পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খুলনার দু’টি আসনে বিএনপি আওয়ামী লীগের লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। এ আসন দুটিতে অর্থ ও সম্পদের দিক দিয়ে শীর্ষে রয়েছেন আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী। আর মামলায় সেঞ্চুরি করেছেন বিএনপির প্রার্থীরা। খুলনা-২ (সদর-সোনাডাঙ্গা) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের সঙ্গে ভোটের লড়াই হবে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জুর। আর খুলনা ৪ আসনে লড়াই হবে সাবেক ফুটবলার আওয়ামীলীগ প্রার্থী সালাম মুর্শেদীর সাথে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলালের।
হলফনামায় দেখা যায়, সম্পদের মাপকাটিতে অনেক উঁচুতে শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল আর মামলার দিক দিয়ে এগিয়ে নজরুল ইসলাম মঞ্জু। বার্ষিক আয়ও বেশি শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের। তবে শিক্ষায় এগিয়ে নজরুল ইসলাম মঞ্জু। তিনি স্নাতক (আইন) পাস আর শেখ সালাহউদ্দিন এইচএসসি পাস।
অপরদিকে, খুলনা-৪ আসনে রয়েছেন বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী। এদের মধ্যে হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বিত্ত-বৈভবে এগিয়ে রয়েছেন সাবেক তারকা ফুটবলার আবদুস সালাম মুর্শেদী। আর মামলায় এগিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ও ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল।
নজরুল ইসলাম মঞ্জু : সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু হলফনামায় পেশা হিসেবে ব্যবসা দেখিয়েছেন। তবে তাও আবার বন্ধ রয়েছে। এখন বাড়ি ভাড়াই তার একমাত্র আয়ের উৎস। এখান থেকে তার বার্ষিক আয় হয় ২ লাখ ২০ হাজার ৫০০ টাকা। এছাড়া অন্যান্য খাতে তার বার্ষিক আয় ১ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ টাকা। আর তার ওপর নির্ভরশীলদের বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৪৬ হাজার ১৬০ টাকা। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ৪টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে দায়ের করা পূর্বের তিনটি মামলার একটিতে তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন। আর দু’টি মামলায় চ‚ড়ান্ত রিপোর্ট গৃহীত হয়েছে।
শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল : হলফনামায় ব্যবসাকে পেশা হিসাবে দেখিয়েছেন শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল। এর মধ্যে মেসার্স আজমীর নেভিগেশন ও মেসার্স ফারদিন ফিস নামে দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার। জুয়েলের বার্ষিক আয় ৩ কোটি ২০ লাখ ২৯ হাজার ৪০৫ টাকা। এর মধ্যে ব্যবসা থেকে তার বার্ষিক আয় ১ লাখ ৯ লাখ ৫ হাজার ৪০৪ টাকা, বাড়ি/এপার্টমেন্ট/দোকান ভাড়া থেকে বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত (ডিভিডেন্ড) থেকে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা, ব্যাংক মুনাফা ২৬ লাখ ৭০ হাজার ১ টাকা এবং মিটিং ফিস বাবদ ৬৪ হাজার টাকা বার্ষিক আয় তার। তার ওপর নির্ভরশীলদের বাড়ি ভাড়া, ডিভিডেন্ড, ব্যাংক মুনাফা ও অন্যান্য খাতে বার্ষিক আয় ২ কোটি ৪১ লাখ ৭১ হাজার ৯০৯ টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে তার নগদ ৮ কোটি ২৮ লাখ ৭৯ হাজার ৬৮ টাকা এবং তার স্ত্রীর ৪ কোটি ৫০ লাখ ২৮ হাজার ১১৩ ও তার ওপর নির্ভরশীলদের ১ লাখ ৩ হাজার ৬৬৭ টাকা রয়েছে।
সালাম মুর্শেদী : খুলনা-৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও এনভয় গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতিও ছিলেন তিনি। হলফনামায় দেওয়া তথ্যমতে, আবদুস সালাম মুর্শেদীর বাৎসরিক আয় ৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ৮৩ কোটি ৫৬ লাখ এবং স্থাবর সম্পদ ১১ কোটি ৫৫ লাখ টাকার। কোনো ব্যাংকে তার ঋণ না থাকলেও বিভিন্ন দায় রয়েছে ৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকার। স্থাবর সম্পত্তির হিসাবে গুলশানে ১৫ কাঠা জমি, খিলগাঁওয়ে একটি ৯০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, গুলশানে দুটি ফ্ল্যাটসহ দালানকোঠা ও আবাসিক বাবদ আর্থিক মূল্য দেখিয়েছেন ১১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক এবং পেশা গার্মেন্ট, ব্যাংক ও হাসপাতালের পরিচালক। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই।
আজিজুল বারী হেলাল : খুলনা-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আজিজুল বারী হেলালের বিরুদ্ধে বর্তমানে ১০১টি মামলা রয়েছে। তিনটি মামলায় অব্যাহতি পেয়েছেন তিনি। হেলাল মৃত্তিকা বিজ্ঞানে স্নাতক উত্তীর্ণ। হেলাল ২০০৮ সালে ঢাকা-১৮ আসনে নির্বাচন করে ১ লাখ ১৮ হাজার ভোট পেয়েছিলেন। হলফনামায় দেওয়া তথ্যমতে, পেশা হিসেবে ব্যবসা, ঠিকাদারি, সরবরাহকারী উল্লেখ করেছেন। এ থেকে তার বার্ষিক আয় তিন লাখ ৮৮ হাজার টাকা। এছাড়া কৃষিখাত থেকে বছরে ১২ হাজার টাকা আয় তার।
উল্লেখ্য, খুলনা-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত একমাত্র প্রার্থী আবদুস সালাম মুর্শেদী হলেও বিএনপির আজিজুল বারী হেলাল ছাড়াও বিএনপির প্রার্থী রয়েছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক শিল্পপতি শরীফ শাহ কামাল তাজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।