পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে, এতে সরকারের কোন হাত নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, মনোনয়ন বাতিলের বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। উই হ্যাভ নাথিং টু ডু।
গতকাল ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের আইন আছে বাতিল করার। সরকার কোনোভাবেই এর সঙ্গে সম্পৃক্ত না। যদি তাই হত, তাহলে আমাদের সবচেয়ে বড় শরিক দল জাতীয় পার্টির মহাসচিব বাদ পড়বেন, এটা কি আমরা চাইব?’
‘মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই করার পর বিএনপির অনেক নেতার মনোনয়নপত্র পরিকল্পিতভাবে বাদ করা হয়েছে’ বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, আমাদের হেভিওয়েট অনেকেই প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। আমরা কি চিইবো আমাদের প্রার্থী মনোনয়ন বাতিল করা হক। ইসির আইন অনুযায়ী বাতিল করা হয়েছে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বিষয়টি তো আদালত আগেই সিদ্ধান্ত দিয়ে দিয়েছে। দুই বছরের বেশি যারা কারাদন্ডে দন্ডিত, তারা নির্বাচন করতে পারবে না। এটা উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত, উই হ্যাভ নাথিং টু ডু উইথ দ্যাট। আমাদেরও তো অনেকে বাদ গেছে, সেখানে আমাদের কি করার আছে?
হাজী সেলিমের মনোনয়ন কেন বাদ হল না এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, হাজী সেলিমের বিষয়ে যদি বলেন, তাহলে আমরা সেখানে দুজন কেন প্রার্থী দিলাম? আমাদের সন্দেহ ছিল হাজী সেলিম বাদ যেতে পারে। সেজন্য আমরা আমাদের মহানগর দক্ষিণের সভাপতির নাম দুই নম্বরে রেখেছিলাম। আমাদের সংশয় ছিল, আমরা ধরে নিয়েছিলাম হয়তো হাজী সেলিম টিকবে না। কিন্তু তিনি আইনে টিকে গেছেন, এখানে তো আমাদের কিছু করার নেই।
লেভেল প্লেয়েইং ফিল্ডসহ নানা বিষয়ে বিএনপি বার বার নির্বাচন বর্জন করার হুমকি দিচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমার বিশ্বাস তারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর যে হুমকি দিচ্ছে, দেশের জনগণের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে। এটাই আমি তাদের কাছে প্রত্যাশা করি।
তিনি আরো বলেন, অলি আহমেদ সাহেব আমাকে ফোন করেছিলেন। তিনি কিছু কিছু সমস্যা তুলে ধরেছিলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ব্যাপারে। আমি তখনই তাকে বলেছি যে ‘দেখুন, এখন তো প্রশাসন, পুলিশ- সব নির্বাচন কমিশনের অধীনে। তারপরও আমি দলের সেক্রেটারি হিসেবে চেষ্টা করব যাতে আপনার এলাকায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কোনোভাবে ক্ষুন্ন না হয়।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র দুই চাকার একটি সাইকেল। এক চাকা ক্ষমতাসীন দল এবং আরেক চাকা বিরোধীদল। কোন চাকায় কে থাকবে এটা জনগণই সিদ্ধান্ত নিবে।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পায়নি এমন অনেকেই মধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থী বা দলীয় কোন্দল সাথে জড়িয়ে পড়ছে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বড় দলের মধ্যে কিছু থাকে। তবে সময় মতো সবাই ঐক্য হয়ে যাবে।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।