Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে মহাজোট প্রার্থীদের পরাজয়ের অপেক্ষায় দলীয় তৃণমূল!

ফয়সাল আমীন : | প্রকাশের সময় : ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

আবার এমপি হচ্ছেন এমন হাবভাব সিলেটের আওয়ামী লীগ তথা মহাজোট প্রার্থীদের। মহাজোটের নতুন মুখেও একই স্বপ্ন। পর্দার আড়ালে সক্রিয় একাধিক শক্তি ক্ষমতার মসনদে বসাবে এমন ভাবনায় চরম আত্মবিশ্বাসী তারা। সেভাবেই কথা বলছেন নিজ বলয়ের নেতাকর্মীদের। প্রার্থীদের এহেন আচরণে অনেক ক্ষেত্রে হতভম্ব দলের কর্মী-সমর্থকরা। প্রার্থীদের সাথে তাদের গড়ে উঠেছে বিশাল দূরত্ব। দূরত্ব গোছানো বা মূল্যায়নের তোয়াক্কা করছেন না প্রার্থীরা।
সিলেটের বেশিরভাগ এমপিদের বিরুদ্ধে ছিল এমন অভিযোগের পাহাড়। বিরোধী দলের নয়, খোদ দলের নেতাকর্মীরা দাঁড়িয়েছিলেন এমপিদের বিতর্কিত কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে। দলের হাই কমান্ডও এসব ঘটনায় জড়িত এমপিদের বাদ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে মাঠে নামিয়ে ছিলেন একাধিক নতুন মুখকে। সেই কারণে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তালিকা হয়ে পড়েছিল দীর্ঘ। এমপিদের বঞ্চনায় অতিষ্ঠ দলীয় নেতাকমীদের সংগঠিত করে মাঠে সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন তারা। রব উঠেছিল, এমপিদের বিপরীতে নতুন মুখ আসছে দলের পক্ষে ভোট যুদ্ধে। তাই নেতাকর্মীরা নতুন নেতৃত্বে চাঙ্গা ছিল সিলেট প্রায় সবগুলো আসনে।
এতে করে দলের কার্যক্রম ছিল পাল্টাপাল্টি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের নতুন সড়কে পুরাতন মুখেই আস্থাশীল হয়ে উঠে মহাজোট। রহস্যজনকভাবে এসব প্রার্থীদের মনোনয়ন লাভের ঘটনায়, মন ভেঙে যায় বেশিরভাগ তৃণমূল নেতাকর্মীর।
এমপিদের অনৈতিক আধিপত্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তারা তটস্থ হয়ে উঠেছেন। কি করবেন নির্বাচনে এই নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন তারা। দল দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকার পরও এমপিদের বৈরী আচরণে তারা ঘরে থেকেও পর হয়ে থেকেছেন। সুবিধার চেয়ে নানামুখী বঞ্চনা ছিল তাদের সঙ্গী। সিলেটের বেশিরভাগ উপজেলায় কমিটি দলের সাংগঠনিক ধারাবহিকতায় গঠন করা হয়নি। এক যুগের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও কমিটি গঠন করা যায়নি এমপিদের অসহযোগিতা ও নেতিবাচক মনোভাবে। এমপিদের আধিপত্য খর্ব হতে পারে সেকারণে কমিটিকে স্থবির করে রাখা হয়েছে। সাংগঠনিক ভিত্তি বা নতুন নেতৃত্ব চ্যালেঞ্জ করতে পারে, সেই আশঙ্কায় কমিটি নিয়ে মাথা ঘামাতে যাননি এমপিরা। বেশিরভাগ এমপিদের টার্গেট ক্ষমতা। দলের সাংগঠনিক অবস্থান নিয়ে তাদের মধ্যে বিরাজ করতো অনীহা। এমপিরা নিজদের ক্ষমতা ধরে রাখতে মনোযোগি হলেও সাংগঠনিক নতুন নেতৃত্ব দলের ভিত্তি সেই চিন্তার ধার ধারেনি তারা। নিজস্ব বলয় নিয়েই পার করেছেন ক্ষমতার পুরো সময়। সিলেটের একাধিক স্থানে প্রকাশ্যে মনোনয়ন লাভকারী এমপিদের মনোনয়নের বিরুদ্ধে মিছিল-মিটিং করছেন। মনোনয়ন পরিবর্তনে জন্য প্রতিবাদ করছেন জোরেশোরে।
রাজনীতিক বিশ্লেষকের মতে, আ.লীগের নীতি নির্ধারক মহলের কঠোর হুঁশিয়ারীর কারণে মনোনয়ন লাভকারী এমপিদের বিরুদ্ধে দলের অনেকে সম্ভাবনা থাকার পরও বিদ্রোহী প্রার্থী হতে পারছেন না। তাই দলের তৃণমূল বা ভোট নিয়ে চিন্তিত নয়, তারা ক্ষমতায় যাবেনই। বিজয়ের আশাবাদী এখন তারা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ