ত্রী স্কুলে গেলে স্কুল কতৃপক্ষ জানিয়ে বলে, অরিত্রি পরীক্ষায় মোবাইল ব্যবহার ও নকল করেছে। তাকে স্কুল থেকে টিসি দেওয়া হয়েছে। টিসি না দেওয়ার জন্য স্কুলের শিক্ষকদের অনেক অনুরোধ করেন তারা। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের কোন কথা না শুনে অরিত্রিকে স্কুলে রাখা যাবে না বলে স্রফে জানিয়ে দেয়।
দিলীপ অধিকারী বলেন, স্কুল থেকে বের হয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্ত্রী ও মেয়ে বাসায় ফিরে যায়। বাসায় যাওয়ার পর অরিত্রি রুমের ভেতরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। অনেকক্ষন ডাকাডাকি করলেও দরজা না খোলায় দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে অরিত্রিকে ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পান। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ইসলামী হাসপাতালে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, শিক্ষকদের অনেক অনুরোধ করা হলেও তারা কথা রাখেননি বরং তারা আমাকে অপমান করেছেন। এ ক্ষোভে মেয়েটি অভিমান থেকে আত্মহত্যা করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
ভিকারুনন্নেছার অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস বলেন, ওই ছাত্রী পুরো বই মোবাইলে কপি করে নিয়ে এসেছে। যার কারণে তার বাবা-মা’কে সাথে নিয়ে আসতে বলা হয়। অধ্যক্ষ বলেন, গতকাল অভিভাবকরা আসলে প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুযায়ী নকলের অভিযোগে মেয়েটিকে পরবর্তী পরীক্ষায় অংশ নিতে না দিয়ে টিসি দেওয়া হয়। তখন তার পরিবার অনুরোধ করলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে পরবর্তীতে জানানো হবে বলে অভিভাবকদের জানানো হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।