পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের নয়টিতেই বিএনপির প্রার্থীরা নতুনমুখ। বাছাইয়ে হেভিওয়েট সাত নেতা আপাতত বাদ পড়েছেন। ২০০৮ সালে নির্বাচন করলেও এবার মাঠে নেই কয়েকজন। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম ইন্তেকাল করেছেন। এসব কারণে বেশিরভাগ আসনে নবাগতরা ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন। তবে বাকি ছয়টিতে বিএনপি জোটের জায়ান্টরা ভোটযুদ্ধে আছেন। অন্যদিকে মহাজোটের প্রার্থীদের নতুনমুখ একজনই। ফলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের পুরনোদের মোকাবেলা করতে হবে বিএনপির নবীন প্রার্থীদের। বিএনপি নেতাদের প্রত্যাশা আপিলে অনেকে প্রার্থীতা ফিরে পাবেন। আর নতুনমুখ হলেও প্রার্থীরা যোগ্য এবং জনপ্রিয় বলেছেন দলের নেতারা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের যোগ্যতার চেয়ে দলীয় পরিচয় তথা মার্কাই প্রাধান্য পায়। অতীতের কয়েকটি নির্বাচনে দেখা গেছে ধানের শীষের নবাগতরা নৌকার অনেক জায়ান্টদের ধরাশায়ী করেছেন। সে বিবেচনায় এবারও নৌকা আর ধানের শীষের এই লড়াই হবে জমজমাট। চট্টগ্রামের সবকয়টি আসনে বিএনপির বিকল্প প্রার্থী রয়েছে। প্রার্থীতা এখনো চূড়ান্ত না হলেও নয়টি আসনে তালিকায় যারা আছেন তাদের প্রায় সবাই এবার নতুনমুখ।
চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই) আসনে এবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। সেখানে বিএনপির প্রার্র্থী চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন আহম্মেদ ও মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল ইসলাম। তারা দুজনেই এবার নতুন প্রার্থী। ২০০৮ সালে বিএনপির প্রার্থী প্রফেসর কামাল উদ্দিন এবার নির্বাচনে নেই। চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে মহাজোটের এবারো প্রার্থী তরিকত ফেডারেশনের নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী। তার প্রতিদ্ব›িদ্ব বিএনপির প্রার্থীরা হলেন নুরী আরা সাফা, কর্ণেল অব. মো. আজিম উল্লাহ বাহার, ছালাহ উদ্দিন ও ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী। বিএনপির এ চারজনেই ভোটের মাঠে এবারই প্রথম।
চট্টগ্রাম-৩ (স›দ্বীপ) বিএনপির একাধিকবার বিজয়ী প্রার্থী মোস্তাফা কামাল পাশার মনোনয়ন বাতিল হয়। ফলে আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি মাহফুজুর রহমান মিতার মুখোমুখি আছেন বিএনপির দুই নতুনমুখ ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন ও মো. নুরুল মোস্তফা। চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুন্ড) আসনে বিএনপির মূলপ্রার্থী দলের যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিল হয়। এই আসনে বিএনপির বিকল্প প্রার্থী এওয়াইবিআই সিদ্দিকী ও ইসহাক চৌধুরী নতুনমুখ। আওয়ামী লীগ প্রার্থী দিদারুল আলম দ্বিতীয় বারের মতো ভোটের লড়াইয়ে।
চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে মহাজোট প্রার্থী জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। এই আসনে বিএনপির মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ও তার পুত্র ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের মনোনয়ন বাতিল হয়। বিকল্প প্রার্থীরা হলেন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতিক ও বিএনপির ব্যারিস্টার সাকিলা ফারজানা। বিএনপির প্রার্থীরা সবাই প্রথম বারের মতো ভোটে লড়ছেন। এই আসনে বার বার নির্বাচিত হয়েছিলেন মরহুম সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম।
চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে আওয়ামী লীগের এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর সাথে লড়াইয়ে নেমেছিলেন সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী ছেলে সামির কাদের। তার মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় এখন বিএনপির একমাত্র প্রার্থী জসীম উদ্দিন সিকদার। তিনিও এই আসনে নতুনমুখ।
চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনীয়া) আসনে বার বার নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। এবার তার ছোটভাই গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী প্রার্থী হলেও তার মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। এই আসনে এবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. হাছান মাহমুদ। বিএনপির প্রার্থী মো. শওকত আলী নুর ও কুতুব উদ্দিন বাহার। তারা প্রথমবারের মতো ভোটের মাঠে।
চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে বিএনপির হেভিঅয়েট প্রার্থী এম মোরশেদ খানের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। বাতিল হয়েছে ২০০৮সালে প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর মনোনয়নও। এই আসনে বিএনপির প্রার্থী নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি নতুনমুখ আবু সুফিয়ান। এবারও মহাজোটের প্রার্থী জাসদের মঈনউদ্দীন খান বাদল। চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল আর বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন প্রথমবারের মতো ভোটের লড়াইয়ে। এই আসনে ২০০৮সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী শামসুল আলমের মনোনয়ন বাতিল হয়।
চট্টগ্রাম-১০(ডবলমুরিং-পাহাড়তলী) আসনে এবারও বিএনপির ভিআইপি প্রার্থী আবদুল্লাহ আল নোমানের মুখোমুখি আওয়ামী লীগের ডা. আফছারুল আমীন। তারা দুজনেই একাধিকবার এমপি ও মন্ত্রী হয়েছেন। চট্টগ্রাম ১১ (বন্দর-পতেঙ্গ) আসনেও দুই হেভিওয়েটের লড়াই। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর মুখোমুখি দুইবারের এমপি আওয়ামী লীগের এম এ লতিফ। চট্টগ্রাম-১২(পটিয়া) আসনে দুইবারের নির্বাচিত আওয়ামী লীগের শামসুল হকের মুখোমুখি বিএনপি থেকে একাধিকবার নির্বাচিত গাজী মো. শাহজাহান জুয়েল। এই আসনে বিএনপির বিকল্প প্রার্থী এনামুল হক নতুনমুখ।
চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনেও আওয়ামী লীগের সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের মুখোমুখি হচ্ছেন একাধিকবার নির্বাচিত বিএনপির সরোয়ার জামাল নিজাম। এই আসনে বিএনপির নতুনমুখ মোস্তাফিজুর রহমান। চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে এবারও মুখোমুখি বিএনপি জোটের ভিআইপি প্রার্থী এলডিপির চেয়ারম্যান কর্ণেল অব. অলি আহমদ বীরবিক্রম এবং আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি নজরুল ইসলাম চৌধুরী।
চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে বিএনপি জোটের শরিক জামায়াতের নায়েবে আমির সাবেক এমপি আ ন ম শামসুল ইসলাম মুখোমুখি হচ্ছেন আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর। চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে একাধিকার নির্বাচিত বিএনপির ভিআইপি প্রার্থী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর মুখোমুখি আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।