পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ৩ হাজার ৬৫জন। আগ্রহী প্রার্থীদের জমা দেয়া হলফনামা যাচাই-বাছাই শেষে গতকাল (রোববার) চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। যাচাই-বাছাই শেষে বিভিন্ন অভিযোগে অনেকের মনোনয়নপত্র বাতিল ও স্থগিত ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। সারাদেশে ৭৮৬টি মনোনয়পত্র বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ও স্থগিত করা হয়েছে তাদের বেশিরভাগই রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তাদের জোট সঙ্গী দলগুলোর মনোনীত প্রার্থী। তাদের মধ্যে রয়েছেন- কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, আওয়ামী লীগ থেকে সদ্যই বিএনপিতে যোগদান করা গোলাম মাওলা রনি, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. রেজা কিবরিয়া, জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের স্ত্রী ও মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির এম এম করিম আব্বাসী। যদিও নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, আগামী তিন দিনের মধ্যে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন বাতিল হওয়া প্রার্থীরা। মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রত্যেক প্রার্থীই আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন। আপিলের মাধ্যমে তাদের প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ার শেষ সুযোগ এটিই। এরপর আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীতা প্রত্যাহার করা যাবে। ১০ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ করবে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর।
মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে যেসব অভিযোগে হ্যাভিওয়েট প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম বাতিল করা হয়েছে তাদের মধ্যে- টাঙ্গাইল-৪ ও ৮ আসনে ঋণখেলাপীর দায়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোঃ শহিদুল ইসলাম। মনোনয়নপত্র বাতিল বিষয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী নির্বাচন কমিশনে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।
ঋণখেলাপী হওয়ায় পটুয়াখালী-১ আসনের বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে পটুয়াখালী জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী এ ঘোষণা দেন। তিনি জানান, ঢাকার সোশাল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংককে লিখিতভাবে জানিয়েছে, তাদের গুলশান শাখা থেকে ঋণ নিয়ে হাওলাদার খেলাপি হয়েছেন। হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় পটুয়াখালী-৩ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রার্থী গোলাম মাওলা রনির মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তিনি এর আগে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু কয়েকদিন আগেই আওয়ামী লীগ ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন।
নাটোর-২ আসনে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। দুটি মামলায় তাঁর দন্ডাদেশ থাকায় মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বসতবাড়িতে আগুন লাগানো ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দুটি মামলায় রুহুল কুদ্দুস তালুকদারকে নিম্ন আদালত দুই বছরের কারাদন্ডাদেশ দেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আপিল করলেও আদালত সাজা বহাল রাখেন। এ কারণে রিটার্নিং কর্মকর্তা তাঁর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেননি। রুহুল কুদ্দুস তালুকদার এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন। তবে তাঁর স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের মনোনয়নপত্র একই আসনের জন্য গ্রহণ করা হয়েছে।
ঢাকা-২ আসনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমানের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। দুর্নীতি মামলায় ১০ কারাদন্ডের আদেশ থাকায় আমানের মনোনয়পত্র বাতিল করা হয়েছে।
ক্রেডিট কার্ডের ঋণ খেলাপি হওয়ায় হবিগঞ্জ-১ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও গণফোরামের প্রার্থী রেজা কিবরিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। রেজা কিবরিয়া আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে। কিছুদিন পূর্বে রেজা কিবরিয়া গণফোরামে যোগ দেন।
ঢাকা-৯ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আফরোজা আব্বাসের মনোনয়ন বাতিল করেছে ঢাকা জেলা রিটার্নিং কার্যালয়। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় ঋণখেলাপির অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র প্রথমে স্থগিত করা হয়। পরে মির্জা আব্বাস এ সংক্রান্ত আদালতের আদেশের কাগজপত্র জমা দেন। তখন তাদের দুই ঘণ্টা সময় দেয়া হয়। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে ঋণখেলাপি সংক্রান্ত কাগজপত্র বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এনে দেখাতে না পারায় বিকেলে আফরোজা আব্বাসের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক ও বাংলাদেশ টেলিকমের কাছ থেকে আফরোজা আব্বাসের ঋণখেলাপি থাকার কথা জানা গেছে। এছাড়া নেত্রকোণা-১ আসনের লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী এম এ করিম আব্বাসীর প্রার্থীতাও বাতিল করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।