পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আগামী ইলেকশনে কী হবে তা বলতে পারি না। তবে আমরা যে একটা সিস্টেম করে রেখেছি, এরপর যেই ক্ষমতায় আসুক না কেন কেউ দেশের উন্নয়নে বাধা দিতে পারবে না। বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়াকে আর কেউ থামাতে পারবে না। তিনি বলেন, যদিও সময় এখন সীমিত। তবে যতক্ষণ আছি ততক্ষণে যা যা প্রয়োজন সেটা করে দিতে পারব, সেইটুকু কথা দিতে পারি। গতকাল সকালে হোটেল সোনারগাঁওয়ে ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের জাতীয় রপ্তানি ট্রফি বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী, ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে দেশের রপ্তানি খাতে বিশেষ অবদান রাখায় ৫৬ টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে ২৫ টি স্বর্ণ, ১৭ টি রৌপ্য এবং ১৪টি ব্রোঞ্জ পদক তুলে দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০২১, ২০৪১ এবং ২১০০ ডেলটা প্ল্যান হাতে নিয়েছি। এই ডেলটা প্ল্যান নেদারল্যান্ড সরকারের সাথে যৌথভাবে বাস্তবায়ন করব। যার ফলে বাংলাদেশের এই এগিয়ে যাওয়া আর কেউ থামাতে পারবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার ব্যবসাবান্ধব, তবে, নিজেরা ব্যবসায়ী নয়। আমি সবসময়ই বলে এসেছি আমার সরকার ব্যবসা করবে না। ব্যবসা করবেন ব্যবসায়ীগণ। আমরা সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করব। আমরা আপনাদের সৃজনশীল প্রয়াসে সহায়তাকারীর ভূমিকা পালন করে যাচ্ছি। আমরা সরকারে এসে ব্যবসা-বাণিজ্যটা যাতে ব্যবসায়ীদের জন্য সহজ হয় সেই ব্যবস্থাটা করে দিয়েছি।
এ সময় তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পদক্ষেপেই দেশের রপ্তানি তিনগুণ হয়েছে। রপ্তানী বাড়াতে নীতিমালা প্রণয়নের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাও নিয়েছে সরকার। উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে সফল হয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কারণে দেশের প্রবৃদ্ধি আজ উর্ধ্বমূখী। সরকার অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে সারা দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমরা যে সুযোগটা পেয়েছি তাতে আমাদের ঋণ গ্রহণের সুবিধা হবে, ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা হবে। যে বিশাল সুযোগ আমাদের সৃষ্টি হবে রপ্তানী বাণিজ্য করার, সেই সযোগটা আমাদের গ্রহণ করতে হবে। আর তার উপযুক্ত পরিবেশ সৃৃষ্টি করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, এলডিসি ভুক্ত দেশ হিসেবে অন্য যে সুযোগগুলো আমরা পাই সেগুলো হয়তো পাব না, তাতে আমাদের কোন অসুবিধা হবে না। কারণ, সেভাবেই আমরা আমাদের নীতিমালাসহ সবকিছু প্রণয়ন করেছি।
দল মত নির্বিশেষে তার দরজা ব্যবসায়ীদের জন্য সবসময় খোলা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা দেশ-বিদেশে ঘোরেন, আপনারাও খুঁজে বের করুন কোন দেশে আমাদের দেশের কোন কোন পণ্য রফতানি করা যায়। রপ্তানিখাতে গতিশীলতা আনয়ন ও রপ্তানি বাণিজ্যে আমাদের শিল্পকে প্রতিযোগিতা-সক্ষম করার লক্ষ্যে আমরা রপ্তানি নীতি ২০১৮-২১ প্রণয়ন করেছি।
শিল্পায়ন ছাড়া কোন জাতির অর্থনৈতিক উন্নতি হয় না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইপিজেড তৈরি করা হচ্ছে। সমগ্র বাংলাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করা হচ্ছে। ইপিজেড ও বিসিক স্টেটগুলোকে পুরোপুরি কার্যকর করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলায় প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, মেয়েরা তো এখন বেশি এগিয়ে এসেছে। তাই আরও ভালোভাবে শিক্ষিত করে, ট্রেনিং দিয়ে একটা শক্তিশালী জনগোষ্ঠী সৃষ্টি করতে হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো’র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সভাপতিত্ব করেন। এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিজুল ইসলাম অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন। অনুষ্ঠানে ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে বিভিন্ন পণ্য ও খাতভিত্তিক সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়ের জন্য ৫৬টি প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় রপ্তানি ট্রফি’ প্রদান করা হয়।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।