পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মভূমি বগুড়া-৭ (গাবতলী) আসনে বিএনপির কোন প্রার্থীই থাকলো না। এই আসনে দাখিল হওয়া বিএনপির ৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩ জনেরই মনোনয়ন বাতিল করেছে জেলা রিটার্নিং অফিসার। এতে দীর্ঘ ২৭ বছর পর বগুড়ার কোনো আসন থেকে জিয়া পরিবারের কোনো সদস্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে বঞ্চিত হলো। অথচ বগুড়া হলো বিএনপির ঘাটি।
১৯৯১ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়া প্রথমবারের মতো বগুড়া-৭সহ দেশের ৫টি সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচন করে সবগুলোতেই বিজয়ী হন। ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম এবং নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসন থেকে নির্বাচন করেন এবং বিজয়ী হন। বগুড়া জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে গতকাল মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইকালে মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিল করা হয়। একই সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ না করার অজুহাতে অপর দুই প্রার্থী গাবতলী উপজেলা চেয়ারম্যান মোরশেদ মিলটন ও শাজাহানপুর উপজেলা চেয়ারম্যান সরকার বাদলের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা হয়। খালেদা জিয়া ও মোরশেদ মিলটনের মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বলেন, বেগম জিয়া ছাড়া কোনো নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন, সিপার আল বখতিয়ার, মেহেদী হাসান হিমু প্রমুখ। বক্তারা এই ঘটনাকে আসন্ন নির্বাচনের জন্য ঘোর অশনি সংকেত হিসেবে উল্লেখ করে এর প্রতিবাদে কেন্দ্রের কাছে জাতীয় ভাবে কর্মসুচি ঘোষণার দাবি জানান। মনোনয়নপত্র বাছাইকালে বগুড়া-৭ আসনে বিএনপির বিকল্প প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিলকারী মোরশেদ মিলটন জানান, তিনি ২৮ নভেম্বর পদত্যাগ করেছেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও বগুড়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার ওই পদত্যাগপত্র রিসিভও করেছেন। তিনি রিসিভের কপি বাছাইকালে দেখালেও রিটার্নিং অফিসার তা অগ্রাহ্য করেন। শেম শেম ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে পুরো কক্ষ। পরে দলের নেতাকর্মীরা জেলা প্রশাসক অফিস চত্বরে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন।
ফেনী থেকে ওমর ফারুক ও মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জানান, ফেনী-১ (ছাগলনাইয়া-ফুলগাজী-পরশুরাম) আসনে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল রোববার সকালে ফেনী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান এ ঘোষণা দেন।
জেলা রিটার্নিং অফিস সূত্র জানায়, ফেনী-১ আসন থেকে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে খালেদা জিয়া ১৪ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ সময় ছাগলনাইয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুর আহম্মদ মজুমদার, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল বশর চৌধুরী ও মিজানুর রহমান মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়। বাকী ১০ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। বিএনপিও খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিল হতে পারে এই শঙ্কা থেকে এ আসনে আরও দুজন বিকল্প প্রার্থী দিয়ে রেখেছিল। তারা হচ্ছেন ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম মজনু, ছাগলনাইয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুর আহম্মদ মজুমদার। এর মধ্যে নূর আহম্মদ মজুমদারের মনোনয়নও বাতিল হওয়ায় এ আসনে এখন বিএনপির হয়ে মুন্সি রফিকুল আলাম মজনু নির্বাচন করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এছাড়া ফেনীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরীসহ বিভিন্ন দলের ৩৪ প্রার্থীর মধ্যে ২৭ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছেন নির্বাচন কমিশন। গতকাল জেলা রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তাদের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন।
ফেনী-২ (সদর) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী নিজাম উদ্দিন হাজারী, বিএনপির দলীয় প্রার্থী চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবদীন ভিপি, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন আহমেদ মিস্টার, ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী নুরুল করিম বেলালী, জেলা জাপার সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী জসিম উদ্দিন মনোনয়নপত্রও বৈধ ঘোষণা করে কমিশন।
ফেনী-৩ (সোনাগাজী-দাগনভূঞা) আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, বর্তমান স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী রহিম উল্যাহ, দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আকবর হোসেন, গতবারের আওয়ামী লীগ প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবুল বাশার ও তার ছেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইসতিয়াক আহমেদ সৈকত, জেএসডির যুগ্ম-সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, বাসদ প্রার্থী হারাধন চক্রবর্তী, বিএনএফ শাহরিয়ার ইকবাল, ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী আবদুর রাজ্জাক, গোলাম হোসেন ও মো. মাঈন উদ্দিনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন জেলা রিটানিং কর্মকর্তা। এদিকে, ফেনীর তিনটি আসনে যাদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে জেলা রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র মতে, ফেনী-১ (ছাগলনাইয়া-ফুলগাজী ও পরশুরাম) আসনে বিএনপি চেয়াপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, ছাগলনাইয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুর আহাম্মদ মজুমদার, সতন্ত্র প্রার্থী আবুল বশর চৌধুরী ও মিজানুর রহমান। অপর দিকে ফেনী-২ (সদর) আসনে ৬ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিলে তাদের সবার মানোনয়ন বৈধ ঘোষণা করে রিটানিং কর্মকর্তা। ফেনী-৩ (সোনাগাজী-দাগনভূঞা) আসনে বিএনপি প্রার্থী আবদুল লতিফ জনি, স্বতন্ত্র প্রার্থী রিন্টু অনোয়ার ও হাসান আহাম্মদ।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও রিটানিং কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ফেনীর তিনটি আসনে ২৭ প্রার্থী বৈধ ও ৭ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় রয়েছে ও ১০ তারিখ প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।