পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ ইচ্ছুক প্রার্থীদের জমা দেয়া সম্পদের তথ্য বিবরণী এবং তাদের পরিবারের অর্জিত সম্পদের হিসাব খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। নির্বাচন কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি এ আহ্বান জানানো হয়েছে। গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ দাবি জানান।
টিআইবির দাবি, কোনো প্রার্থীর সম্পদের তথ্য বিবরণীতে এবং পরিবারের সম্পদের হিসাবে অসামঞ্জস্যতা বা অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পেলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা যেন গ্রহণ করা হয়। তিনি বলেন, প্রত্যেক নির্বাচনের আগে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় প্রার্থীরা তাদের আয়-ব্যয়ের বা সম্পদের বিবরণী নির্বাচন কমিশনে জমা দেন, যা জনপ্রতিনিধি হিসেবে তার স্বচ্ছতা নিশ্চিতে গুরুত্ববহ।
সূত্রে জানা যায়, অনেক প্রার্থী বা তার পরিবারের অর্জিত সম্পদ পূর্ববর্তী নির্বাচনে জমা দেয়া সম্পদের হিসাবের তুলনায় বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা আইন ও বিধিসম্মত কি-না তা খতিয়ে দেখা অপরিহার্য। নির্বাচন কমিশনের উচিত এসব সম্পদ বিবরণীর যথার্থতা ও নিভর্রযোগ্যতা যাচাই করে সম্পদের উৎস সম্পর্কে নিরপেক্ষভাবে নিশ্চিত হওয়া এবং আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটে থাকলে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশনেরও উচিত প্রার্থীদের ঘোষিত সম্পদের উৎস অনুসন্ধান করে বাস্তবের সঙ্গে কোনো ধরনের অসামঞ্জস্যতা বা অন্য কোনো প্রকার অনিয়ম পাওয়া গেলে যথাযথ প্রক্রিয়ায় দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচয় বা দলীয় অবস্থান নির্বিশেষে এবং কোনো ধরনের অনুরাগ-বিরাগের বশবতী না হয়ে কাজ করতে হবে। কোনো বিশেষ দলের প্রতি পক্ষপাতিত্ত¡ বা বৈষম্য করা হলে তা হবে অবিমৃশ্যকারিতা বলেন ড.ইফতেখারুজ্জামান। প্রার্থীদের পাশাপাশি তাদের পবিবারের সদস্য এবং অবৈধ সম্পদের বিষয়েও তদন্তের জোর দাবি জানিয়েছেন তিনি। ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, প্রার্থীদের পরিবারের সদস্যদের সম্পদ বৃদ্ধির হার ও অর্জিত সম্পদের উৎস সম্পর্কে খতিয়ে দেখা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে পূর্বের তুলনায় সম্পদ বৃদ্ধির হারের তারতম্য খতিয়ে দেখার মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহারের ব্যাপকতা চিহ্নিত করা এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিতের জন্য অপরিহার্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।